নির্বাচন নিয়ে ডিএমপির সঙ্গেমার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক : মধ্যাহ্নভোজ করালেন অতিরিক্ত কমিশনার হারুন

আগের সংবাদ

সুষ্ঠু নির্বাচনে তিন চ্যালেঞ্জ : ভোটার উপস্থিতি, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা, প্রার্থীদের বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর সতর্কতার গুরুত্ব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচার ও গুজব আমাদের খুব বেশি ভাবাচ্ছে। গবেষণা বলছে, ধরন অনুযায়ী সত্য খবর মানুষকে আশান্বিত, আনন্দিত ও বেদনাহত করলেও মিথ্যা খবর বা গুজব মানুষের মধ্যে বিস্ময় ও বিতৃষ্ণার মতো তীব্র আবেগ তৈরি করে। এটি কীভাবে রোধ করা যায় সেটি নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার গণভবনে সাংবাদিকদের যে কোনো গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগে সবার হাতে হাতে মোবাইল। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে সহজেই দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে মানুষ। চারপাশে কী ঘটছে, কী শুনছে সেগুলো ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিক পেয়ে যাচ্ছে সবাই। এ দেশে পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের কাটা মাথা লাগা, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির পর হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বাতাসে মিশে অ্যাসিড বৃষ্টি তৈরি ইত্যাদি গুজবের কথা এখনো আমাদের কানে বাজে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় সবচাইতে বড় গুজব ছিল, চীনের লোকজন বাদুড়ের স্যুপ খায়, সে কারণেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। একশ্রেণির তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ এসব ব্যবহার করছে, অন্যকে বিশ্বাস করাতে ছড়াচ্ছে নানাভাবে। একটা শ্রেণি আবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকেও এসব ভ্রান্ত অসত্য তথ্য, গল্প বা ফেক ভিডিও ছড়াতে ব্যবহার করছে। এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন নানা কল্পকথা, মিথ্যাচার ছড়ানো হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। নিয়মিত বিরতির পরপর সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে এসব মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে গত কয়েক বছর ধরে গুজবের মাধ্যমে সরকার বা আওয়ামী লীগকে বিব্রত করার অপচেষ্টা চলছে। রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে, জনগণের কল্যাণে রাজনীতি। নীতিগত মতপার্থক্য রাজনীতির বৈশিষ্ট্য, কিন্তু ভালোকে ভালো বলার মানসিকতা বাদ দিয়ে, রাজনীতির চলমান রীতি বা রেওয়াজ বাদ দিয়ে অশুভ গুজবনির্ভরতা একাধারে হাস্যকর ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি চক্র কুতথ্য, গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এতে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। গণতান্ত্রিক নির্বাচনী পরিবেশকে দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশে গুজবকে ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি গুজব, অপপ্রচার প্রতিরোধে দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স¤প্রতি টাইম ম্যগাজিনে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে শুরু করে বিএনপি অফিসে জো বাইডেনের তথাকথিত উপদেষ্টার প্রেস কনফারেন্সসহ বিভিন্ন ভুল প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নানারকম ভুল সংবাদ অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়, টেলিভিশন টক শোও হয়। নির্বাচন যেহেতু সামনে তাই গুজব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি, এ সময় সাংবাদিকদের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতা জরুরি মনে করছি। গুজবের বিরুদ্ধে আইনকে আরো কার্যকর করতে হবে। তবে আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়