সিংগাইর : হাত কাটা ও গুলি করার হুমকিদাতার বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

নৌকা নেই, তাই আমেজ কম

পরের সংবাদ

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও অর্থনীতির স্বার্থে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ গঠনকল্পে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আর এই নির্বাচনের দিকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নজর রাখছে। বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনের দায়দায়িত্ব একমাত্র নির্বাচন কমিশনের। সংবিধানের ১১৯ ধারা মতে, নির্বাচন কমিশনকে অগাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনার জন্য। বস্তুতপক্ষে নির্বাচন কমিশনকে যতখানি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তা অন্য কোনো সাংবিধানিক অথবা আইন দ্বারা গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হয়নি। কাজেই কমিশনকে কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। আর অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অন্যতম পূর্বশর্ত। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সুনির্দিষ্ট মডেল বা তত্ত্ব নেই। নির্বাচন সম্পর্কে অনেক পণ্ডিত ভোটদানের আচরণ বিশ্লেষণ করার জন্য যুক্তিবাদী পছন্দ এবং পাবলিক চয়েস তত্ত্ব ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কিত মূলত অর্থনৈতিক তত্ত্ব। জনসাধারণের পছন্দের বিষয়টি যৌক্তিকভাবে ব্যাখ্যা করার লক্ষ্যে একে ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে গণ্য করা হয়।
তখনই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলা যায়, যখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনাকারী নিয়ম, বিধান, প্রবিধান এবং আইন অনুসরণ করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচকদের বা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য গ্রহণযোগ্য প্রার্থী স্বাধীনভাবে এবং ন্যায্যভাবে নির্বাচিত হয়ে থাকে। অন্য কথায়, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, একটি নির্বাচনী ফলাফলকে বৈধতা দেয়। ল্যারি ডায়মন্ডের (২০০২) মতে, চারটি প্রধান উপাদানের ওপর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারণা নির্ভর করে। এগুলো হলো : (১) রাজনৈতিক দল; (২) ব্যক্তি; (৩) ভোটদান প্রক্রিয়া এবং (৪) নির্বাচনের ফলাফল।
ডায়মন্ডের যুক্তি অনুসারে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় একটি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু হিসেবে বিবেচনা করার জন্য:
‘দলগুলোকে অবশ্যই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে, সংগঠিত করতে, সদস্যদের নিয়োগ করতে, নীতিগুলো স্পষ্ট করতে, মঞ্চে নির্ভর করতে এবং সর্বোপরি ভোট চাওয়ার জন্য স্বাধীন হতে হবে। রাজনৈতিক ব্যবস্থা যত কম বিরোধী দলগুলোকে (সংগঠিত ও প্রচারণার কাজ থেকে) বিরত রাখে এবং এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি নির্দিষ্ট দলের (সাধারণত ক্ষমতাসীন দল) পক্ষে যত কম হয়, নির্বাচন ততই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলা যেতে পারে।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত মোট ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে নির্বাচনের ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতের দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া সঙ্গত। গণতন্ত্রহীন এবং নির্বাচনের ভয়ে ভীত পাকিস্তানে ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম পার্লামেন্টারি নির্বাচনে (শতকরা ৭৫ ভাগ ভোটারের সমর্থনপুষ্ট) বিজয়ীরাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, পরিচালক ও সমর্থক দেশের তৎকালীন ভোটার ও আপামর জনসাধারণ। এই নির্বাচনে বিজয়ীদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত চক্রই মূলত ১৯৭০-এর নির্বাচনে পরাজিত (শতকরা প্রায় ২৩ ভাগ ভোট পাওয়া) এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্রতিভূ। এরা এবং এদের আদর্শিক চেতনার উত্তরাধিকারীরাই বর্তমানে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার নামে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যার লক্ষ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে। ল্যারি ডায়মন্ড ‘অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের’ যে সূত্র দাঁড় করিয়েছেন নির্বাচন প্রতিহত করার ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় লিপ্ত পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি ‘অগ্রহণযোগ্য এবং অগণতান্ত্রিক’। অতএব আমরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব অনুসারে জামায়াত বিএনপির নির্বাচনবিরোধী তৎপরতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং অগণতান্ত্রিক’ হিসেবে গণ্য করতে পারি।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত, ‘ভোট প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই। কেউ প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সাত বছরের জেল হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটকে যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ অন্যকে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করলে এবারের সংশোধিত বিধি মোতাবেক সাত বছর পর্যন্ত জেল বা অর্থদণ্ড করার বিধান করা হয়েছে। ল্যারি ডায়মন্ড প্রদত্ত যুক্তি অনুসারে, একটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার জন্য, ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য স্বাধীন হতে হবে- তাদের পছন্দের দলে যোগদান করতে, এটির পক্ষে প্রচারণা করতে, এর প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক অফিস খোঁজার জন্য এবং অবশ্যই, এটিকে ভোট দিতে (বা মোটেও ভোট দেবেন না)। দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের অধীনে থাকার ফলে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। ফলে এখানে ভোটার এবং অধিকাংশ প্রার্থীর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতার বৈশিষ্ট্য সংবলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি জন্ম লাভ করেনি। এজন্য প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে প্রায়ই সহিংসতা লক্ষ করা যায়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল করতে আমরা বাধ্য হব।’
