প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
বাংলা একাডেমির নতুন বর্ষপঞ্জিকার হিসাবে বুধবার ছিল পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজকে বরণ করে নেয়ার জন্য ছিল নানা আয়োজন; কিন্তু প্রকৃতির যেন তাতে সায় নেই। দক্ষিণ দুয়ার খুলে বসন্তকে বরণ করে নেয়ার সাজ সাজ রব পড়েছে সর্বত্রই।
শীত শেষে উঁকি দিচ্ছে বসন্ত। আকুল করে তুলেছে প্রকৃতিকে। দখিনা বাতাস আর প্রকৃতিজুড়ে আগুনঝরা রঙের প্রাবল্য। ঝরাপাতা ধুলায় লুটিয়ে নতুন কুঁড়ি উঁকি দিচ্ছে আকাশপানে। আর তার দোলা লেগেছে মানব মনে। কেমন করা এক ভালো লাগার অনুভব মনের গহিনে।
শীতের আড়মোড়া ভেঙে, রুক্ষ, শুষ্কতার ক্ষণকে বিদায় করে শিমুল-পলাশের বাসন্তী আভায় নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি আর নানা রঙের বাহারি ফুলে জানিয়ে দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে। প্রকৃতির কোলজুড়ে তাই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা। রঙিন হয়ে ওঠা প্রকৃতির এই মধুর দোলায় দুলে উঠেছে নাগরিক হৃদয়ও। যদিও ইট-কাঠের এই নগরীতে প্রকৃতির খুব একটা পরিসর নেই। তারপরও যেটুকু রয়েছে, আন্দোলিত করে তুলেছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
তবে ঋতুরাজ বসন্তে মিলছে না কোকিলের কুহু কুহু ডাক। বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ। এক একটি ঋতুর এক একটি বৈশিষ্ট্য আছে। বসন্তের কোকিল একটি পরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে। বর্তমানে কোকিল আছে সাহিত্যের পাতায়, মানুষের মুখে, গানে-বাগধারায়। কোকিলকণ্ঠী, বসন্তের কোকিল- এমন কত না উপমায় কোকিল ব্যবহৃত হয়। কোকিলের কুহুতান ছাড়া বসন্ত ভাবা যায় না। তবে গ্রামে-গঞ্জে কালে-ভদ্রে কোকিলের কুহু কুহু ডাক শোনা যায়।
ঋতুচক্র এখন যেন আর পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না। কুয়াশার চাদরমোড়া অকাল শীত তার তীব্রতা ছড়াতে না ছড়াতেই বিদায় নিল। প্রকৃতির দিকে তাকালে শীত-বর্ষার মতো বসন্তকেও সহজে চেনা যায়। ঋতুর রাজা বসন্তকে বরণ করতে চলছে নানা আয়োজন। প্রকৃতির যতটুকু অবশিষ্ট আছে সেটাই সাজবে। ফুল এখন এই বসন্তে ফুটবে গাছ কম-বেশি যা-ই থাক। তবে গাছ থাক না থাক, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক/ আজ বসন্ত’। কোকিল ডাকুক আর নাই ডাকুক বসন্ত এসে গেছে। ঋতুরাজ বসন্তকে সুস্বাগতম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।