মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪০

আগের সংবাদ

মাঠের লড়াই জমবে এবার : আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু আজ থেকে > মোট প্রার্থী ১৮৯৬ > আ.লীগ ২৬৩, জাপা ২৮৩

পরের সংবাদ

অপশক্তিকে রুখে দেয়ার অঙ্গীকার : বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ঢাকা ও সাভার : মহান বিজয় দিবসের ৫২তম বছরে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছে জাতি। ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে গতকাল শনিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয় স্মৃতিসৌধের বেদি। আগতদের গায়ে লাল-সবুজ পাঞ্জাবি, কারো শাড়ি, মাথায় লাল-সবুজ ব্যান্ড, হাতে ফুলের ডালা; সব বয়সের, সব শ্রেণিপেশার মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ারে বিজয় দিবসে মুখরিত ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশপাশ এলাকা। অনেকের হাতে শোভা পেয়েছে হরেক রকম ব্যানার। কণ্ঠে ছিল দেশের গান। চারদিক থেকে মানুষের স্রোত গিয়ে মিশেছে স্মৃতিসৌধে। মহান বিজয় দিবসে দেশবিরোধী সব অপশক্তি রুখে দেয়ারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আশা বাঙালিরা। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তারা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল ‘গার্ড অব অনার’ দেন। বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানরা, সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশও সংস্থার প্রতিনিধি এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বীর শহীদদের প্রতি আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এ এইচ এন খায়রুজ্জমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা এগিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি।

আগামী দিনে এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, একটা ভিশন নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ। দেশে যে অপশক্তি নির্বাচনের বিরোধিতা করছে ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে; এরা শুধু সাম্প্রদায়িকতা কায়েম করতে চায় না, দেশের রাজনীতি ধ্বংস করাই এদের মূল লক্ষ্য। এই অপশক্তিকে রুখবো এটাই আজকের দিনের অঙ্গীকার। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধ শক্তিকে প্রতিহত করব, পরাজিত করব।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। পরে সারিবদ্ধভাবে একে একে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ফুলে ফুলে ভরে উঠে মূল বেদি।
একে একে বেদিতে শহীদ পরিবারের সস্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা, বিএনপি, গণফোরাম, যুক্তফ্রন্ট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানায়। এ ছাড়া আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতীলীগ, জাতীয় পার্টি (জেপি), ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এদিন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মহান নেতা ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল : ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত উপেক্ষা করেই গতকাল জাতির বীর সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ফুলে ভরে উঠতে শুরু করে শহীদ বেদি। সবার হাতে ছিল লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা আর বিভিন্ন রংবেরঙের ফুল। পোশাকেও লাল-সবুজের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার অনেকের হাতে শোভা পায় নানা ধরনের ব্যানার। কণ্ঠে ছিল দেশের গান। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। চারদিক থেকে মানুষের স্রোত গিয়ে মিশছে স্মৃতিসৌধে। মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি।
শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাভারের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, আজ স্মৃতিসৌধে গণমানুষের ঢল নেমেছে। প্রতি বছরই এই ঢল নামে এখানে। আমিও আমার সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু আমার সহযোদ্ধারা এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে জীবন দিয়েছেন। তারা দেখে যেতে পারেননি স্বাধীনতা। আজ তারা সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধায় সিক্ত। এটাও আমার কাছে বড় পাওয়া। গাজীপুরের মাওনা থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আরিফুর রহমান বলেন, আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যারা যুদ্ধ করেছেন, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন; তাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছরই স্মৃতিসৌধে আসি। এবারো এসেছি।
সাভার থেকে শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন আহসান হোসেন। তিনি বলেন, যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আজ আমাদের স্বাধীনতা- তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের দাযিত্ব রয়েছে। শুধু শ্রদ্ধা জানালে হবে না। এসব দায়িত্ব আমাদের সবার, আমরা যারা স্বাধীনতা ভোগ করছি। শ্রদ্ধা জানাতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা সফের আলী বলেন, আমরা দেশের মানুষকে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছি। আজকে আমরা স্বাধীন। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে চলছে, স্বাধীনভাবে বেঁচে আছে। এটা দেখে গর্বে বুক ভরে যায়। জীবনে আর চাওয়ার কিছু নেই। যারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে জীবন দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আজ লাখ লাখ জনতা। এ চিত্র দেখে জীবনে আর চাওয়া কি থাকতে পারে? যারা জীবন দিয়েছে তারা হয়তো আজ এ চিত্র দেখতে পারবে না। কিন্তু তাদের হয়ে আমি দেখছি যে বাংলার মানুষ তাদের কতটা শ্রদ্ধায় সিক্ত করেছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাক টিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি ডাটাকার্ড অবমুক্ত করেন। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই স্মারক ডাক টিকেট অবমুক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এই ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তী সময়ে সারাদেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলোতেও পাওয়া যাবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ফলমূল এবং মিষ্টান্ন পাঠান। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এসব পৌঁছে দেন।
দিবসটি উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে রাজারবাগ স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর পুলিশ সদস্যদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ডিএমপির একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দিয়ে শহীদদের সম্মান জানায়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও রংবেরঙের পতাকায় সাজানো হয়। শহীদদের আত্মার শান্তি, জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মের উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র কুরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সব শহীদ এবং জাতির পিতার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়