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের একের পর এক শোকজ ও তলব করা হচ্ছে। লাগাম টানতে মাঠের প্রতিবেদনের আলোকে কোনো কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও করছে কমিশন। এরপরও থামানো যাচ্ছে না অনেক প্রার্থীকে। বেপরোয়া এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরো হার্ডলাইনে যাচ্ছে ইসি। সে ক্ষেত্রে এবার প্রথম বারের মতো প্রার্থীদের বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কমিশন।
উপরন্তু ভোটদান এবং ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার ওপর :
প্রতিটি ব্যক্তির একটি এবং শুধু একটি ভোট থাকা উচিত এবং… প্রতিটি ব্যক্তিকে সমানভাবে গণনা করা উচিত… যে কেউ কিছু সীমিত শর্ত (যেমন ন্যূনতম বয়স এবং সুস্থ মন) সন্তুষ্ট করে তাদের নিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়, কোনো নিবন্ধিত ভোটারকে বাধা দেয়া উচিত নয় ভোট দেয়া থেকে, বা কাউকে একবারের বেশি ভোট দেয়ার অনুমতি দেয়া উচিত নয়, বা বৈধভাবে দেয়া ব্যক্তিদের ব্যতীত কোনো দলের জন্য কোনো ভোট গণনা করা উচিত নয়, বা আইনত এবং সঠিকভাবে দেয়া ভোট বাতিল বা উপেক্ষা করা উচিত নয়। নির্বাচনের ফলাফলের ওপর, একটি নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে যদি ফলাফল সঠিকভাবে রিপোর্ট করা হয় এবং বৈধ ভোটারদের অফিস গ্রহণ করার অনুমতি দেয়া হয়।
তদনুসারে, যখন ল্যারি ডায়মন্ড কর্তৃক চিহ্নিত চারটি উপাদানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সব শর্ত একটি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, আচরণ এবং ফলাফলে পরিলক্ষিত হয়, তখন সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী এটি গ্রহণযোগ্য। অতীতের নির্বাচনগুলোতে সংঘটিত সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কেউ যদি ভোটারদের ভয়ভীতি বা কোনো ধরনের নির্বাচন আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি কাজ করে তাহলে যথাযথ আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্ভয়ে গিয়ে ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন সেটি নিশ্চিত করার জন্য দেশের নির্বাহী বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিশেষত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখার জন্য এখানে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তারা কাজ করছেন।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন নির্বাচনী আসন টহল দেবে। যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন। তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী, কোনো দলের কর্মচারী না, কোনো সরকারের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাহী বিভাগের সবার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রের যাকে যেখানে প্রয়োজন, তাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দায়িত্ব যদি পালন না করেন, অপরাধ যেটা হবে, এই অপরাধের জন্য দায়ী হবেন।
ইতোমধ্যে নির্লিপ্ততা ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু থানার ওসিকে প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে আরো ৭৯ পুলিশ পরিদর্শকের (ওসি) বদলির অনুমতি চেয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পুলিশ অধিদপ্তরের ৩০ পরিদর্শক (সশস্ত্র), ৪৬ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এবং শহর ও যানবাহন শাখার তিন পরিদর্শককে বদলি কিংবা পদায়নের সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৩৩৮ থানার ওসি ও ২০১ জন ইউএনওকে বদলির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।
ইসি সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সহিংস হয়ে উঠেছে ভোটের পরিবেশ। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যেই দুজন নিহত ও বহুসংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন পর্যন্ত সহিংসতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এমন প্রেক্ষাপটে কমিশনের করণীয় নিয়ে সম্প্রতি আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে তিনজন কমিশনারের উপস্থিতিতে অনির্ধারিত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান এতে অংশ নেন। সে সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও কমিশনার রাশেদা বেগম ঢাকার বাইরে ছিলেন। বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ তালিকায় রয়েছেন বরগুনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আব্দুল হাই ও মাদারীপুর-৩ আসনের প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপসহ আরো কয়েকজন। মাঠের আরো কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পরই তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাবে বলে কমিশন থেকে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ পেলে নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে যে কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করবে।
এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ইতোমধ্যেই বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এ পর্যন্ত অন্তত ২১৫ জন প্রার্থী ও তাদের সমর্থককে শোকজ করেছে। কারণ দর্শানোর জন্য তলব করা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে। এর মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং প্রার্থীদের অনুসারীরাও রয়েছেন। বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। আর এভাবেই আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য উপায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

প্রফেসর ড. অরুণ কুমার গোস্বামী : পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ঢাকা; সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়