শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাল মিসর ও ইতালি : নির্বাচনের প্রশংসা স্কটিশ এমপির, আরো কয়েক বিদেশি নেতার শুভেচ্ছা

আগের সংবাদ

অবশেষে পশ্চিমাদের ইউটার্ন : সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে রাজি যুক্তরাষ্ট্র > নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক

পরের সংবাদ

এখনই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই নানা ধরনের উত্থান-পতন ঘটেছে। এবারের নির্বাচনটি যেহেতু বিএনপি এবং বেশকিছু রাজনৈতিক দলের বর্জন ও প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অনুষ্ঠিত করতে হয়েছে, তাই নির্বাচনে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্ব›িদ্বতার বিষয়টিকে রক্ষা করার জন্য দলের মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিতে হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে এমনটি অনেক জায়গাতেই ছিল না। এই প্রথম দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এটি আওয়ামী লীগের জন্য বেশ কিছু সমস্যাও তৈরি করেছে। অনেক আসনেই দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে একটি অংশ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এক বা একাধিক হলে তাদের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে এবং নীরবে সমর্থন দিয়েছে কিংবা কাজ করেছে। এ নিয়ে অনেক আসনেই বিরোধ, তিক্ততা, দ্ব›দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু অঞ্চলে দলের নেতাকর্মীদের একে অন্যের বিরুদ্ধে শুধু অংশ নেয়াই নয়, হামলা-ভাঙচুরের মতো ঘটনাতেও অংশ নিতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও বাড়িঘর, দোকানপাটে আক্রমণ, হামলা ইত্যাদি ঘটেছে। অনেকেরই আহত হওয়ার খবরও জানা গেছে। অনেকটা যেন পক্ষবিপক্ষের দ্ব›দ্ব-সংঘাতের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মনোমালিন্য, বিরোধ কর্মী-সমর্থকদের পর্যায়ে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। কোথাও নৌকার সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছে, আবার কোথাও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছে। অনেকটাই যেন পরস্পরবিরোধী দুই দলের মধ্যে নির্বাচনী দ্ব›দ্ব, সংঘাত ও বিরোধ তৃণমূল পর্যায়ে বিরাজ করছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য নতুন এক জটিল সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
দেশে যখন শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। নতুন সরকার এরই মধ্যে ঘটিতও হয়েছে, তখনো নির্বাচনে ঘটে যাওয়া সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো অনেক আসনেই বিরাজ করছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে যারা জয়লাভ করেছেন, তাদের অবস্থানটি একরকম। কিন্তু স্বতন্ত্র যেসব প্রার্থী জয়লাভ করেছেন, সেখানে দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মনোমালিন্য খুব সহজে মিটে যাবে এমনটি অনেক ক্ষেত্রেই না হতে পারে। বিশেষ করে দলের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে যারা পরাজিত হয়েছেন, তারা স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীদের বিজয়কে খুব সহজে মেনে নিয়েছেন এমনটি বলা যাবে না। নির্বাচনে ৬০ জন নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকেরই পরাজয়ের পেছনে নানা ধরনের কারণ রয়েছে। কোনো কোনো প্রার্থী নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। ফলে ভোটাররা বিকল্প প্রার্থীকেই বেছে নিয়েছে। দলের মধ্যেও আগে থেকে গ্রুপিং থাকায় অনেকেরই পরাজয় ঘটেছে।
এবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের ৬০ জন স্বতন্ত্র সদস্য এসেছেন। তাদের সমর্থকরা কত দ্রুত এলাকায় দলীয় কর্মকাণ্ডে আগের মতো যুক্ত হতে পারবেন, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এককথায় প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি কত স্বল্প সময়ের মধ্যে অবসান হবে তার ওপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার অবস্থানে দেখা যাবে। বিষয়টিকে হাল্কাভাবে দেখার সুযোগ নেই। এমনিতেই টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে বেশির ভাগ আসনেই আওয়ামী লীগের মধ্যে একাধিক গ্রুপিং ছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র সদস্য হওয়ার সুযোগ থাকায় সেটি অনেক জায়গাতেই জটিল হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দলের অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যেও বিভাজনটি অনেকক্ষেত্রে নানা মাত্রা লাভ করেছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগকে প্রতিটি আসন ধরে ধরে দলের অবস্থা মূল্যায়ন করার মাধ্যমে ঐক্য সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। সে কাজটি খুবই জটিল। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা হয়তো প্রতিটি আসনের বিভক্ত নেতাদের একসঙ্গে চলার উপদেশ দিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু সেটি কতটা স্থায়ী হবে কিংবা মনোমালিন্য দূর করবে, তা সহজে বোঝা যাবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে পদ-পদবি নিয়ে এমনিতেই প্রতিদ্ব›িদ্বতা ও প্রতিযোগিতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে গ্রুপিংও তৈরি হয়ে আছে। সেসবকে বিবেচনায় নেয়া খুব সহজ হবে না। সে কারণেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা এবং ঐক্য মেরামত করা। মনে রাখার বিষয় হচ্ছে এই মেয়াদের শেখ হাসিনা সরকারের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। এরই মধ্যে গঠিত মন্ত্রিপরিষদের সবাই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছেন। বিশেষত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কাজ করার বিষয়টিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা খুব সহজ হবে না। কারণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, ডলার সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির উচ্চচাপের কারণে