ভালা জার্নালিস্টস ফোরাম : সভাপতি রুমেন পরশ সাধারণ সম্পাদক

আগের সংবাদ

নাশকতার টার্গেট এখন রেল

পরের সংবাদ

নির্বাচনী ট্রেনের শেষ যাত্রা ৭ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনকারী বেশকিছু দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু বর্জনের মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ থাকছে না, নির্বাচন প্রতিহত বা বানচাল করারও কথা কোনো কোনো নেতা উচ্চারণ করে থাকেন। ২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধ একের পর এক ডাকা হচ্ছে। হরতালের আগের রাতেই গাড়ি পোড়াপুড়ি, ভাঙচুর ইত্যাদিরও ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। কিন্তু তাতে এখন আর যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকছে না। ফলে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি এতটাই অকার্যকর হয়ে গেছে যে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধের কথা এখন আর কেউ জানতেও চায় না। একসময় হরতাল ডাকা হলে মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ত যে, অমুখ দিন হরতাল, সুতরাং রাস্তাঘাটে গাড়ি চলবে না, কোথাও যাওয়াও যাবে না। কিন্তু সেই দিন বোধহয় এখন চলে গেছে, হরতাল-অবরোধের কার্যকারিতা এখন আর কেউ উপলব্ধি করছে না। বিএনপিসহ যারা হরতাল ডাকছেন তারাও বিষয়টা দেখছেন, ঘোষণাও দিচ্ছেন যে নতুন কর্মসূচি আসছে। কিন্তু হরতাল-অবরোধের পর নতুন কর্মসূচি আর কী হতে পারে, তা তারাও খুলে বলছেন না। নতুন কর্মসূচিও দেখা যাচ্ছে না। হরতাল-অবরোধের পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। অবরোধ বলতে যা বোঝায় তার কিছুই বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীদের অবরোধে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে নাশকতার ঘটনায় নতুনত্ব সংযোজিত হয়েছে। গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইনের ২০ ফুট কেটে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। কুয়াশা থাকার কারণে ট্রেনের গতি ছিল খুব কম। তাই ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তাতে একজন যাত্রী ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন, রেলচালকরা আহত হন, যাত্রীদের মধ্যেও কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। প্রথমে অনেকে বিষয়টি বুঝতে পারেনি। পরে দেখা গেছে রেললাইনের ২০ ফুট কেটে দুর্বৃত্তরা সটকে পড়েছে। দুটি গ্যাস সিলিন্ডার রেললাইন কাটাকাটির জন্য আনা হয়েছিল, একটি ব্যবহার করা হয়েছে। রেললাইন কাটার বেশকিছু যন্ত্রপাতিও তারা ব্যবহার করেছে। ট্রেনটি যদি স্বাভাবিক গতিতে থাকত তাহলে অনেক যাত্রীরই হতাহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দুর্ঘটনার পরপরই গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করার কাজে নেমে পড়ে। গত ১৭ তারিখ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ জনের মধ্যে ৩ জন জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। ধরা পড়া দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিরা বিএনপির স্থানীয় অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। বাস-ট্রাক ও যানবাহনে আগুন লাগিয়ে মানুষের গতিপথ স্তব্ধ করা যায়নি। তাই বোধহয় রেল দুর্ঘটনা ঘটানোর বুদ্ধিটি তাদের মাথায় চমৎকারভাবে কাজ করেছিল! ঠিক একই সময়ে নীলফামারীতেও রেললাইন কাটাকাটির সময় স্থানীয় লোকজন টের পান। তারা এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত সেখানে কেউ ধরা না পড়লেও ট্রেনলাইন কাটাকাটির বিষয়টি আন্দোলনকারীদেরই নাশকতার অংশবিশেষ বলে অনুমান করা যাচ্ছে। কিন্তু যারা রেললাইন কাটাকাটি করে দুর্ঘটনা ঘটাতে চাচ্ছে তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস আর দুর্বৃত্তায়িত মানসিকতার বিষয়টি সবাইকেই হতবাক করার মতো। গাজীপুরে ধরা পড়া দুর্বৃত্তদের জবানি থেকে জানা গেছে, তাদের পরিকল্পনা ছিল সারাদেশে একটি ভয়ের বার্তা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা। শত শত মানুষের জীবন হয়তো তাদের একটি রেললাইন কাটার কারণে চিরকালের জন্য শেষ হয়ে যেত। এই মানুষদের কোনো