মির্জাপুরে ডাকাতের হামলায় ট্রাকচালক নিহত

আগের সংবাদ

রোহিঙ্গা থেকে বাংলাদেশি : ত্রিশ হাজার টাকায় নাগরিকত্ব!

পরের সংবাদ

কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি মাসে না?
আমাদের ভাষার মাস, ‘বেঙ্গলি ডে’-ও মাস ফেব্রুয়ারিতেই প্রয়াত হলেন কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।
তার জন্ম ৯ এপ্রিল ১৯৫৩ পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার একটি গ্রামে। ৭১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলেন ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। তিনি প্রায় ২০ হাজার বাংলা ছড়া লিখেছেন তিনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
তার ছড়ার বই- মজার ছড়া, সোনালী ছড়া, কোলকাতা তোর খোল খাতা, হাওড়া-ভরা হরেক ছড়া, ডাইনোছড়া। যে ছড়াটি তাকে বেশি করে চিনিয়েছে, তা বাঙালিদের একটি সমাজচিত্র। বাঙালিয়ানার ভুয়া একটি দিক তিনি তুলে ধরেছেন। বিক্ষিপ্তভাবে কেউ কেউ ছড়াটির খণ্ডিত অংশ পড়েছেন, শুনেছেন। কবি ও ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদারকে শ্রদ্ধা জানাতে পুরো ছড়াটাই তুলে ধরছি:
ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-কথায় হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।
ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে
‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে
আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক স্বপ্নে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

‘ইংলিশ’ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ‘ফার্স্ট’ ল্যাঙ্গুয়েজ
হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি, হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ।
কী লাভ বলুন বাংলা প’ড়ে?
বিমান ছেড়ে ঠেলায় চড়ে?
বেঙ্গলি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ তাই, তেমন ভালোবাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বাংলা আবার ভাষা নাকি, নেই কোনো ‘চার্ম’ বেঙ্গলিতে
সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের মেনে নিতে?
ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক
হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক
বেঙ্গলি ইজ গø্যামারলেস, ওর ‘প্লেস’ এদের পাশে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বাংলা যেন কেমন-কেমন, খুউব দুর্বল প্যানপ্যানে
শুনলে বেশি গা জ্ব’লে যায়, একঘেয়ে আর ঘ্যানঘ্যানে।
কীসের গরব? কীসের আশা?
আর চলে না বাংলা ভাষা
কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি মাসে না?
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

ইংলিশ বেশ বোমবাস্টিং শব্দে ঠাসা দারুণ ভাষা
বেঙ্গলি ইজ ডিসগাস্টিং, ডিসগাস্টিং সর্বনাশা।
এই ভাষাতে দিবানিশি
হয় শুধু ভাই ‘পি.এন.পি.সি’
এই ভাষা তাই হলেও দিশি, সবাই ভালোবাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বাংলা ভাষা নিয়েই নাকি এংলা-প্যাংলা সবাই মুগ্ধ
বাংলা যাদের মাতৃভাষা, বাংলা যাদের মাতৃদুগ্ধ
মায়ের দুধের বড়ই অভাব
কৌটোর দুধ খাওয়াই স্বভাব
ওই দুধে তেজ-তাকত হয় না, বাংলাও তাই হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

