মুজিবুল হক চুন্নু : মানুষ ভোট দিতে পারবে এই আস্থা নেই

আগের সংবাদ

শিক্ষা বাঁচানোর উপায় কী : হরতাল-অবরোধে আটকে আছে প্রায় ২ কোটি পাঠ্যবই, ঢাকায় শুক্র-শনিবার ক্লাস-পরীক্ষা

পরের সংবাদ

বিএনপির অনেক নেতাই ভোটযুদ্ধে নামতে প্রস্তুত! কেউ ঝুঁকছেন কিংস পার্টির দিকে, কেউবা স্বতন্ত্র

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রুমানা জামান : সরকারের পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবিতে অনড় বিএনপি। দাবি আদায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করতে চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনে রাজপথে রয়েছে দলটি। তবুও শেষ মুহূর্তে দলটির নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন রয়েছে। এর মধ্যেই বিএনপির কোণঠাসা নেতারা অনেকে প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন; তারা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে দলের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন; তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। এতে বিএনপির কিছুই আসে যায় না।
বিএনপির কাছাকাছি নামে নিবন্ধন পাওয়া ‘কিংস পার্টি’ নামে পরিচিত পাওয়া দুটি দলে বিএনপির বেশ কিছু নেতা এর মধ্যে যোগদান করেছেন। আরো অনেকে আছেন এই পথে। বিএনপি শেষ পর্যন্ত ভোট বর্জন করলে এই নেতারা হয় ‘নামের মিলের দলে’; না হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। এমন জোর প্রস্তুতির কথা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন কেউ কেউ। ভোটে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এসব নেতার যুক্তি- স্বতন্ত্র নির্বাচন করে অন্তত পঞ্চাশ জন নেতা যদি পালামেন্টে যেতে পারে; তারা দলের পক্ষে আওয়াজ তুলতে পারবে। তাদের মাধ্যমে বিএনপির জোরালো দাবি দেশ বিদেশে পৌঁছাবে। কিন্তু ভোটে না গেলে বিএনপি হারিয়ে যাবে। তাদের মতে, সব দিক বিবেচনা করে ‘অস্তিত্ব রক্ষায়’ হলেও এই মুহূর্তে বিএনপির উচিত ভোটে অংশ নেয়া।
জানতে চাইলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ভোরের কাগজকে বলেন, বিএনপি একটা বিশাল রাজনৈতিক দল। সরকারের টোপে পড়ে আগেও অনেক বার অনেক লোক দল ছেড়ে গেছে। তবে দলের জন্য ভালোবাসা আছে এমন কেউই এই মুহূর্তে বিএনপি ছেড়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। অবশ্য এর আগে যারা দল ছেড়েছে, তারা কেউ বহিষ্কৃত কেউবা পদত্যাগকৃত নেতা। এসব নেতারা কেউই বিএনপিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এবারো ঠিক তাই। সুতরাং তারা যাওয়ার ফলে বিএনপি দুর্বল হয়েছে; এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। এসব নিয়ে আমরা চিন্তিতও নই।
স্বতন্ত্র নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যারা : স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির অনেক নেতার নাম রয়েছে আলোচনায়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। এছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ারে প্রস্তুতির খবর শোনা যাচ্ছে।
বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ার পারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলের খুলনা মহানগরের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল ইসলাম সাক্কু। সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিতদের মধ্যে- সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, নূরুল ইসলাম মনি, নজির হোসেনসহ অর্ধশতাধিক নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ভোট নিয়ে মুখ খুছেছেন যেসব নেতা : আলোচিত নেতারা অনেকেই প্রকাশ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন। জানতে চাইলে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন ভোরের কাগজকে বলেন, আন্দোলন করে বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। আমাকে দালাল বলুক আর যাই বলুক; তবুও বলব, দলটির এই মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে না এলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন কিনা? জানতে চাইলে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, অবশ্যই। একশবার নির্বাচন করব। আমার জানা মতে, আরো অনেকেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
নতুন দলে যোগ দেয়ার গুঞ্জনের শীর্ষে থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন শিগগির। সম্প্রতি তিনি বনানীতে তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান। একই সঙ্গে বিএনপিকে বিদেশিদের মধ্যস্থতায় নির্বাচনে

