এসএসসি পরীক্ষার ভুয়া রুটিন ফেসবুকে

আগের সংবাদ

‘খণ্ডিত জাপা’-আ.লীগ জোট না করার অনুরোধ রওশনের : গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, অবৈধভাবে নেতৃত্ব দখল করেছে কাদের

পরের সংবাদ

সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচন বর্জনকারীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল-অবরোধ ডাকছে। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্য একটি অংশ নির্বাচন কমিশনে আপিলের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াইতে রয়েছে। ১৭ তারিখে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা চূড়ান্ত হবে। ১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও দল ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। নির্বাচন বর্জনকারীদের কোনো কোনো জোট বা দলের নেতারা দাবি করছেন, সে পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা সুযোগ পাবে না। কেন তারা এমন নিশ্চিত দাবি করছেন সেটি বোধগম্য নয়। তবে ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে তাদের ধারণা ছিল বাংলাদেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসে যাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছিল, তাদের এই প্রচারণার প্রতি আস্থা রেখেই নির্বাচনবিরোধীরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ও সরকার নির্বাচন স্থগিত রাখতে বাধ্য হবে। কিন্তু বিরোধীদের আশা পূরণ হয়নি। মার্কিনিরা এবার ১৩ দেশের ৩৭ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাতে বাংলাদেশের নাম নেই। ফলে যারা প্রতীক্ষায় ছিলেন, বাংলাদেশের নাম দেখার তাদের হতাশ হতে হলো। তবুও তারা ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং এর আশপাশে জমায়েত হয়েছিল, বক্তৃতা করেছিল। বিএনপির নেতাকর্মীরা ২৮ অক্টোবরের পর এই প্রথম জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে সমবেত হয়েছিল। কয়েকজন নেতা বক্তৃতাও করেছেন। দৃশ্যপটটি যেন বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন ছিল না, ছিল দিবসটিকে তাদের মতো করে ব্যবহার করার উদ্যোগ। বিএনপির নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পতন, গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবি করেছে। শরিক অন্যান্য দল ও জোটের সমাবেশ থেকেও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো দলের নেতা দাবি করেছেন, সারাদেশেই মানুষ নির্বাচনের বিরুদ্ধে নাকি ঘুরে দাঁড়িয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় দিবসটি পালনের জন্য বিএনপির আহ্বানে কোথাও ছোট ছোট জমায়েত হয়েছিল, কোথাও কিছু হয়নি। হবিগঞ্জে সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। বিএনপি যথারীতি মঙ্গল-বুধবার ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ ডাকে। বিএনপির ডাকা এই অবরোধ এখন কোনোভাবেই মানুষকে সাড়া কিংবা নাড়া দিতে পারছে না। যথারীতি কিছু ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত সীমিত হয়ে আসে। এছাড়া এই আন্দোলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।
১৮ তারিখ থেকে প্রতিদ্ব›দ্বী দল এবং প্রার্থীরা মাঠে নামবেন। তবে এবারের নির্বাচনে যেহেতু বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীরা অংশগ্রহণ করেনি। তাই আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম এবং আরো কয়েকটি দল অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনে যেই প্রতিদ্ব›িদ্বতার অপেক্ষা মানুষের ছিল, সেটি সংগত কারণেই পুরোপুরি ঘটবে না। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে নির্বাচনে যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা ঘটত, সেটি বিএনপির অনুপস্থিতির কারণে ঘটবে না এটিই স্বাভাবিক। তবে নির্বাচনটি প্রতিদ্ব›িদ্বতা এবং জনগণের অংশগ্রহণমূলক হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করারও অনুমতি দেয়ায় অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মনোনয়নপত্র ত্রæটিযুক্ত হওয়ায় তাদের আইনি লড়াই শেষ করেই মাঠে নামতে হবে। আবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের কারো কারো বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দায়ের করে আপিল করায় তারাও আইনি লড়াইয়ে এখন ব্যস্ত রয়েছেন। সবকিছুই ১৭ তারিখে পরিষ্কার হবে। অনেক আসনেই আওয়ামী লীগের মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে। কোথাও কোথাও এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত আছেন। সেটি যদি কেবলই ভোটে জয়-পরাজয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু নির্বাচনে যে ধরনের প্রতিদ্ব›িদ্বতা সৃষ্টি হয়, তাতে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেমন স্বাভাবিক থাকে না, কর্মীদের মধ্যেও বিরোধ দানা বেঁধে ওঠে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থার মধ্যে। এ ধরনের ঘটনার প্রভাব প্রতিক্রিয়াও নিকট অতীতের স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে দেখা গেছে। এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেটি নতুনরূপে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা কোথাও কোথাও হয়তো দেখতে হবে। তবে আওয়ামী লীগের জন্য সমস্যাটি শুধু দলের মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। আওয়ামী লীগের ওপর ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে। এটি মাঠ পর্যায়ে বেশ বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কারণ ১৪ দলকে যেসব আসন ছেড়ে দিতে হবে বলে বলা হচ্ছে, সেসবের বেশির ভাগেই আওয়ামী লীগের মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তাদের প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়টি মোটেও সহজ হবে না। প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও ভোটারদের উপস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে ওই সব