বিদেশে কী বাংলা চলে? কেউ বোঝে না বাংলা কথা
বাংলা নিয়ে বড়াই করার চেয়েও ভালো নীরবতা।
আজ ইংলিশ বিশ্বভাষা
বাংলা ফিনিশ, নিঃস্ব আশা
বাংলা নিয়ে আজকাল কেউ সুখের স্বর্গে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।
শেক্সপীয়র, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলী বা কীটস বা বায়রন
ভাষা ওদের কী বলিষ্ঠ, শক্ত-সবল যেন আয়রন
কাজী নজরুল-রবীন্দ্রনাথ
ওদের কাছে তুচ্ছ নেহাত
মাইকেল হেরে বাংলায় ফেরে, আবেগে-উচ্ছ¡াসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না।
বিশ্বায়নের ভাষা ইংরেজি, এর অপ্রতিহত সম্প্রসারণ ঠেকানো মুশকিল, দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে কেবল মহাকরণে নয়, বাঙালির হেঁশেলেও হিন্দি ভাষার দাপুটে উপস্থিতি। বাংলা গুরুত্বের দিক থেকে এমনকি বাংলাভাষী পশ্চিমবঙ্গেও তিন নম্বর। ভবানীপ্রসাদ মজুমদার ছড়া- কবিতাটি এপিটাফে খোদাই করে ভাষা শহীদদের কবরে রেখে দিলে অসম্মান করা হবে বটে, কিন্তু বাংলাকে উপেক্ষা করে আমরা কি প্রতিদিনই তারচেয়ে বেশি অপমান তাদের করছি না। ভাষা নিয়ে সন্তানদের হা-পিত্যেশ করে আর কী হবে? লম্বা পাঞ্জাবি পরা বাবা-কাকারাই যে বাংলার সর্বনাশ করে ছেড়েছেন এটা এখন সবাই জানে। তারা নিজের হাতে তাদের শহুরে সন্তানদের সর্বনাশ না করার মহান ব্রত নিয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়িয়েছেন। বাংলা থাকুক অজপাড়া গাঁয়ের ভাস্তে-ভাগ্নেদের জন্য। সেখানে ইংলিশ মিডিয়াম বেশ ঢুকে পড়েছে। ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের আর একটি ছড়াতে সংকটের কারণটা দেখানো আছে:
খুব ভোরে গাছে চ’ড়ে ও-পাড়ার রাম
চুরি ক’রে ঝুরি ভ’রে পাড়ছিল আম!
সাড়া পেয়ে, এলো ধেয়ে লাঠি-হাতে মালি
বলে : পাজি, পুরো গাছই ক’রে দিলি খালি!
আয় নেমে, বড়ো হয়ে হবি চোর পাকা
চল্ দেখি, কী বলেন তোর বাবা-কাকা।
রাম বলে, কোথা যাবে? তুমি হাঁদা-হাবা
ওই দ্যাখো, মগডালে ব’সে কাকা-বাবা।
১৯৫২ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে একটিই ছিল বাংলা। ছোট আকারের মাদ্রাসা শিক্ষাও ছিল। পরবর্তী দশকগুলোয় মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ধীরে ধীরে মহীরুহের আকার ধারণ করেছে, সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। পৃথিবীর সব ভাষাই বিকশিত ও সমৃদ্ধ হয়েছে মধ্যবিত্তের চর্চায় ও অংশগ্রহণে। আমাদের মধ্যবিত্তের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমে ধাবিত করেছেন এবং এমনকি নিম্নবিত্তের প্রচেষ্টা তার সন্তান ইংরেজি শিখুক। এটাই হওয়ার কথা, কারণ এ পর্যন্ত একটি চাকরির বিজ্ঞাপনও আমার চোখে পড়েনি, যেখানে বাংলা জানা চাকরিপ্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি তো বটেই, আরবি এবং এমনকি হিন্দি জানা প্রার্থীর চাকরিতে অগ্রাধিকারের বিজ্ঞাপন ঢাকার কাগজে দুর্লভ নয়। গত ২৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি মূল্য সংযোজিত হয়েছে ইংরেজি ভাষায়। উপমহাদেশীয় ভাষায় সবচেয়ে বেশি অর্থকরী হয়ে উঠেছে হিন্দি।
