ধরা পরে কানের দুল গিলে ফেলল ছিনতাইকারী

আগের সংবাদ

ইসিকে কঠোর হওয়ার তাগিদ

পরের সংবাদ

আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্রকে সুশৃঙ্খল, সুন্দর, গতিশীল একটি পরিকল্পিত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালনা করার জন্য যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই দেশ পরিচালনার জন্য যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে পার্লামেন্টে গিয়ে থাকেন। সেখানে সংসদ সদস্যরা দেশের জনগণের সুখ-দুঃখ, সমস্যা-সম্ভাবনা প্রয়োজনীয় সবকিছু তুলে ধরেন। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ এলাকার জন্য জনগণের দাবি-দাওয়া পূরণ করার জন্য সবকিছু পাস করিয়ে আনেন। তাই জাতীয় সংসদের সদস্যদের যোগ্যতা, ক্ষমতা, সততা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেখেই তাদের ভোট প্রদান করা দরকার। যাদের দলীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য রয়েছে, আমানতদারী রয়েছে, জনগণের প্রতি ভালোবাসা প্রদান করার ও আদায় করার যোগ্যতা রয়েছে সেসব সাংসদকে ভোট প্রদান করা দরকার। দুর্নীতিবাজ, অসৎ চরিত্র, কালো টাকার মালিক, দেশ রাষ্ট্রদ্রোহী কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত মাদক, নারী, শিশু পাচারকারী অসৎ চরিত্রের কোনো ব্যক্তিকে যেন জনগণ ভোট না দেয়। যোগ্য ও আদর্শবান নেতাকে নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে পাঠাতে পারলেই নিজ নিজ এলাকার সমৃদ্ধি, উন্নতি, অগ্রগতি সম্ভব। তাই ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমানত হিসেবে এই ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে। যারা দেশ ও জাতির কল্যাণ, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি চিন্তায়-চেতনায় বাস্তবায়ন করবে সেই ধরনের নেতৃত্বকে নির্বাচিত করা ভোটারদের দায়িত্ব। ভোটকে রাতের আঁধারে নগদ অর্থের বিনিময়ে সামান্য সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রæতি নিয়ে অসৎ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ কোনো প্রার্থীকে বিজয় করা দেশ, জনগণের কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়।
ভোটের মাঠে সহিংস ঘটনা করে অন্য প্রার্থী ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা নির্বাচনবিরোধী কার্যকলাপ। নির্বাচন পরিপন্থি কোনো আচার-অনুষ্ঠান নির্বাচন প্রচার কার্যক্রমে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ইনশাআল্লাহ অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে সামনে নিয়ে ইতোমধ্যেই সারাদেশের সব সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে জোর তৎপর। প্রচার-প্রচারণা চলছে। সেই প্রচার-প্রচারণায় এলাকায় এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়া, অন্য দলের সমর্থকদের ওপর হামলা, আক্রমণ, মিথ্যা মামলার নানা ধরনের উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই জনগণ দেখতে পাচ্ছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া, হাটহাজারী প্রায় সব আসনে নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এক প্রার্থীর সমর্থক অন্য প্রার্থীর কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে মারপিটে অংশ নিচ্ছে। দাওয়া-পাল্টা দাওয়া, এক প্রার্থীর পোস্টার আরেক প্রার্থীর কর্মীরা ছিঁড়ে ফেলছে। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট থানা ও নির্বাচন কমিশন বরাবরে অভিযোগ-মামলায় জমা হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। ভোটারদের মধ্যে আনন্দ-উদ্দীপনা তৈরি করতে হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ভোটাররা নীরবে উদ্বিগ্নহীনভাবে আনন্দঘন পরিবেশে কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের হাঙ্গামা, বিশৃঙ্খল পরিবেশ নির্বাচনকে নষ্ট করবে। নির্বাচনবিরোধী, ভোটবিরোধী সব ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ বর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক দল ও নির্বাচনের প্রার্থীদের সেই জায়গায় কঠোরভাবে সংযম প্রদর্শন করতে হবে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোট প্রদানের মাধ্যমে যে বা যারা বিজয়ী হবে তাদেরই জাতি বরণ করে নেবে। আসুন আমরা সব ধরনের নির্বাচনবিরোধী বিশৃঙ্খল পরিবেশ বর্জন করি। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সমাপ্ত করতে এগিয়ে আসি। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব- ঐক্যবদ্ধ হই।

মাহমুদুল হক আনসারী : লেখক : চট্টগ্রাম।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়