নীরব-মজনুসহ বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড : নাশকতার তিন মামলা

আগের সংবাদ

অপশক্তিকে রুখে দেয়ার অঙ্গীকার : বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

পরের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হোক মূলমন্ত্র : সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের আকাক্সক্ষাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলমন্ত্র- যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য, যেখানে প্রত্যেক মানুষের একটা কিছু করে খাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে শিক্ষা হবে সবার অধিকার। যেখানে নারী পুরুষের বৈষম্য থাকবে না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। বিশেষ করে সামাজিক কাঠামোতে একটা দৃঢ়তা আনার প্রবল প্রচেষ্টা ছিল দৃশ্যমান। তার খুব অল্পই আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এখানে আমাদের একটা দুঃখ রয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আমরা যেটা বুঝি; সেটাকে নিয়ে কেউ কেউ এখন ঠাট্টা করে। যেহেতু আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে; এজন্য আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও বিরোধিতা করে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রত্যেকেরই মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে মননে ধারণ করা উচিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মালিকানা নেয়া উচিত বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষেরই।
ডানপন্থি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করে দেখার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করি। আর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশটা তো পাকিস্তানের দিকে চলে গেল। যে জয় বাংলা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করলাম, সেটা হয়ে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। তখন তো আমাদের কারো বুঝতে আর বাকি থাকল না- দেশটা কোন দিকে চলে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা; মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের শত্রæ ছিল বরং তাদের মিত্র ভেবে ওইদিকে রওনা করে দেয়া হলো। এরপর দেশে আর কি কি হতে পারে সেটা তো বোঝাই যাচ্ছিল। আর এখন দেশের ভেতর বিভাজন তো চলছেই।
একটা দল আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের মনে করছে; যদিও মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যেক মানুষেরই অধিকার ও অংশগ্রহণ ছিল। আরেকটা দল আছে যারা মুক্তিযুদ্ধকে নিজের মতো করে লিখছে। বঙ্গবন্ধুকে একদম অস্বীকার করছে; বঙ্গবন্ধুর নামটা একেবারে মুছে ফেলে তারা নিজেদের মতো ইতিহাস লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখন এভাবেই চলছে দেশ। এসব দেখে আমার এখন লজ্জা লাগে। অথচ একাত্তরে আমার অনেক বন্ধু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। যদিও আমি যুদ্ধে যেতে পারিনি পারিবারিক কারণে। এটা আমার অনেক বড় দুঃখ। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধে গেছেন তারা কি স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা দেখার জন্যই যুদ্ধ করেছিলেন?
আমার এক মুক্তিযোদ্ধা বন্ধু বলেন, ‘আমার লজ্জা লাগে, এই দেশটা স্বাধীন করার জন্য আমি আমার একটা আঙুল হারিয়েছি। এ আমার অতি ক্ষুদ্র ক্ষতি। কিন্তু অনেকে প্রাণ দিয়েছে এই দেশটার জন্য। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন হাসি ঠাট্টার বিষয় হয়ে গেছে! এটা আমাকে সবচে বেশি পীড়া দেয়। যে দেশের জন্মের ইতিহাসটাকে বিকৃত এবং অসম্মান করে কিছু মানুষ আনন্দ পায়- সেই দেশটা কোনোদিন কোথাও দাঁড়াতে পারবে বলে আমার

