খালেদার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হোক মূলমন্ত্র : সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

পরের সংবাদ

টেকসই উন্নয়নের জন্য উদ্যোক্তার গুরুত্ব

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উদ্যোক্তা সম্পদের রূপান্তর করে উপযোগ বাড়ায়, যেমন- পানি, চিনি ও লেবু দিয়ে এক গøাস শরবত তৈরি কিংবা বিভিন্ন বস্তুর সমন্বয় বিমান তৈরি। বস্তুগুলো এককভাবে যত দামি, শরবত বানানোর পরে কিংবা বিমান তৈরির পর অধিক দামি হয়ে যায় অর্থাৎ রূপান্তরের মাধ্যমে উপযোগ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে উদ্যোক্তাকে ঝুঁকি নিতে হয় অর্থাৎ মানুষের মূল্যায়নে নতুন তৈরি বিমানের ভ্যালু দামের চেয়ে গ্রাহকের নিকট বেশি হতে হবে, তবেই সে ক্রয় করতে উৎসাহী হবে। এটি একটি আনন্দের এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। আনন্দ এ কারণে যে, এখানে ইনোভেশন আছে এবং অধিক মুনাফা আছে। আবার ঝুঁকি এ কারণে যে, বিনিয়োগ লাভজনক নাও হতে পারে।
এখন সম্পদশালী কয়েকটি দেশের উৎপাদন ও সম্পদ দেখা নেয়া যাক, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) মাপকাঠিতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। এর পেছনে অর্থাৎ দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে থাকা চার দেশ হলো যথাক্রমে- চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় এই পাঁচ দেশই অনুমিতভাবে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন ২৯ জুলাই ২০২৩ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ১০ অর্থনীতির এই তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে থাকা দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা ও ব্রাজিল।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচক বা ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ উন্নত দেশগুলো এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক সহজ ব্যবসা সূচকের জন্য দশটি ধাপে বিশ্লেষণ করে, যেমন- ব্যবসা শুরু করা, জমির সহজলভ্যতা, নিয়ন্ত্রণমূলক তথ্যের সহজলভ্যতা, অবকাঠামো, শ্রম বিধিবিধান, বিরোধ নিষ্পত্তি, সীমান্ত বাণিজ্যের সহজীকরণ, কর পরিশোধ, প্রযুক্তির অভিযোজন ও ঋণের প্রাপ্যতা।
এখন আমরা খুব সহজেই বলতে পারি ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যবসায়ে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়। ব্যবসা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘যারা সুদ (রিবা) খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচাকেনা (ব্যবসা) সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা (ব্যবসা) হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন’। (সুরা-বাকারা, আয়াত ২৭৫)। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন দাঁড়িপাল্লা, যাতে তোমরা সীমা লঙ্ঘন না কর দাঁড়িপাল্লায়। তোমরা সঠিক ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিও না।’ (সুরা আর-রহমান, আয়াত : ৭-৯)
এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতা যদি উভয়ই সত্য কথা বলে এবং দোষত্রæটি বর্ণনা করে দেয়, তবে তাদের কেনাবেচায় বরকত হবে। আর যদি তারা কেনাবেচার মধ্যে মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং দোষত্রæটি গোপন করে রাখে, তবে তাতে বরকত থাকবে না।’ (মুসলিম : ৩৭৫০)
