সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম : স্রাইন কমিটির নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা

আগের সংবাদ

গৃহযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ মিয়ানমার

পরের সংবাদ

ম্যাকডোনাল্ডসের নতুন দোকান ও খাদ্যরাজনীতি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এখনো দুনিয়ায় প্রায় ৮২ কোটি মানুষ না খেয়ে ঘুমাতে যায়। এরা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ। এই ক্ষুধার্ত মানুষের যন্ত্রণাকে আড়াল করেই প্রতি বছর পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। কেন এখনো এই দুনিয়ায় বহু মানুষ না খেয়ে থাকে? এর উত্তর একই সঙ্গে খুব সহজ এবং খুব জটিল। করোনা মহামারির আগেও নিরন্ন মানুষ ছিল, মহামারির পরও আছে। কেন মানুষ না খেয়ে থাকে কেবল এর ব্যাখ্যা ও উপস্থাপনে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। বয়ানের তল ও আধেয় বদলায়নি। মহামারি পরবর্তী সময় বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু সংকট এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ, প্রাপ্তি ও বণ্টনে নানা চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। যে কারণে নাকি ‘খাদ্যসংকট’ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এই সংকট যে পাতানো তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। যুদ্ধ যেহেতু কারণ, তবে আমরা যুদ্ধটা বন্ধ করছি না কেন? দশাসই অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলোকে খাদ্য উৎপাদনের জমিনে বদলে দিতে পারছি না কেন? জলবায়ু পরিবর্তন যেহেতু কারণ, কার্বন নির্গমন কমাতে ভোগবিলাসিতার চুল্লিকে কেন চুরমার করতে পারছি না? চলতি লেখা এসব তর্ককে টানছেও না। এ বছরের বিশ্ব খাদ্য দিবসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরের সূত্র ধরে চলতি আলাপ ‘বৈশ্বিক খাদ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে কিছু সাধারণ মৌলিক প্রশ্ন করতে চায়। ইউক্রেন-রাশিয়ার পাতানো যুদ্ধ দেখে ক্লান্ত, বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ বিশ্বের সামনে এখন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আবারো আলোচনার বিষয়। গাজা উপত্যাকার চুরমার স্তূপের দিকে দমবন্ধ করে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। যদি কোনো জানের আওয়াজ পাওয়া যায়! আর এমনি এক দগ্ধবিধ্বস্ত সময়ে খবরে প্রকাশ, ইসরায়েলের সেনাদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে তোপের মুখে পড়েছে মার্কিন ফুডচেইন ম্যাকডোনাল্ডস। গলন্ত অবরুদ্ধ অভুক্ত ফিলিস্তিনের এই রক্তাক্ত সময়ে ইসরায়েলের ‘যুদ্ধবাজ’ সেনাদের বিনামূল্যে খাবার দিয়ে ম্যাকডোনাল্ডস মূলত কী বার্তা দিতে চায়? মার্কিন-ইসরায়েল সন্ধি কিংবা ফিলিস্তিনের ওপর যুদ্ধ-বাহাদুরির বৈধতা হিসেবে কেবল একে পাঠ করা যায় না। এই বার্তা মহামারি-উত্তর এই দুনিয়ায় আরো ভয়াবহ ভবিষ্যৎ জিজ্ঞাসাকে সামনে আনে। কার কব্জায় মূলত বন্দি হতে চলেছে আমাদের খাদ্যব্যবস্থার ভবিষ্যৎ? যুদ্ধ, দাঙ্গা, সহিংসতা, অস্থিরতা কী পাতানো সন্ধি- সবই নিয়ন্ত্রিত হতে পারে ‘খাদ্যব্যবস্থা’ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। হাজার হাজার লাশের সারির ভেতর থেকে ম্যাকডোনাল্ডস কোম্পানির ইসরায়েল শাখা ঘোষণা করেছে তারা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করবে এবং এ উদ্দেশ্যে পাঁচটি নতুন রেস্তোরাঁও খুলেছে তারা। ক্ষুব্ধ মানুষ লেবাননে ম্যাকডোনাল্ডস ভাঙচুর করেছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ম্যাকডোনাল্ডসের ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও কুয়েত শাখা গাজার মানুষদের কিছু আর্থিক সহায়তা করেছে। এবারই নতুন নয়, করপোরেট খাদ্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বহুবার দাঁড়িয়েছে মানুষ। নানা দেশ, নানা সময়ে। কিন্তু কোথাও এসব মারদাঙ্গা খাবারের দোকান বন্ধ হয়নি। খাদ্যব্যবস্থা আরো বেশি