এসএসসি পরীক্ষার ভুয়া রুটিন ফেসবুকে

আগের সংবাদ

‘খণ্ডিত জাপা’-আ.লীগ জোট না করার অনুরোধ রওশনের : গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, অবৈধভাবে নেতৃত্ব দখল করেছে কাদের

পরের সংবাদ

দেশে তেলের সন্ধান আশাব্যঞ্জক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

দেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ অনুসন্ধানে প্রচেষ্টা জোরদার করেছে সরকার। সাফল্যও পাচ্ছে। গত রবিবার সিলেটের জৈন্তাপুরের গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন করে প্রথম স্তরে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি গণমাধ্যমকে জানান,পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল (১৫৯ লিটার) তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে। তেলের মজুতের তথ্য জানতে আরো অন্তত চার-পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া ওই কূপের তিনটি স্তরে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের খবর। দেশ যখন তেলসহ জ¦ালানি সংকটে ভুগছে, তখন তেলের মজুতের সন্ধান আশা জাগানিয়া। এর আগে সব শেষ ১৯৮৬ সালে হরিপুরে তেলের সন্ধান মিলেছিল। সেখান থেকে পাঁচ বছর তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রায়ই ছোট-বড় গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মিললেও বাংলাদেশে তেলের অস্তিত্ব সহসা পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সিলেট-১০ নম্বর গ্যাসকূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন হয়েছে। কূপটিতে তিনটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তরটি ২ হাজার ৫৪০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ মিটার পর্যন্ত পরীক্ষা করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া গেছে; যার ফ্লোয়িং প্রেসার ৩ হাজার ২৫০ পিএসআই। গ্যাস মজুতের পরিমাণ ৪৩ থেকে ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। সিলেটে গ্যাসক্ষেত্রের পাশাপাশি নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কার দেশের জন্য আশার আলো বয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা করছি। তবে ঠিক কত বড় এই খনি এবং কী পরিমাণ তেল এখান থেকে পাওয়া যেতে পারে, তা নিশ্চিত হতে ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগবে। আরো বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তেল পাঠানো হয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, বুয়েট এবং সিলেট গ্যাসফিল্ডে। আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। সরকার আশা করছে, ২৫৪০ ও ২৪৬০ মিটার গভীরে যদি একযোগে উৎপাদন করা হয়, তাহলে এটি ৮ থেকে ১০ বছর স্থায়ী হবে। আর ২০ মিলিয়ন ঘনফুটে তেল উৎপাদন করা হলে তা ১৫ বছরের বেশি টিকে থাকবে। আর এর গড় মূল্য ৮৫০০ কোটি টাকা দাঁড়াবে। আমরা সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতায় দেখছি, অনেক আশা নিয়ে নতুন নতুন গ্যাস ও তেলের ক্ষেত্র আবিষ্কারের খবর জানানো হয়। কিন্তু যে পরিমাণ মজুতের কথা বলা হয়, সে অনুপাতে উত্তোলন করা সম্ভব হয় না। উত্তোলনের ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা আরো বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াও দরকার। মজুত এবং প্রাপ্তির ব্যবধান দূর করার দিকে নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ দেয়া জরুরি। হরিপুরে যেটা পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে কিন্তু নিয়ম মেনে তেল তোলা হয়নি। শুধু যতদিন প্রাকৃতিকভাবে উঠে আসছে, ততদিন তোলা হয়েছে। কিন্তু তারপর তেলক্ষেত্র সংস্কার করা হয়নি। জ¦ালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে তেল ওঠা বন্ধ হয়ে গেলে আমরা মনে করি শেষ হয়ে গেছে। তেল কিন্তু মাইগ্রেশন করে। সরে গিয়ে একটা যুৎসই জায়গায় রিজার্ভ হয়। তখন ভিন্নভাবে ইন্ডাকশন অয়েল দিয়ে তেল উত্তোলন করতে হয়। আমাদের সে রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়