এ থেকে দেখা যায় আল্লাহ ব্যবসাকে গুরুত্বপূর্ণ করেছেন এবং কিছু নীতিমালাও দিয়েছেন। নীতিমালার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো মাপে বা ওজনে কম না দেয়া এবং সত্য ঘোষণা দেয়া। অন্যদিকে আমরা যদি বর্তমান বিশ্বের তিনটি বৃহৎ ব্যবসা পর্যবেক্ষণ করি যেমন- অ্যাপল, অ্যামাজন এবং আলিবাবা তাহলে দেখতে পাই তারাও কথায় ও কাজে বিশ্বাস ধরে রেখেছে। উল্লেখ্য, অ্যামাজন চারটি নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়, যেমন- প্রতিযোগী ফোকাসের পরিবর্তে গ্রাহক ফোকাস, উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার, কর্মক্ষম উৎকর্ষের প্রতিশ্রæতি এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা। একইভাবে অ্যাপল এবং আলিবাবা তথ্যের গোপনীয়তা, দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি এবং সত্য বলার চর্চা করে। প্রত্যেকেই আজ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সবার ওপরে।
এখন দেখা যাক মহানবী হজরত মুহম্মদ (স.)-এর ব্যবসায়িক জীবন। নবী মুহাম্মদ তার ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেন যখন তিনি ১২ বছর বয়সে ছিলেন। তার চাচা আবু তালিব কিশোর মুহাম্মদকে সিরিয়ায় একটি ব্যবসায়িক সফরে আমন্ত্রণ জানিয়ে কীভাবে ব্যবসা করতে হয় তা শিখিয়েছিলেন। এটি তার ব্যবসায়িক দক্ষতাকে তী² করেছেন। মুহাম্মদ একজন উদ্যোক্তা হয়ে বেড়ে ওঠেন, যিনি ছিলেন সৎ এবং যোগ্য। প্রথমে তিনি একজন শ্রমিক ছিলেন। তার দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততার কারণে তিনি তখন একজন সুপারভাইজার, একজন ম্যানেজার এবং অবশেষে একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে বিশ্বস্ত ছিলেন।
ইসলামের অনুকরণে আমরা ‘সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসা’ মডেলে ব্যবসায়ের একটি চিত্রাকার বিশ্লেষণ দিয়েছি, যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো- ওপরের চিত্রে ব্যবসায়ের সাতটি উপকরণকে স্বাধীন চলক ধরা হয়েছে যেমন- (১) উদ্যোক্তা, (২) ক্ষতিকর ব্যবসা থেকে মুক্ত, (৩) মূলধন সংগ্রহ, (৪) সুদমুক্ত ব্যবসায়, (৫) আর্থিক মজুরি ও শ্রমিকের সঙ্গে সৎ ব্যবহার, (৬) সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জাকাত প্রদান এবং (৭) রাজস্ব প্রদান। স্বাধীন চলকগুলো প্রত্যেকেই ব্যবসায় উন্নয়নের মতো পরাধীন চলককে একক এবং সমষ্টিগতভাবে প্রভাবিত করে। স্বাধীন চলকগুলো এককভাবে প্রভাবিত করতে পারলেও সে প্রভাব হয় দুর্বল, তাই সমষ্টিগত প্রভাব আবশ্যক হয়ে পড়ে। স্বাধীন চলকগুলো সমষ্টিগতভাবে সম্পর্কযুক্ত ও শক্তিশালী। স্বাধীন চলকগুলো বিশেষ কিছু উপকরণের কারণে আরো শক্তিশালী চলকে পরিণত হয় এবং দ্রুততম সময়ে ব্যবসায় উন্নয়নে সাহায্য করে, যে উপকরণগুলো স্বাধীন ও পরাধীন চলকের মধ্যে অবস্থান করছে।
নিম্নে প্রতিটি স্বাধীন চলক কী করে পরাধীন চলককে প্রভাবিত করে ব্যবসায়ের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হলো-