অপরাধ নেই, দলীয় পরিচয়ও নেই। কিন্তু তাদের জীবন সংহার করে দলীয় নেতাকর্মীরা সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ জানানোর জন্য যে দুর্ঘটনাটি ঘটাত তার উত্তর কোনো বিবেকবান মানুষের কাছে থাকার কথা নয়। জানা গেছে, রেললাইন কাটার জন্য তারা কয়েকদিন থেকেই গোপন মিটিং, পরিকল্পনা এবং জায়গা রেকি করার কাজ করেছে। এরপর ঠিকই তারা ২০ ফুট রেললাইন অক্সি-অ্যাসিটিলিন কাটার দিয়ে কেটেছে। ভাবতে অবাক হতে হয় নাশকতার কাজে দলীয় নেতাকর্মীরা এভাবে যুক্ত হলে সেই রাজনীতির কোনো প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির জন্য আদৌ থাকে কিনা। বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী রেললাইন কাটার বিষয়টি নিয়ে যে বিবৃতি প্রদান করেছেন সেটি দেখা যেতে পারে। অনলাইনে দেয়া তার বিবৃতিটি ছিল, ‘বগি লাইনচ্যুতের ঘটনা নিঃসন্দেহে নাশকতামূলক কাজ। যে বা যারা এ ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মানবতার শত্রæ। দু-একটি গণমাধ্যম ট্রেনের এ বগিচ্যুতের ঘটনায় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনরত দলগুলোর ওপর দোষ চাপানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা গভীর চক্রান্তমূলক। এতেই প্রমাণিত হয় এবং জনগণ বিশ্বাস করে যে, সুপরিকল্পিতভাবেই এ ধরনের নাশকতা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই দু-একটি গণমাধ্যম বিরোধী দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে ন্যক্কারজনক অপপ্রচার চালাতে শুরু করেছে।’ ধরা পড়া দুষ্কৃতকারীদের দলীয় পরিচয় জানার পর রিজভী আহমেদ কী বলবেন? দুই-একটি মিডিয়াকে দোষ দেয়া এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর কোনো ঘটনা ছিল কিনা, সেটি এখন রিজভী সাহেব স্বীকার করবেন নাকি তার মতো করেই তিনি বলে যাবেন? রেললাইন কাটার নজির এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ এবং ’১৫তেও রেল পোড়াপুড়ি, লাইন উপড়ে ফেলা, অ্যাক্সিডেন্ট ঘটানোর কাজে আন্দোলনরত জামায়াত-বিএনপি জোটের কর্মীদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করার উপায় নেই। নাশকতা দিয়ে কোনো আন্দোলন হয় না, জনসমর্থনও পাওয়া যায় না। এটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বোঝার কথা। কিন্তু নিজেদের গণতান্ত্রিক শক্তি, নিজেদের আন্দোলনকে জনগণ ও গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলার পর যারা যানবাহনে আগুন দেয়, রেলের বগিতে আগুন দেয়, লাইন কাটাকাটির মতো অমানবিক অপরাধ করে সেটিকে যারা সমর্থন করে, দলের পক্ষ থেকে সমর্থন কিংবা নীরবতা পালন করা হয়, তখন সেসব রাজনৈতিক দলের আদর্শের অবস্থানটিও পরিষ্কার হয়ে যায়। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা অবরোধ ও হরতালের সময় গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ইত্যাদি নিয়ে বুক ফাটা চিৎকার, আর্তনাদ করেন। অথচ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, রেললাইন কাটাকাটির নাশকতামূলক কাজের ব্যাপারে টুঁ শব্দও করেন না, ক্ষেত্রবিশেষে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন, সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীর কাজ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। তাদেরও রাজনৈতিক সততার নমুনাটি মানুষ বুঝে নিতে পারে।
যুগপৎ আন্দোলনকারীরা এরই মধ্যে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে একটা কিছু হয়ে যাবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। এটি সম্ভবত তাদের ৬০তম আল্টিমেটাম। কিন্তু ১৭ তারিখ চলে গেল আল্টিমেটামের তো কিছু হলো না। তবে বোঝা গিয়েছিল যে নির্বাচনে অংশ নেয়া কোনো কোনো দল ১৭ তারিখ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবে। আওয়ামী লীগ তাতে একা হয়ে যাবে। সে রকমই কিছু একটা তাদের কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছিল। যারা মনোনয়নপত্র তুলে নেবেন বলে আন্দোলনকারীরা ভেবেছিলেন কিংবা তাদের সঙ্গে তলে তলে কথাবার্তা হয়ে থাকতে পারে, তারা শেষ পর্যন্ত তাদেরও হতাশ করলেন। এখন নির্বাচনী ট্রেন ৭ জানুয়ারির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। রেললাইন