হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

নারীনেত্রীদের দৌড়ঝাঁপ

পরের সংবাদ

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যতœ প্রয়োজন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চলতি মাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠাণ্ডাজনিত রোগে কাবু হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে শিশুদের ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। গণমাধ্যমে খবর আসছে, হাসপাতালে সর্দি-জ¦রে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। সর্দি-জ¦রে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। রয়েছেন বয়স্করাও। শিশু হাসপাতালের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১৪ দিনে এ হাসপাতালে ২২৩ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৯৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে গত ১৪ দিনে ৩৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গরমের তুলনায় শীত আরামদায়ক হলেও প্রতি বছর এ সময়ে বেশ কিছু বাড়তি রোগব্যাধি দেখা যায়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই সময়টা বেশ জটিলতা তৈরি করে। এখন থেকে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। শীতের কারণে ঢাকার খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী ছিন্নমূল মানুষের রাতে ঘুমাতে কষ্ট হচ্ছে। ফলে একটু উষ্ণতার জন্য সারারাত নানা কিছু দিয়ে আগুন জে¦লে রাতটি কাটিয়ে দেয়। তাছাড়া বস্তিবাসীদেরও কষ্টের শেষ নেই। ঢাকার রাস্তায় মানুষ না ঘুমিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে রাত কাটাচ্ছে, এই দৃশ্য নিত্যদিনের। চিকিৎসকরা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের তীব্রতা বেশি। স্বাভাবিক শীতকালীন রোগব্যাধির পাশাপাশি তীব্র শীতে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই মানুষের শরীরের তাপ উৎপাদন ক্ষমতা কমতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ৯৩ লাখ ৫০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে এসব শিশুকে হাসপাতালে নেয়ার হারও কম। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় লাখ মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে পাঁচ বছর বয়সের আগে প্রায় ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটে। বিষয়টি দুঃখজনক। শীত এলে শীতজনিত রোগে মানুষ আক্রান্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতে হবে। শিশুদের ব্যাপারে অভিভাবকদের অধিকতর সতর্ক থাকা প্রয়োজন। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলোকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখতে হবে। জনসাধারণকে ঠাণ্ডাজনিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। হাসপাতালে যেসব বৃদ্ধ ও শিশু ভর্তি হচ্ছে তারা বেশির ভাগই দরিদ্র। তাদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ ও সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের চিকিৎসায় গুরুত্ব দিতে হবে এ সময়। শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই শীত এড়িয়ে চলতে হবে। শরীর গরম রাখতে পোশাক পরতে হবে, গরম পানি খেতে হবে। এমনকি গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু এসব রোগে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাই তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়