উদ্যোক্তা : যিনি বা যারা ব্যবসায় করার উদ্যোগ নেন তাদের উদ্যোক্তা বলে। উদ্যোক্তা হবেন সৎ ও যোগ্য। উল্লেখ্য, সততা কিংবা যোগ্যতা যে কোনো একটির অভাবে উদ্যোক্তা দুর্বল হয়ে যাবে। যেহেতু উদ্যোক্তার সততা ও যোগ্যতার গুণাবলি বিদ্যমান থাকবে তাই খুব সহজেই তিনি হয়ে উঠবেন দক্ষ। দক্ষতায় সাফল্য আসে এবং ব্যবসায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে।
ক্ষতিকর ব্যবসা থেকে মুক্ত : সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসায়ী মানুষের জন্য ক্ষতিকর ব্যবসায় থেকে মুক্ত থাকবেন, পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন, এমনকি সরকার কর্তৃক বৈধ করে দিলেও ব্যবসায়ী তা গ্রহণ করবেন না। যখন একজন ব্যবসায়ী ক্ষতিকর ব্যবসায় থেকে মুক্ত থাকেন তিনি খুব সহজেই সাধারণের ভালোবাসা অর্জন করেন, যা মানবকল্যাণ নিশ্চিত করে। এভাবে একজন সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসায়ীর সুনাম বৃদ্ধি পায়, যা ব্যবসায় উন্নয়নে সহায়তা করে।
মূলধন সংগ্রহ : মূলধন যে কোনো ব্যবসায়ের প্রাণ, তবে অতিরিক্ত কিংবা স্বল্প উভয় ধরনের মূলধনই ক্ষতিকর। সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসায়ী হবেন একজন মিতব্যয়ী অর্থাৎ মধ্যপন্থা অনুসরণকারী, তাই তিনি নজর দেবেন কাম্য মূলধন সংগ্রহের দিকে। এক্ষেত্রে দুভাবে মূলধন সংগ্রহ হবে, যেমন- উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ ও সাধারণের বিনিয়োগ। উদ্যোক্তাগণ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন না এবং ক্ষতির দায়ও নেবেন না, তবে ক্ষতি হলে শূন্য মুনাফা পাবেন এবং লাভ হলে চুক্তি অনুযায়ী আনুপাতিক হারে লাভ পাবেন। উল্লেখিত কারণে সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসায়ী সাধারণের কাছে বিশ্বস্ত হবেন এবং বিশ্বস্ততা ধরে রাখবেন স্বচ্ছতা দিয়ে, যা উদ্যোক্তাকে করবে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী। সাহসী ও বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা খুব সহজেই ব্যবসায়ের জন্য কাম্য মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন নিজের সঞ্চয় থেকে ও সাধারণের কাছ থেকে। এভাবে সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসায়ী কাম্য মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসায়ের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারবেন।
সুদমুক্ত ব্যবসায় : সুদ বলতে এখানে অর্থ বা সম্পদ ধার বা ঋণের বিনিময় অতিরিক্ত নেয়া কিংবা বাকিতে বিক্রি করে পরবর্তীতে জরিমানা ধার্য করাকেই বুঝায়। সুদ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে এই ধারণা পোষণ করা হয় যে সুদ কেবল গরিবকেই গরিব করে না, ধনীকেও গরিব করে। যার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৭-০৮ সালে আমেরিকাতে। যদিও কিছু মানুষ এ বিশ্বাস ধারণ করেন যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স সুবিধার জন্য সুদের ঋণভিত্তিক মূলধন কাঠামো সুবিধাজনক, অনেকগুলো ভুল ধারণার মধ্যে এ রকম একটি ধারণা আমেরিকার ব্যবসায়ীদের অধিক ঋণের দিকে ধাবিত করেছে, যা শেষ পর্যন্ত মন্দার দিকে নিয়ে গেছে। উল্লেখ্য, যে সুদ হলো নিশ্চিত খরচ যেখানে ব্যবসায় রয়েছে অনিশ্চিত আয়ের সম্ভাবনা। অনিশ্চিত আয়ের বিপরীতে নিশ্চিত খরচ থেকে মুক্ত থাকা যাবে সুদমুক্ত ব্যবসায় থেকে, যা উদ্যোক্তাকে দুশ্চিন্তামুক্ত সুখী জীবনযাপনে সহায়তা করবে এবং ব্যবসায় উন্নয়নকে সহায়তা করবে।