ইংরেজকে যত গালই দিই না কেন, ভাষাটির জন্য তারা যথেষ্ট দরদ দেখিয়েছেন। আদালতে বাংলা ব্যবহারের উৎসাহ বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংসই দিয়েছেন।
বাঙালি চরিত হেমচন্দ্রের দুই পঙ্ক্তিতে অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে :
বাঙালি বাবুর সাজ আমার চোখে বালি
নকলে মজবুৎ বঙ্গ, আসলে কাঙালি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন প্রথমবারের মতো বিলেত গেলেন দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোট ভাইটির বিলেতের প্রতি টান দেখে ঠাট্টা করে লিখলেন ‘ঈঙ্গবঙ্গের বিলাতযাত্রা’ এবং সেটা তাকে পাঠিয়ে দেন। ১২৮৬ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যা ভারতীতে কবিতাটি প্রকাশিত হয়।
‘বিলাতে পালাতে ছটফট করে নব্য গৌড়ে
অরণ্যে যে জন্যে গৃহগবিহগপ্রাণ দৌড়ে।
স্বদেশে কাঁদে সে গুরুজনবেশে কিচ্ছু হয় না
বিনা হ্যাট্্টা কোটটা ধুতি-পিরহনে মান রয় না।’
বাঙালি যে বাঙালি তা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগার মাস বৈশাখ। নববর্ষ উপলক্ষ করে বাঙালির বিস্তর গুণকীর্তন এ সময়ে হয়ে থাকে। গুণগুলো অবশ্যই শ্লাঘার বিষয়। বাঙালি কীর্তনে এতই উচ্ছ¡সিত থাকি যে বলেই ফেলি, ‘থ্রি চিয়ার্স ফর দ্য বেঙ্গলিজ হিপ হিপ হুররে’।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯) লিখেছিলেন:
বাঙালি তোমার কেনা এ কথা জানে কে না?
হয়েছি চিরকেলে দাস।
করি শুভ অভিলাষ।
তুমি মা কল্পতরু আমরা সব পোষা গরু
শিখিনি শিং বাঁকানো
কেবল খাবো খোল বিচিলি ঘাষ।…
বাঙালির সাফল্য বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়ে জগৎসভায় অশেষ খ্যাতির অধিকারী হওয়া, কিন্তু বাঙালির চরম ব্যর্থতা বাংলাভাষায় মূল্য সংযোজন করতে না পারা। বাংলা ভাষাকে কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বাঙালি কোনো বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। নগরে বসবাস করা বাঙালি তার সন্তানদের কথিত ‘মঙ্গল’ কামনা করে তাদের ইংরেজি শিখিয়েছে। তাদের বিশ্ব নাগরিক বানিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তব নাগরিক বানায়নি। অনেকেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দেশ ছেড়ে হরেকরকম মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে বিদেশি পাসপোর্টধারী হয়েছে।
৩ বৈশাখ ১৩১৩ বঙ্গবাসিনী পত্রিকার একজন অজ্ঞাত নারী লেখিকা জানিয়েছেন, বিদেশি জিনিসে বাসগৃহ পরিপূর্ণ, গোপনে বিদেশি বর্জনের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে দেশদ্রোহিতার চূড়ান্ত পরিচয় দিচ্ছে।
‘সৌভাগ্যই বল আর দুর্ভাগ্যই বল, আজি বাঙালির অধঃপতনের শেষ সীমায়। বাঙালি ঘরের অন্ন পরের হাতে দিয়া উপবাসে মরিতেছে, তাহার পরিধেয় বস্ত্র, রোগের ওষুধ, তৃষ্ণার জল, শিশুর খেলনা, যুবকের গ্রন্থ-তাহার কালি, কলম, কাগজ, তাহার বাক্স, দেরাজ, আয়না, চিরুনি, তাহার বাসন, বিছানা প্রায় সমস্ত গৃহসজ্জা, অধিক কি দেশলাইটি পর্যন্ত বিদেশি বণিক জোগাইতেছে। ইহার অপেক্ষা মর্মান্তিক ক্লেশ এই যে, বাঙালির যিনি রক্ষক শাসক সেই সুসভ্য সদাশয় রাজা-যে রাজার প্রজা হইয়া বাঙালি মানিতেছে, সেই রাজা বিদেশি বণিকের অনুকূল।… এই বাণিজ্য-কুশল অর্থপ্রিয় বণিকগণ দোষী না যে হতভাগ্য নির্ব্বোধ জাতি ইহাদিগের হস্তে সমস্ত ভার দিয়া, কর্ম্মফল অদৃষ্টের উপর চাপাইয়া পরিপূর্ণ নিষ্ফলতা লইয়া অহিফেনভোজীর মতো অর্দ্ধোম্মীলিত নেত্রে ঢুলিতেছিল, সেই হতভাগ্য জাতি দোষী?’