বহুজাতিক নিয়ন্ত্রণে বন্দি হয়েছে। হঠাৎ কোনো এক একটি ঘটনায় কিছু সময় কিছু মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী এই প্রতিরোধ জোরালো হচ্ছে না। তাই খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বণ্টন, বিপণন, সরবরাহ কী পরিবেশন- সবকিছুই আজ মানুষের নাগালে নেই। কোম্পানির কাছে বন্দি। সিদ্ধান্ত, পুঁজি, মুনাফা সব কোম্পানির। কৃষক, জেলে, সংগ্রহকারী বা প্রক্রিয়াজাতকারী সবাই কেবল নয়া উদারবাদী ব্যবস্থার ‘খাদ্য-মজুর’। নয়া উদারবাদী খাদ্যব্যবস্থাকে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্ন করছে না রাষ্ট্র কিংবা রাজনৈতিক মঞ্চগুলো। আর তাই খাদ্য কিংবা খাদ্যরুচি আজ নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে ম্যাকডোনাল্ডস, কোক-পেপসি, নেসলে, মুভেনপিক, কেএফসি, পিৎজাহাট কিংবা ডানোন কোম্পানির বাহাদুরিতে। ইসরায়েলে ম্যাকডোনাল্ডসের সাম্প্রতিক ‘বর্ণবাদী’ প্রবণতা কিন্তু এই প্রথম নয়। এ ঘটনাটিকে আলাপের ময়দানে রেখে আমাদের খাদ্যচিন্তার রাজনৈতিক ভিত তাহলে কী হতে পারে? মুক্তিকামী বিশ্ব যখন ফিলিস্তিনের সপক্ষে দাঁড়ায় তখন। আমরা কি আদতেই ফিলিস্তিনের ওপর জারি থাকা নির্মম অন্যায়ের বিরুদ্ধে? ম্যাকডোনাল্ডসের সাম্প্রতিক এই বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে আমাদের অবস্থান তাহলে কী হবে? আমরা কি ম্যাকডোনাল্ডসকে বয়কট করব, খারিজ করব? কিন্তু এতেই কি খাদ্যব্যবস্থার মুক্তি ঘটবে? খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হবে? আমরা কি ম্যাকডোনাল্ডসগিরি থেকে আমাদের খাদ্যচিন্তাকে মুক্ত করতে পেরেছি? আমরা কি কোকাকোলায়নের গরাদ থেকে আমাদের খাদ্যরুচিকে মুক্ত করতে পেরেছি। পারিনি।
কথা হচ্ছে কী কারণে কোনো খারিজের প্রশ্ন ওঠে? এ ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তি, রাজনীতি, প্রমাণ ও দর্শনের ভিত্তি কী? প্রাণ-প্রকৃতি, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, সুস্বাস্থ্য কিংবা ন্যায্যতার প্রশ্নে বহুজাতিক কোনো বাণিজ্য পণ্য খারিজের বহুল উদাহরণ আছে কি? প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের দোহাই এনে মানুষের জন্য ব্যবহৃত কিছু বিশেষ খাদ্য নিয়ে কিছুটা রাজনৈতিক দরবার হয়। আবার কখনো ধর্মের দোহাইকে মোড়ক করে কোনো কোনো কোম্পানির কিছু খাদ্য পণ্যকে নিয়ে কিছু ‘জনপ্রিয় বিরোধিতা’ হয়। যার একটা বড় অংশই সেই পণ্যের বিক্রি বাড়াতে উসকে দেয়। প্লাস্টিকবিরোধী আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংগঠন ‘ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক’ করপোরেট প্লাস্টিক দূষণবিষয়ক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর। সমীক্ষাটি তৃতীয়বারের মতো প্রমাণ করে কোক-পেপসি এবং নেসলের মতো বহুজাতিক কোম্পানির কারণেই প্লাস্টিক দূষণ ঘটছে। প্রতিবেদনে চিহ্নিত শীর্ষদশের অন্য প্লাস্টিক দূষণকারী কোম্পানিরা হলো : ইউনিলিভার, মনডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল, মারস, প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, ফিলিপ মরিস, কোলগেট-পালমোলিভ এবং পারফেট্টি। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিইসি) ২০০৩ এবং ২০০৬ সালে ১১টি কোকাকোলা ও পেপসি ব্র্যান্ড নিয়ে একটি গবেষণা করে দেখায় সেসব পানীয়তে কীটনাশকের পরিমাণ অনেকগুণ বেশি। কোক-পেপসির প্রমাণিত পরিবেশ দূষণ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে খুব বেশি পাবলিক আওয়াজ আমরা দেখি না। কিন্তু ‘পে এভরি পেনি টু সেভ ইসরায়েল’ পেপসির এমনতর (হয়তো বানানো, হয়তো সত্য) মানে আবার খুব প্রচারিত। কিংবা ‘ইসলাম ধর্মানুভূতিতে’ আঘাতের বিরুদ্ধে বহু পোস্টার ও পোস্ট দেখা যায়, যেখানে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পরিচয়কে ‘ধর্মীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে সেসব কোম্পানির পণ্য বাতিল ও বর্জনের ডাক দেয়া হয়। জনপরিসরে আড়াল করে ফেলা হয় বহুজাতিক কোম্পানির জারি রাখা