কেটে একটি দুর্ঘটনা ঘটাতে পারলেও নির্বাচনী ট্রেন এখন শেষ স্টেশনটি ত্যাগ করে সর্বশেষ স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। এখানেও যুগপৎ আন্দোলনকারীরা বসে থাকবেন, কিছুই করবেন না, সেটি বোধহয় আশা করে বসে থাকলে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের ট্রেনে ওঠা প্রার্থী, দল ও অংশীজনরা ভুল করবেন। ২০১৩-১৪-এর অভিজ্ঞতায় বলে নির্বাচনবিরোধীরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থেমে থাকেনি। নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙচুর-পোড়াপুড়ির অভিজ্ঞতা বলে দেয় যে এবারো সেই একই অপশক্তি নির্বাচন প্রতিহত করার অবস্থান থেকে সরে যায়নি। প্রায় প্রতিদিনই হুমকি দেয়া হচ্ছে। এখনো বলা হচ্ছে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে, কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন বাতিল করতে হবে- হবে হবের এই দাবি প্রতিদিনই শুনতে হচ্ছে। নির্বাচনী ট্রেন ছাড়ার আগেই বলা হয়েছিল ট্রেন ছাড়তে দেয়া হবে না। কিন্তু ট্রেন একে একে অনেকগুলো স্টেশনই পার হয়ে এসেছে। ১৭ তারিখ নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা কম হয়নি। জাতীয় পার্টির নাটকীয়তা এবারো দেখা হয়েছে। সেটিকেও মীমাংসা করতে হয়েছে। জাকের পার্টি বড় কিছু একটা আশা করেছিল। সেটি না ঘটায় তাদের ৯-১০টি আসন রেখে বাকিগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির নির্বাচনে ফিরে আসাটি যুগপৎ আন্দোলনকারীদের আশায় গুড়ে বালি ঢেলে দিয়েছে। সে কারণেই আন্দোলনের আউটসোর্সাররা ১৭ তারিখ নিয়ে এতদিন যেভাবে উজ্জীবিত ছিলেন, ১৭ তারিখ তাদের হতাশ করল।
নির্বাচনী ট্রেন ১৮ তারিখ থেকে নতুন গতিতে ৭ জানুয়ারি শেষ স্টেশনে পৌঁছার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে। এখন সতর্ক থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। অংশ নেয়া রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের, নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও প্রশাসনিক সব ব্যক্তিকেও থাকতে হবে কঠোর অবস্থানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অনেক গুজব ছড়িয়েছে, ছড়াচ্ছে এবং আরো ছড়াবে। অংশ নেয়া প্রার্থী এবং সমর্থকরা যদি আচরণবিধি ভঙ্গ না করেন, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনটিকে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন, তারপরও অপপ্রচারকারীরা বসে থাকবে না। জয় বাংলা সেøাগান দিয়ে কোনো কেন্দ্রে ঢুকে সিল মারার মতো অপকর্ম করার চেষ্টা করা হতে পারে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা যদি ২৮ অক্টোবর এতটা প্রস্তুত থাকতে পারেন, তাহলে জয় বাংলার ভুয়া সেøাগানধারীদের ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার ছবি ভাইরাল করার চেষ্টা হবে না তা বলা যাবে না। ভুয়া সিল, ভুয়া ব্যালট পেপার ও ভুয়া নির্বাচনী কেন্দ্র সাজিয়ে জয়বাংলা সেøাগান দিয়ে ব্যালট পেপারে সিলছাপ্পর মারার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার দুর্বুদ্ধি নির্বাচনবিরোধীদের ঝুড়ি থেকে যে বের হবে না তা কিন্তু মোটেও বলা যাবে না। সুতরাং এখনকার সাবধানতা প্রতিদিনের, প্রতিটি মুহূর্তের। নির্বাচনটিকে কলঙ্কিত করার জন্য যারা আছেন, তারা বসে নেই আর যারা অংশ নিচ্ছেন তারা যদি একে অপরের বিরুদ্ধে উত্তেজনায় থাকেন তাহলে ঠাণ্ডা মাথার ভুয়া আন্দোলনকারীরা অনেক কিছুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখাতে পারেন, যা অনেকের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। নির্বাচনী ট্রেন চলছে। শেষ যাত্রাটি যেন সবারই নজরদারিতে থাকে। তাহলেই রেললাইন কাটাকাটি, পোড়াপুড়ি আর নির্বাচনকে বিতর্কিত করার সব অপচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। এ পর্যন্ত তারা ব্যর্থই হয়েছে, সামনে তারা সফল হতে চাইবে। কিন্তু সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনে অংশ নেয়া সব মহলেরই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতেই হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়