রাজধানীতে বহুতল ভবন থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

স্ব স্ব প্রতীকে লড়বে ১৪ দল! : প্র্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শরিকদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আ.লীগ

পরের সংবাদ

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রাম মূলত শিক্ষার আন্দোলন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির সংগ্রাম মূলত শিক্ষার আন্দোলন। বাংলার আকাশে তার মতো উজ্জ্বল, মেধাবী, প্রজ্ঞাবান ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন রাজনৈতিক নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটেছিল বলেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা চিন্তার যে বর্ণনা আমরা ইতিহাসে পাই তা একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার নিরিখে বলা যায় তা অসাধারণ ভবিষ্যৎ দর্শনের রূপরেখা।
গতকাল রবিবার বিকালে বাংলা একাডেমির ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা-২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে একক বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাডেমির সাবেক পরিচালক জাকিউল হক ও শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, কবি দিলারা হাফিজ, ড. ইসরাইল খান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক গবেষক ড. সাইমন জাকারিয়া।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাঙালি জাতির কল্যাণচিন্তায় নিবিষ্ট বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনার কেন্দ্রে ছিল এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা যা মানুষকে মহৎ করে, সৎ করে গড়ে তোলে, দক্ষ ও যোগ্য সুনাগরিক নির্মাণ করে, দেশপ্রেমিক সত্তার উদ্ভব

ঘটায়, দিগন্তপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করে, মনোজাগতিক চৈতন্য বিকাশ লাভ করে ও সর্বোপরি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ মানুষের রূপান্তর করে। সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমির গভীরে আছে একটি সজীব-সচল প্রাণসত্তা। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যের গর্বিত ধারক-বাহকের নাম বাংলা একাডেমি। ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা বলতেই পারি, বাংলা একাডেমি বাংলা ও বাঙালির প্রাণপ্রবাহ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা একাডেমি বাংলা ও বাঙালির বাতিঘরের নাম। এই জনপদের সংগ্রামী ইতিহাসের চলন্ত সাক্ষ্য বাংলা একাডেমি। প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি তার ধারাবাহিক নিবেদন ও কর্মের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।
খলিল আহমদ বলেন, ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে ৬৮ বছর ধরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির লালন-বিকাশে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার বাংলা একাডেমি এবং অন্যান্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশের সবস্তরের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক সাক্ষরতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মো. হাসান কবীর বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনা¯œাত বাংলা একাডেমি মুক্তিযুদ্ধজাত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রত্যয়কে ধারণ করে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এ আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি এবং বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘সুরভিত সন্ধ্যা’ শীর্ষক স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়