অন্যায় এবং অবিচারকে। কিন্তু কোনো খাদ্য কি কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে খারিজ হতে পারে? কিংবা একজন কৃষকের ধান কিংবা কোনো জেলের ধরা ইলিশ মাছ কি তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে নিষিদ্ধ হতে পারে? তাহলে খাদ্যচিন্তার ক্ষেত্রে পরিবেশগত বিষয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন করার জায়গা কোথায়? এমনকি এসব বাংলাদেশেও বহুবার ঘটেছে। আপনাদের কি মনে আছে ২০২৫ সালে নেসলের ম্যাগি নুডলসে সিসা পাওয়ার পর কী ঘটেছিল? ভারতের উত্তরপ্রদেশের ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএসডিএ) ২০১৫ সালের মার্চে নেসলের ম্যাগি নুডলসে উচ্চমাত্রার মনো-সোডিয়াম গøুটামেট (এমএসজি) পায়। একই সালে ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এবং ‘খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাগারে ম্যাগি নুডলসে সিসা পাওয়া গিয়েছিল। এ নিয়ে কিছু তর্ক ওঠায় কিছুদিন বাজারে ম্যাগি নুডলস বন্ধ ছিল। কিন্তু এরপর ম্যাগি নুডলস বাজারে বিক্রি করছে ‘ধর্মীয় অনুভূতিকে’ ব্যবহার করে। তারা মোড়কের বিজ্ঞাপনে ঘোষণা দেয়, ‘বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক পরীক্ষিত হালাল নুডলস।
ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক ফিলিস্তিন-ইসরায়েল রক্তকাণ্ডে। কেবল ইসরায়েলি সেনাদের খাওয়াবে বলে ‘ম্যাকডোনাল্ডস’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে? খাদ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার যাবতীয় তর্ক চাপা দিয়ে রাখা হবে? তার মানে আমাদের সব প্রতিক্রিয়া মূলত জনপ্রতিক্রিয়া নয়। সব প্রতিক্রিয়ার প্রতিবেশ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট নয়। খাদ্য প্রশ্নে আমাদের মনোজগৎ কৃষক ও জেলেদের চশমায় তাকাতে জানে না। ম্যাকডোনাল্ডসের খাদ্যপণ্য এবং তার বহু বর্ণবাদী বাহাদুরি নিয়ে বহু তর্ক আছে। এর বিরুদ্ধে বহু প্রতিরোধ আছে। আর সেসব মৌলিক প্রশ্নের ফয়সালা না হলে কোনো না কোনো করপোরেট জীবন্ত থাকবে এবং সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করবে। ‘টক্সিক ফ্রি ফিউচার’ নামের এক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় (২০২০) দেখা গেছে, করপোরেট ফুড চেইনগুলোর খাবারের প্যাকেটে বিষাক্ত উপাদান থাকে। যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। ব্লুগবার্গ গ্রিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী গোমাংসজাত প্যাকেজ খাদ্যের গরিষ্ঠভাগই ১১৯টি দেশের ৩৯০০০ রেস্তোরাঁর মাধ্যমে ম্যাকডোনাল্ডস বিক্রি করে এবং এ ক্ষেত্রে তারা যে বাক্স ব্যবহার করে তা দূষণ ঘটায়। খাদ্যকে পণ্য বানিয়ে একতরফা মুনাফা তৈরির এসব বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সামাজিক শ্রেণিবৈষম্যকেও জারি রাখে নানাভাবে। ম্যাগি নুডলস ‘খটপট চটপট স্মার্ট গৃহিণী’ বানানোর বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। জানি এই ফিরিস্ত ফুরাবে না। ‘ফুড প্রসেসিং টেকনোলজি (২০২০)’ বাণিজ্য মুনাফা থেকে কর জমা দেয়ার হিসেবে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ খাদ্য কোম্পানির তালিকা করেছে। কারগিল, আর্চার ড্যানিয়েলস মিডর‌্যান্ড কোম্পানি, নেসলে, সিসকো করপোরেশন, জেবিএস, জর্জ ওয়েসটন, টাইসন ফুডস, বাঞ্জ, পেপসিকো, মনডেলেজ কোম্পানির নাম আছে সেখানে। আমরা কি এসব কোম্পানির বাহাদুরি ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে আমাদের সার্বভৌম কোনো খাদ্যচিন্তা নিয়ে পরিসর বিস্তৃত করতে পারি? যতদিন না পারব ততদিন খাদ্য নিয়ে বহুজাতিক বৈষম্য ও অন্যায় জিইয়ে থাকবেই। একদিকে ফিলিস্তিন চুরমার হবে, অন্যদিকে ইসরায়েলের সেনাদের জন্য খাবারের দোকান খোলা হবে। কিংবা একদিকে ধনীর দুলালদের নষ্ট করা খাবারে উপচাবে ভাগাড়, অন্যদিকে কোটি কোটি ক্ষুধার্ত শিশু আরেকটি ক্ষুধার্ত ভোরের অপেক্ষা করবে।

পাভেল পার্থ : লেখক ও গবেষক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়