মনে হয় না। আগে বিশ্বাস করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামে একটা জিনিস ছিল। একটা দেশের বিশাল সংখ্যক মানুষ যদি মনে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটা ঠাট্টা করার জিনিস, সেই দেশে চেতনা বাস্তবায়নইবা কীভাবে হবে? আর সেই লক্ষ্যে যাওয়াইবা কীভাবে হবে?’
এখন আরো দেখতে পাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দূরে থাক; বরং পাকিস্তান পন্থাই প্রবলভাবে জেঁকে বসেছে দেশে। যে দেশে শত্রæর সঙ্গে দূরত্ব রেখে আমাদের নিজস্ব একটা চিন্তাভাবনা বিকশিত করার কথা ছিল। সেখানে শত্রæকে আমরা বুকের মধ্যে এতো স্থান দিচ্ছি কেন! তাদের মতো আমরা সব কিছু ব্যবহার করছি কেন?
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পাকিস্তান জিন্দাবাদের অনুকরণে হয়ে গেল বাংলাদেশ জিন্দাবাদ! বাংলাদেশ বেতার হয়ে গেল রেডিও বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বেতারে সমস্যা কি ছিল? পাকিস্তানের ছায়া অবলম্বনে আমাদের চলতে হবে কেন? যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন দিলেন- সেই পাকিস্তানি ভাবধারাকে আমাদের সামনে নিয়ে এসে চেষ্টা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা ইসলামের সেবা করছে বলে মনে করছে। পাকিস্তানকে দিয়ে ইসলামের সেবা হচ্ছে? নাকি আমাদের গ্রামের কৃষক, যিনি প্রতিদিন সৎভাবে উপার্জন করেন, ঠিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ছেন, তিনি ইসলামের সেবা করছেন? এসব বুঝতে যদি আমাদের ঘাটতি থাকে, তাহলে আমাদের শিক্ষারইবা মূল্য কি? এইসব নানা বৈপরীত্যের কারণে দেশটা নিয়ে আমি এখন হতাশ পড়ছি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভুলে যেতে দেখছি বহু মানুষকে। মুক্তিযুদ্ধ এখন অস্পৃশ্য অনেকের কাছে। মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে অনেকে এখন সওদাপাতিও করছেন। ব্যবসাবাণিজ্যও করছেন অনেকে, এসব দেখতে পাচ্ছি আর ব্যথিত হচ্ছি। এসব কারণে যারা সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, তারা নিশ্চুপ।
তবে আমার কিছু প্রত্যাশা বা পরামর্শ হচ্ছে- এই দেশটাকে উন্নত করতে হলে দেশ নিয়ে ভাবতে হবে। যারা বা যে মানুষগুলো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঠাট্টা করছেন বা মুক্তিযুদ্ধকে একটা অতীতের বিষয় বলছেন- তাদের মনে রাখতে হবে, এই দেশটা স্বাধীন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। না হলে আমরা পাকিস্তানের অধীনে থাকতাম। আমাদের ক্রিকেটের টিমটা পাকিস্তানের ক্রিকেট টিম হতো। একজন দুজন বাঙালি সেখানে হয়তো সুযোগ পেতো। আমাদের নারী ফুটবলার, নারী ক্রিকেটার সেখানে একজনও সুযোগ পেত না। আমাদের আজকের গার্মেন্টস থেকে শুরু করে যতো উন্নয়ন- এর বেশির ভাগ পাকিস্তানেরই হতো। পশ্চিম পাকিস্তান বহু উপরে ওঠে যেত আর আমরা পুরনো দিনের মতো গরিবই থাকতাম।
আমাদের মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা নিজের পায়ে দাড়িয়েছি এবং একটা পতাকা পেয়েছি। প্রথমত. পতাকাটাকেই বিশ্বাস করতে হবে। কোনো দলের প্রতি নয়। হ্যাঁ, আওয়ামী লীগের প্রতি আপনার বিদ্বেষ থাকতেই পারে। দলটাকে নিয়ে আমারও অনেক সমালোচনা আছে। কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধ আর আওয়ামী লীগকে এক করে দেখি না। কারণ আওয়ামী লীগের যারা অনুগত ছিলেন, যারা নেতাকর্মী ছিলেন তাদের থেকে বহু সংখ্যক মানুষ এই মুক্তিযুদ্ধকে নিজস্ব মালিকানার বিষয় করে নিতে পেরেছিলেন। গ্রামের একজন কৃষক, তিনি তো আর দল করেন না। তারা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের মতো করে চালিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। কোনো দলের অনুগত না হয়ে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের একেবারে অবিসংবাদিত নেতা। এটাকে অস্বীকার করা মানে ইতিহাসকে অস্বীকার করা। ইতিহাসকে অস্বীকার করা মানে নিজেদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে। তার মানে আওয়ামী লীগ দূরে চলে গেছে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিকল হয়ে গেছে; তা কিন্তু নয়।