পত্ররচয়িতা উল্লেখ করেছেন- ঢাকা, মুর্শিদাবাদ, ফরাসডাঙ্গা, সিমলা, শান্তিপুর, চন্দ্রকোনার তন্তরায়, বহরমপুর, খাগড়া, বরিশালের স্যাকরা, ঢাকার শঙ্খকার যে জাতির মধ্যে জন্মগ্রহণ করতে পারে সে জাতির অলস অকর্মণ্য ও পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকার কথা নয়। দোষ বিদেশি বণিকেরও নয়, দেশি কারিগরেরও নয়, অমার্জনীয় দোষ সমষ্টিগতভাবে দেশের সর্বসাধারণের, তাদের পরনির্ভর মানসিকতার।
১৯৩৮ সালে তামিলনাড়–র স্কুলে যখন বাধ্যতামূলক হিন্দি পাঠের সূচনা করা হলো, আন্দোলনেরও সূচনা তখনই। তখন যে সেøাগানটি মুখরিত হতে থাকে তা হচ্ছে- ‘তামিলদের জন্য তামিলনাড়–’। ব্রিটিশ সরকার ১৯৪০ সালে এই হিন্দি শিক্ষা নির্দেশনা বাতিল করে দেয়।
হিন্দি মূলত ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রসারে ধর্মীয় প্রচারণা চলাতে ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও লেখেন, হিন্দির সঙ্গে তামিল জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। হিন্দি প্রচলিত হলে তামিল শিশুদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন উপকথা শেখানো হবে আর কালক্রমে তামিল ভাষার প্রগতিশীল দিকগুলো হারিয়ে যাবে। হিন্দিকে চাপিয়ে না দিয়ে ইউনিয়ন গভর্নমেন্টের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি অব্যাহত রাখার জন্য সিএন আন্নাদুরাই, রাজা গোপালাচারিয়া এবং ই ভি রামসোয়ামির স্বাক্ষরে একাডেমি অব তামিল কালচার প্রস্তাব পাস করে। সে সময় হিন্দির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি ছিল যে অন্যান্য রাজ্য ভাষার তুলনায় হিন্দি অধিকসংখ্যক লোক ব্যবহার করে থাকে। তখন আন্নাদুরাই জবাব দিয়েছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের এই যুক্তি যদি মানতে হয়, জাতীয় পাখি নির্বাচনের সময় ময়ূরকে নির্বাচিত না করে সাধারণ কাককেই বেছে নেয়া উচিত ছিল।
ভারতের সাংবিধানিক নির্দেশনা ছিল (১৯৫০ সালে সংবিধান গৃহীত হয়) হিন্দি হবে সরকারি ভাষা এবং সম্পূর্ণভাবে হিন্দিকে গ্রহণ না করা পর্যন্ত পরবর্তী ১৫ বছর অর্থাৎ ১৯৬৫-এর ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ইংরেজিও সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ১৯৬৫ সাল যতই ঘনিয়ে আসছিল অ-হিন্দিভাষী সকল রাজ্যে হিন্দির বদলে নিজ নিজ ভাষাকে প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ততই দানা বেঁধে উঠছিল। শেষ পর্যন্ত হিন্দি অর্থকরী ভাষায় পরিণত হওয়ায় সব আন্দোলন বিফলে যাওয়ার পথে।
শিক্ষার বাংলা মাধ্যম এখন গৌণ মাধ্যম হওয়ার পথে।
বাংলার উত্থানের সম্ভাবনা কি কেউ দেখছেন? বাংলা কি অর্থকরী ভাষা কখনো হবে?

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়