অংশ নেয়া উচিত বলেও মতপ্রকাশ করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাফিজ উদ্দিন আহমদ আপাতত বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত তিনি কী করবেন তা পরিষ্কার নয়।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। অবশ্য ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই ‘সাইডলাইনে’ রয়েছেন এ নেতা। দলীয়ভাবে কোনো দায়দায়িত্ব পাচ্ছেন না দীর্ঘদিন ধরে। বিগত নির্বাচনে মনোনয়নও পাননি। সবশেষ তাকে দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদাবনতি দিয়ে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
এহছানুল হক মিলন ভোরের কাগজকে জানান, পদাবনতি হওয়ার পর অনেকে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। বেশ কয়েকবার তাকে নতুন দলে যোগদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। তবে তিনি তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি দাবি করেন, দল ত্যাগের প্রশ্নই আসে না। বিএনপির সঙ্গেই আছি এবং আমৃত্যু থাকব। তবে আগামীতে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া গতকাল সোমবার বিএনএম নামক নতুন রাজনৈতিক দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন, ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের দেওয়ান শামসুল আবেদিন ও বরগুনা-২ আসনের অধ্যাপক আব্দুর রহমান। এর বাইরেও আরো অনেক চমক আসবে বলে জানান বিএনএমের মহাসচিব ও মুখপাত্র ড. মো. শাহজাহান। বিএনএমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নাম রয়েছে আলোচনায়।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোট করে ভোটে আসার ঘোষণা দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম। নিবন্ধন না থাকায় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন বলে জানান। নতুন এই জোটে বিএনপির বর্তমান ও সাবেক ১২৫ জন নেতা রয়েছেন বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তবে নেতাদের নামের কোনো তালিকা দেয়া হয়নি। এর কিছুক্ষণ পর আহসান হাবিব ও ফখরুল ইসলামকে বহিষ্কার করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন ও নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আহসান হাবিব ভোরের কাগজকে বলেন, বর্তমান সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন বর্জন একটি দলের অধিকার হতে পারে না। নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেয়াকে ‘অনৈতিক ও সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার শামিল’ বলে মন্তব্যও করেন তিনি। আহসান হাবিব জানান, তিনি টাঙ্গাইল-৫ আসনে এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির বহিষ্কৃত নেতা ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে ভোটে অংশ নেবেন। খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, আমরা মনে করি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আমরা আগামী নির্বাচনে অংশ নেব। আমার সঙ্গে আরো অনেকে এই নির্বাচনে এই স্বতন্ত্র মঞ্চে অংশ নেবেন। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিলেও আমরা কোনো নিবন্ধিত দল বা জোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হব না।
তৎপর সরকার : সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারাদেশে বিএনপির পদবঞ্চিত, মনোনয়নবঞ্চিত, কোণঠাসা আর ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে ভোটে নামানোর চেষ্টা করছে সরকার। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তরালে থেকে এ কাজগুলো করছে তারা। সূত্রের দাবি- সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিএনপির কোণঠাসা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে লোভনীয় টোপ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে বিদেশিদের যে চাপ রয়েছে, সেটা সামাল দিতে তৃণমূল বিএনপিকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, বিএনপির প্রবীণ অনেক নেতাই জীবনের শেষবেলায় এসে সংসদ সদস্য হতে চান। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে ওই দলের বড় একটি অংশ শুধু সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য তৃণমূল বিএনপিতে আসতে চান। তাছাড়া বিএনপিকে নেতৃত্ব দেয়া তারেক রহমানের ওপর ক্ষুব্ধ একটি অংশও দল ছাড়তে চায়। এ দুই অংশ মিলে বড় একটি অংশ কোনো দলে যোগ না দিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে।
বিএনপি বলছে কিছু আসে যায় না : বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অভিযোগ- চাপে ফেলে দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টাও চলছে। এর অংশ হিসেবেই কিছু নেতাকে বিএনপির বিকল্প বানিয়ে নির্বাচনে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তাদের বক্তব্য, বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এই তৎপরতা চালাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। প্রলোভন, টোপ আর চাপ দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকেই বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিগত দিনে রাগ-ক্ষোভ-অভিমানে দল থেকে দূরে সরে যাওয়া নেতারা। বিগত দিনের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদেরও টার্গেট করা হয়েছে দল থেকে সরিয়ে নেয়ার এই প্রক্রিয়ায়।
এসব তৎপরতাকে একেবারেই আমলে না নিয়ে বিএনপি সিনিয়র নেতারা বলছেন, বিগত ১৭ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে আছেন। এ সময়ের মধ্যে এমন অনেক চাপ এসেছে। তবে কোনোবারেই সেটা সম্ভব হয়নি। এবারো হবে না বলে দৃঢ়বিশ্বাস তাদের। তারা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। চলমান আন্দোলনে শিগগিরই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। এর পরও লোভে কেউ বেইমানি করলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার পাশাপাশি গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের বিএনপি ভাঙার চেষ্টাও বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এবারও বিএনপির নামধারী কিছু ব্যক্তি নিয়ে কিছু অপপ্রচার করার চেষ্টা করছে; এর বেশি কিছু নয়। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে সরকার প্রণীত গৃহপালিত সংসদের এই ধাপ্পাবাজি কারো কাছে আর গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজেই বিএনপি ভাঙার পরিকল্পনা করে ক্ষমতাসীনদের এখন আর কিছুই লাভ হবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছে। জনগণই বিএনপির প্রধান শক্তি। অতীতে বহুবার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে; কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। এবার হয়তো টোপ দিয়ে কিছু লোক বাগিয়ে নিতে পারে। তবে বিএনপিকে ভাঙার ক্ষমতা সরকারের নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়