আমদানিকৃত অনেক পণ্যের দামই সহজে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় তরিতরকারি, মাছ, মাংস সবাইকে ক্রয় করতে হয় সেসবের উৎপাদনেও নানা চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে। ফলে বাজারে সিন্ডিকেট, মজুতদারি এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে কিনা, তা বলা মুশকিল। তাছাড়া এ বছর অসময়ে বৃষ্টি, শৈত্যপ্রবাহ প্রলম্বিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত রবিশস্য, ধান, তরিতরকারি অনেক কিছুই কৃষকরা জমিতে বুনতে পারেনি। বাজারে এই মৌসুমে শাকসবজির যে সহজলভ্যতা থাকা প্রয়োজন ছিল, এবার তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সুতরাং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে যখন মনোযোগ দিতে হবে, তখন দলের অভ্যন্তরে ঐক্যের পরিবেশ যতবেশি কার্যকর হবে, তত সরকারের জন্য কাজ করা সহজ হতে পারে। এছাড়া বর্তমান সরকারকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুতই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানেও দলের সংহতি বিশেষভাবে প্রয়োজন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়লাভ যেন কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অতিউল্লাসের সৃষ্টি না করে। একইভাবে বিরোধীদের দুর্বল ভাবারও কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী বিরোধী শক্তি খুব সহজে রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় নেবে তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের আগে যুগপৎ আন্দোলনকারীরা সরকার উৎখাতের নানা ষড়যন্ত্র করেছিল, অবরোধ, হরতাল, অগ্নিসংযোগ, যাত্রীবাহী বাস-ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেছিল। নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি সত্য, রাজনীতিতে তাদের কৌশলের পরাজয় ঘটেছে। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে যাওয়ার নয়। নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়ার পরও যুগপৎ আন্দোলনকারীরা এই ফল নিয়ে নানারকম মিথ্যাচার করছে। নির্বাচন নিয়ে কটূক্তি, শ্লেষ এবং ফলকে মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। গোয়েবলসের তত্ত্ব অনুযায়ী কোনো মিথ্যাকে বারবার বলার মাধ্যমে সেটিকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে বাধ্য করার নীতি ও কৌশল রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়াশীলদের অবলম্বনের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীরা সেপথেই হাঁটছে। তাদের এসব অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার তখনই কোনো মূল্য পাবে না, যখন সরকার এবং আওয়ামী লীগ অর্থনৈতিক সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধান করার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে থাকবে, যখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশি বেশি গুরুত্ব লাভ করতে থাকবে, যখন দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের সত্যতা খুঁজে পাবে না। তখনই কেবল আওয়ামী বিরোধীদের রাজনীতি কার্যকারিতা হারাতে থাকবে। এই কাজটি দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে করতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যত বেশি আদর্শিকভাবে দলকে এবং দলীয় কর্মকাণ্ডকে জনগণের মধ্যে তুলে ধরবে, ততবেশি শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলের রাজনৈতিক সংগ্রামের বিষয়টিকে খুব একটা মাথায় রাখেন না। অনেকেই ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া এবং প্রভাব বিস্তার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সেসবের কারণে দ্ব›দ্ব, বিরোধ অনেক জায়গাতেই মানুষের কাছে ধরা পড়ে। তারপরও অনেকে রাজনৈতিক বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের পদ-পদবি, ক্ষমতা, অর্থ উপার্জনের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে নিকট অতীতে ছাত্রলীগকে অনেক জায়গাতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে মারামারি, সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। যুবলীগেরও নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা দ্ব›দ্ব সংঘাত ঘটেছে। এসবই শেখ হাসিনার ভাবমূর্তির জন্য সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পর সবাই আশা করছেন যে এই মেয়াদে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন রাজনীতি সচেতনভাবে মাঠে থাকবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে সরকার পরিচালনায় শেখ হাসিনা যেসব অর্জন সাধন করছেন সেগুলো যেন কোনোভাবেই কারো দ্বারা ¤øান না হয়- সেই দায়িত্ব প্রতিটি অঙ্গসংগঠনকেই নিতে হবে। এই মেয়াদের শেখ হাসিনার শাসনকাল ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। যদি ইশতেহারে উল্লেখিত বিষয়গুলো তিনি এবং তার সরকার সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। সেটি শেখ হাসিনার জন্য শুধু নয়, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্যও বিশেষভাবে প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে উপলব্ধি করতে হবে, সংহত হতে হবে। তাতে যদি ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে যুগপৎ আন্দোলনকারীরা বসে থাকবে না। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারের যে কোনো ব্যর্থতাকে নিয়ে জনগণকে মাঠে নামাতে। সেটি কেবল তখনই সম্ভব হবে, যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলের আদর্শ এবং করণীয় ভুলে গিয়ে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। বর্তমান সময়টি খুবই জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং। সে কারণে দলকে এখনই মনোযোগ দিতে হবে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শৃঙ্খলা, আদর্শ এবং দলের ইশতেহার বাস্তবায়নে সফল হওয়ার কাজকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের সরকার ও দলের ভূমিকাকে প্রতিষ্ঠিত করতে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়