আসন প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচনের আবহে না থাকারই কথা। এটি দু-একটি আসনে ঘটলে হয়তো উপেক্ষা করা যেত। কিন্তু জাতীয় পার্টি মুখে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সব আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার কথা বললেও তলে তলে তারা আসন সমঝোতায় যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের ওপর চাপ দিচ্ছে। লাঙ্গলে তারা কেন ভরসা পায় না, সেটি বোধগম্য নয়। আবার তারাই প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা গণমাধ্যমে দাবি করে থাকে। দলের মহাসচিব দাবি করেছেন, এবার নীরব ভোট বিপ্লব হবে। অন্য দলের সঙ্গে তাদের সমঝোতায় যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকারও করছেন। আমরা জানি না, আরো কোনো কোনো দল এভাবে আসন সমঝোতায় যাওয়ার চেষ্টা তলে তলে করছে কিনা। সেটি করা হলে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক অবস্থার বিপর্যয় ঘটবে। কারণ লক্ষ লক্ষ ভোটার আসন সমঝোতার বিষয়টি বুঝতে চাইবে কেন? তারা তাদের পছন্দের প্রতীক কিংবা প্রার্থীকেই ভোট দিতে কেবল কেন্দ্রে যেতে পারে। কিন্তু আসন সমঝোতা হয়ে গেলে ভোটারের আগ্রহ কমে যাবে, এমনকি প্রার্থীদেরও ভোটারদের কেন্দ্রে আনার আগ্রহ থাকবে না। সেক্ষেত্রে নির্বাচনটি কেবলই আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হতে পারে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সেরূপ ধারণ করবে এটি বোধহয় হতে দেয়া ঠিক হবে না। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেই জয়লাভ করে আসার মনোবৃত্তি রাখার গুরুত্বকে উপলব্ধি করবেন- সেটিই তো প্রত্যাশিত। তা না করা হলে নির্বাচনটিকে সমালোচনার মুখে তারাই ফেলে দেবেন। তেমন একটি নির্বাচন নিশ্চয়ই দেশে ও বিদেশে খুব একটা প্রশংসিত হবে না। তা বরং বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের যুক্তিকেই প্রতিষ্ঠিত করতে তারাই সাহায্য করবে।
জাতীয় সংসদের মতো দেশে সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার যারা ইচ্ছা রাখেন, তাদের এলাকায় তাদের নির্বাচনী আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসার মতো ভোট পাওয়ার আশা রাখতে হবে। তা নাহলে নির্বাচনের অর্থই গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। আমাদের মতো দেশে অনেক যোগ্য ব্যক্তি দলের জনপ্রিয়তার অভাবের কারণে প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন না। আবার অনেক অযোগ্য বা কমযোগ্য প্রার্থীও জনসমর্থিত দল এবং প্রতীকের কারণে সহজে নির্বাচিত হয়ে যান। দুটিই আমাদের দেশে গণতন্ত্রের দুর্বলতা। জাতীয় সংসদে যোগ্য ব্যক্তিদেরই নির্বাচিত হয়ে আসা দরকার। যেহেতু দেশ দ্বিদলীয় জনপ্রিয়তায় বিভক্ত হয়ে গেছে, তাই এর বাইরে থাকা কোনো ছোট দলের বড় নেতা নির্বাচনে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। তখনই তারা বড় দলের প্রতীক পাওয়ার আশা করেন। কিন্তু সেই দলের যারা ভোটার তারা সব ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন না। সে কারণে দল তেমন যোগ্য ছোট দলের বড় নেতাকেও মনোনয়ন দিলেই যে তিনি জয়লাভ করে আসবেন, সেই নিশ্চয়তা সব সময় একরকম থাকে না। তাছাড়া সেই আসনে দলের যারা মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকেন, তারাও এই বিষয়টিকে সহজে নেন না। তাদের সমর্থন ছাড়া অন্য দলের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনাটি মোটেও সহজ হয় না। বিষয়টি এখন আওয়ামী লীগের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের সব আসনেই একাধিক নেতাকর্মী নিজেদের যোগ্য মনে করেন। তারা সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুতও করেন। কিন্তু যখন তারা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন, তখনই তাদের অনেকেই তা সহজে মেনে নিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে নিজ দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধেও তারা অনেকে কাজ করে থাকেন। জোটের অন্য দলের মনোনীত কোনো প্রার্থী হলে বিষয়টি আরো জটিল হয়ে পড়ে। সাধারণ ভোটারদের কাছেও সেটি খুব একটা সমর্থিত হয় না। এবারের পরিস্থিতিতে সমস্যাটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত কীভাবে এর সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে, বলা মুশকিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলকে মনে রাখতে হবে নির্বাচনটিকে যে কোনো মূল্যেই সুষ্ঠু, অবাধ এবং ভোটারের অংশগ্রহণে পূর্ণতা দিতে হবে। যেহেতু আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দল আদর্শিক জোট। সুতরাং আদর্শিক জোট হিসেবে জোটকে আদর্শের সংকটে ফেলা ঠিক হবে না। জোট ভালোভাবে বিজয় লাভ করে এলে জোটের নেতাদের সরকার গঠনসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজেই দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের বা জোটের সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ সরকার ও বিরোধী দলীয় হওয়ার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের রাজনীতিতে নতুন কোনো রূপান্তর ঘটানো যায় কিনা, সেটিকে নিয়েই ভাবনা-চিন্তা করা যেতে পারে। বর্তমান আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যকার পরস্পরবিরোধী আদর্শগত দ্ব›দ্ব, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং সংবিধানের মৌলিক আদর্শ থাকার কারণে প্রতিবার নির্বাচন এলেই দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে চলে যায়। বাংলাদেশে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থান নয় বরং প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক রাজনীতির উন্মেষ ও বিকাশ ঘটানোর উদ্যোগী থাকা দরকার সচেতন রাজনৈতিক মহলের। সে ধরনের রাজনৈতিক চিন্তা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে ঘটলেই ভবিষ্যৎ রাজনীতির মেরুকরণের আশা করা যেতে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়