হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

নারীনেত্রীদের দৌড়ঝাঁপ

পরের সংবাদ

বাজার এবার নিয়ন্ত্রণ হোক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ও প্রায় দুই বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব যখন টালমাটাল অবস্থা এবং এই যুদ্ধ এখনো চলমান। এদিকে প্রায় সাড়ে তিন মাস অতিক্রম হতে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, আবার সে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনের দিকে। লেবাননেও যুদ্ধের উত্তেজনা চলছে। ইতোমধ্যে লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা মার্কিন এক যুদ্ধ জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। বিশ্বব্যাপী এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। এই সব যুদ্ধের নাটেরগুরু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাত রয়েছে বলে বিশ্বব্যাপী পরিষ্কার হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধকে কীভাবে বন্ধ করা যায় সেদিকে নজর না দিয়ে উপরন্তু যুদ্ধে কোনো না কোনো একটি দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকার কারণে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় জনগণ এক অসহায় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে। এই একটিমাত্র দেশের কারণে বিশ্বব্যাপী এখন মানবিকতার সংকট, খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মানবতা যে কি পরিমাণ ধ্বংস হয়েছে তা ভাষায় বর্ণনাতীত।
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে সৃষ্টি হয় অরাজক পরিস্থিতি আগুন নিয়ে খেলা। আগুনের লেলিহান শিখায় মানুষের জীবন মুহূর্তের মধ্যে নিভে গেছে। পরিবারের স্বপ্ন বিলীন হয়ে গেছে। কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সাধারণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ অন্তত দুবেলা-দুমুঠো পেট ভরে ভাত খেয়ে শান্তি থাকতে চায়। তারা এত অট্টালিকা চায় না। রাজপ্রসাদ চায় না। বাড়ি-গাড়ি চায় না। ব্যয় সংকোচনের জন্য সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করুন। প্রতিদিন বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশনা প্রদান করুন। আমদানি-রপ্তানি খাত উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ-পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। পোশাক খাতকে যে কোনো উপায়ে সচল ও বাজার বাড়াতে বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে কনসালট্যান্ট নিয়োগ করুন। বাংলাদেশে জনসংখ্যা এখন মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলেছে বাইরের দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে জনশক্তি রপ্তানিতে আগের চেয়ে অধিকতর গুরুত্বারোপ করুন।
এবার যেভাবেই হোক নিত্যপণ্য দ্রব্যসমাগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি খাতে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাংক খাত এখন অনেকটা সেই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সংগ্রহ করা ব্যতীত চাকরি থাকছে না। প্রতিদিন ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই অব্যাহত আছে। যথাসাধ্য জনবল নিয়ে এখন ব্যাংকগুলো কোনোরকমে হামাগুড়ি দিয়ে চলছে। ব্যাংকের কয়েকটি শাখা ব্যতীত তাদের অধিকাংশ বড় বড় অফিস গুটিয়ে মাত্র দুয়েকজন কর্মচারী দিয়ে বুথের মাধ্যমে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। আপনার হাতে জাদুর কাঠি আছে, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আপনাকে দেখেছেন ‘ম্যাজিক লিডারশিপ’ এর ভূমিকায়, সত্যিই আপনি তাই। আপনি ১৮ কোটির এই দেশের মানুষকে যেভাবে দেখেন এবং দেশকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আপনার যে অদম্য ইচ্ছা, বাংলার জনগণ তা ইতোমধ্যে বুঝে গেছে। এই সোনার বাংলাদেশকে আপনি মায়ের মতো ভালোবাসেন, যা আপনাকে দেখলে অনায়াসে বোঝা যায়। দেশের প্রতি এমন মায়া-দরদ আপনার পিতা ব্যতীত আর কোনো সরকারপ্রধানের কাছে দেখিনি। আপনার অদম্য মনোবল, শক্তি, অটুট, সততায় আপনি এখন বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন। আপনি হচ্ছেন লৌহমানবী। একজন নারী হয়ে এই অল্প ক’বছরে দেশের গতি প্রকৃতিকে পাল্টিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ব নেতাদের চোখে আপনি এখন একজন আইডল, অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ‘শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়’ আপনি হারতে পারেন না। আপনি হারলে মানবতা ভূলুণ্ঠিত হবে, বিশ্ব হারিয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে কৃষক, কামার, কুমার, দ্বীন-দরিদ্র আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা। ভালো মানুষের শত্রæ আছে, ভালো কাজের শত্রæ আছে, হিংসা আছে, বিদ্বেষ আছে এসব কিছু আপনার পেছনে পেছনে লেগে থাকবে। কারণ আপনি জনপ্রিয়, ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়, তাই আপনাকে এই শত্রæদের প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগোতে হবে। আপনার পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর সন্তান হিসেবে জাতির অগ্রগামিতার প্রতীক নৌকার প্রতিকৃতি আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন সেই নৌকার মাঝি আপনি একজনই। আপনার অদম্য ইচ্ছা ও ভালোবাসায় নৌকা আজ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রতীকে রূপান্তর ঘটেছে। এই জাদুকরি ইচ্ছার অন্যতম জননীর নাম হচ্ছে শেখ হাসিনা। জয়তু বাংলাদেশ।

সাংবাদিক ও লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়