আওয়ামী লীগ যা-ই করুক না কেন আমি আমরা আমাদের মতো করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করব। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের মতো করেই ভাবতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, আজকে বাংলাদেশের এই পতাকা নিয়ে যে গর্বের সঙ্গে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছি- সেটা মনে রাখতে হবে। পাকিস্তান আমাদের থেকে এখন অনেক পেছনে রয়ে গেছে। আমরা যে এই অবস্থানে আসতে পেরেছি, এর একমাত্র কারণ হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধ। মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ এবং আওয়ামী লীগ এক জিনিস নয়। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যেক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল; কিছু রাজাকার বাদ দিয়ে। সে জায়গাতে যদি আবার যাওয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগ যা-ই করুক না কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমরা ধারণ করব। অর্থাৎ একটা অসা¤প্রদায়িক মানবতাবাদী বৈষম্যহীন দেশ তৈরি করব। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্যটা ছিল; আধুনিক একটা রাষ্ট্র নির্মাণ হবে, একটা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আমরা নতুন একটা স্বাধীন দেশ নিজেদের মতো করে গড়ে তুলব। তার শিক্ষা ব্যবস্থা, তার প্রশাসন, তার বিচার ব্যবস্থা সবই হবে অত্যন্ত আধুনিক এবং সেখানে ঔপনিবেশিকতার কোনো ছায়া থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হবে সব উন্নয়নের মূলমন্ত্র- সে লক্ষ্যেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। নারী পুরুষের বৈষম্য অনেকটা কমেছে। তবে নারীদের এখনো পদে পদে বাঁধা দেয়া হয়। সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের একটা উদ্দেশ্য ছিল ধর্মকে আমাদের নিজস্ব মঙ্গলের জন্য, সর্বোপরি আমাদের সামষ্টিক মঙ্গলের জন্যই চর্চা করব। কিন্তু ধর্মটা হবে মানবিক। যেটা সত্যিকার অর্থে ইসলাম ধর্মের একটা আদি রূপ। একইভাবে হিন্দু ধর্মের যারা অনুসারী তারাও সেই মানবিক দিকটা তাদের জীবনে আচরণে প্রমাণ করবেন। যদি ধর্মকে আমরা মানুষের মঙ্গলের কাজে লাগাই, বিশেষ করে ধর্মকে বিভাজনের কাজে না লাগিয়ে মানুষের মধ্যে স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠার দিকে যাই। যেখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষের সমান অধিকারকে স্বীকার করে নিই; তাহলে আমাদের দেশ থেকে হানাহানি দূর হয়ে যাবে। দেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি হানাহানি মুক্ত দেশ জরুরী দরকার। আমাদের যদি শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিক হয়, যদি প্রশাসনটা জনবান্ধব হয়, যদি আমাদের আইন আদালত সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন হয়, আদালতের বিচার হবে একেবারে নিরপেক্ষ, যার ওপর আস্থা রাখতে পারে সবাই। তাহলে দেশটা দশ বছরে আমূল পাল্টে যাবে। এই দেশকে আর কেউ চিনতে পারবে না। অনেক ওপরে উঠে যাবে। এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
আমি মনে করি, আমরা উন্নতি অনেক ক্ষেত্রে করেছি। ভৌত অবকাঠামো থেকে পদ্মা সেতুসহ আমরা অনেক কিছুই করেছি। এবার উন্নতি করতে হবে আমাদের বিবেকের অঞ্চলে, আমাদের চিন্তা ভাবনার অঞ্চলে, আমাদের সংস্কৃতির অঞ্চলে। এসবের যদি উন্নতি করা যায়, তাহলে আমাদের দেশটা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।
ইতোমধ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়েছে অর্থাৎ টিউশন বাণিজ্য না করে, টিউশনের দ্বারস্থ না হয়ে কেবল পরীক্ষা পরীক্ষা পরীক্ষা দিয়ে এক ধরনের বিপর্যস্ত না হয়ে কিছু সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। এই কাজটা করতে গিয়ে কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। হ্যাঁ, আমি মনে করি কিছু পরিবর্তন আরো কিছুদিন পরে আনা উচিত ছিল। তবে এর ফলে ইতিবাচক পরিবর্তন তো আসছে। অথচ এ পরিবর্তনটা অনেকে গ্রহণ করতে পারছে না। এটা নিয়ে কি পরিমাণ মানববন্ধন, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে- তা চিন্তাই করা যায় না। এর কারণ হচ্ছে- ওই যে যারা সিন্ডিকেট বাণিজ্য করছে তারাই এসব করছে। নোট বই গাইড বই করে যারা টিউশন বাণিজ্য করে তারা সবাই মিলে হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করে; সেই টাকা তারা এখন ঢালছে এই নতুন পাঠক্রমের বিরুদ্ধে! এটাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
আমি বিশ্বাস করি, মানুষ যখন একেবারে প্রবল অন্ধকারে ঢুকে যায় তখন আলোর সন্ধান করে। যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন মানুষ সামনে এগোতে চায়। এমন পরিস্থিতিতে যদিও আমাদের কিছুদিন সময় লাগবে। কিন্তু আমরা একসময় লক্ষ্যে পৌঁছে যাবই। হয়তো তিন চার বছরের ভেতর আমাদের অবস্থান খুবই খারাপ হয়ে যাবে। তবে পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর চিহ্নগুলো দেশের মানুষ দেখতে পাবেন। হয়তো আমি দেখে যেতে পারব না। প্রজন্ম দেখবে। এই আমার আশাবাদ।
অনুলিখন : শরীফা বুলবুল

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়