আর্থিক মজুরি ও শ্রমিকের সঙ্গে সৎ ব্যবহার : শ্রমিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি। শ্রমিকদের আন্তরিক ও ভালোবাসার কর্ম আর মন খারাপের কর্ম কখনো সমান হয় না। তাই শ্রমিকের আন্তরিক কাজের জন্য প্রয়োজন উন্নত আর্থিক মজুরি ও ভালো ব্যবহার যদিও কিছু মানুষ এই ধারণা করেন যে শ্রমিকরা ফাঁকিবাজ এবং কাজ এড়াতে পছন্দ করেন। এ রকম যারা কাজে ফাঁকি দিতে চান তাদের জন্য দুর্ব্যবহার না করে মজুরির তারতম্য কিংবা পদোন্নতিতে সময়ক্ষেপণ করা যায়। যাই হোক, যখন শ্রমিক প্রতিষ্ঠানের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি পাবেন, একই সঙ্গে ভালো ব্যবহারও পাবেন তখন শ্রমিক প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসবেন এবং আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করবেন। উল্লেখ্য, ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান এবং মন খারাপের প্রতিষ্ঠান কখনো সমান সাফল্য পায় না। এভাবে একজন সম্পদ ও কল্যাণ ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়ের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জাকাত প্রদান : ‘ধনীর সম্পত্তিতে গরিবের অধিকার আছে’ এ কথা আজ চিরন্তন সত্য। ধনী যখন তার আয়ের একটি ক্ষুদ্র অংশ দরিদ্রের ভাগ্য উন্নয়নে কিংবা সামাজিক শান্তির জন্য ব্যয় করবেন তখন সাধারণের ভোগ ব্যয় বেড়ে যাবে। উল্লেখ্য, যে কাম্য সঞ্চয় প্রয়োজন হলেও অতিরিক্ত সঞ্চয় যে কোনো অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, তাই স্বভাবতই বলা হয় ভোগে উন্নয়ন হয় কারণ ব্যবসা বাড়ে। জাকাত শুধু দরিদ্রের প্রান্তিক ভোগ না বাড়িয়ে মোট ভোগ বাড়িয়ে দেয় অর্থাৎ জাকাত গ্রহণকারী জাকাতের অর্থসহ নিজের অর্থ দিয়েও ভোগ করেন, যা পরক্ষণেই ধনীর ব্যবসায় বাড়িয়ে দেবে। এভাবেই মানবকল্যাণ সাধিত হবে, সাধারণের আন্তরিক ভালোবাসাও পাওয়া যাবে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন সামাজিক দায়বদ্ধতা ঠিক আছে তবে জাকাতের হারে কেন? উত্তরে বলতে হয় সম্পদের সুষম বণ্টনের অন্য কোনো হার অর্থনীতিবিদ কিংবা চিন্তাবিদরা দিতে পারেননি আবার জাকাত যে সম্পদের সুষম বণ্টন করে না এ রকম কোনো ধারণাও কেউ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, তাই জাকাতই একমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতার কাম্য হার। উল্লেখ্য, জাকাত খরচ নয় বরং ভবিষ্যৎ ব্যবসায়ের জন্য বিনিয়োগ।
রাজস্ব প্রদান : রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা রাষ্ট্রের প্রতি তার যে দায় আছে যেমন- নিরাপত্তার বিপরীতে দায় কিংবা রাষ্ট্রের সম্পত্তি ব্যবহারে দায় তা পূরণ করবেন। রাজস্ব প্রদানের ফলে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় অর্থ পাবে, যা দিয়ে সাধারণের কল্যাণ সাধন করাও যাবে। এভাবেই একজন উদ্যোক্তা নিজের সুনামও বৃদ্ধি করতে পারবে এবং ব্যবসায় উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
টেকসই উন্নয়নের জন্য ওপরে উল্লেখিত মডেলটি ইসলামের দৃষ্টিতে আলোকপাত করা হয়েছে, যা শুধু গরিবকেই ধনী ও আত্মমর্যাদাশীল মানুষ বানাবে না বরং ধনীকেও তার সম্মান, সম্পদ ও মর্যাদা বাড়াবে এবং তৈরি হবে একটি টেকসই উন্নত সমাজ।

মো. মশিউর রহমান : ব্যাংকার ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়