৯৭ সহকারী জজ নিয়োগ

আগের সংবাদ

সমঝোতার সম্ভাবনা কী শেষ! বিশ্লেষকদের মতে, সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি > উদ্যোগ নিতে হবে দেশের ভেতর

পরের সংবাদ

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ৭ জানুয়ারি : সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেবার উদাত্ত আহ্বান > আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এন রায় রাজা : বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ইসি ঘেরাওয়ের হুমকি, ভোট বর্জন, হরতাল, অবরোধ, গাড়িতে আগুন দেয়াসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও উৎকণ্ঠার মধ্যেই গতকাল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, যাচাই বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, প্রার্থীদের আপীল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬-১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত করা যাবে। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, গতকাল সকাল ১০টায় ইসি সচিব ও কমিশনের মুখপাত্র মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে ভাষনের মাধ্যমে সিইসি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। অতীতে রেকর্ড করা ভাষণের মাধ্যমে সিইসিরা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দিলেও প্রথমবার নির্বাচন ভবন থেকে সরাসরি স¤প্রচার করা হবে তফসিলসহ সিইসির ভাষণ’। গতকাল বিকাল ৫টায় তফসিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সব কমিশনাররা এক জরুরি সভায় বসেন। সেখানে তফসিলে দিনক্ষণ ও সিইসির ভাষন চূড়ান্ত করা হয়। অতঃপর সন্ধ্যা ৭টায় বিটিভি সেটি রেকর্ড এবং সম্প্রচার করে।
তফসিল ঘোষণার সময় বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নেবার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাক্সিক্ষত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে, বিশেষত নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতির প্রশ্নে, দীর্ঘসময় ধরে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বহুদলীয় রাজনীতিতে মতাদর্শগত বিভাজন থাকতেই পারে। কিন্তু মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা হলে তা থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এজন্য মতৈক্য ও সমাধান প্রয়োজন। আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করে সদয় হয়ে সমাধান অন্বেষণ করতে। জনগণকে অনুরোধ করব- সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সব দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্ব›িদ্বতাকে সর্বদা স্বাগত জানাবে। পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়। পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা টেকসই ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যকীয় নিয়ামক।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রসমূহের পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেবার পর বিগত ২০ মাসে সংসদের ১৬টি উপনির্বাচনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকারের সহস্রাধিক নির্বাচন করেছি। আগ্রহী সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষাবিধ, নাগরিক সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে একাধিকবার সংলাপ ও মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামত শুনেছি। সুপারিশ জেনেছি। আমাদের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছি। নিবন্ধিত অনাগ্রহী সব রাজনৈতিক দলকেও একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকে। সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের বিধানমতে ৩০০ সাধারণ আসন এবং ৫০টি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত নারী সদস্যদেরকে নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়ে থাকে। সংবিধানের ১২৩(৩)(ক) অনুচ্ছেদের বিধানমতে, সংসদের মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সংবলিত এই নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীসমূহের সহায়তা নিয়ে সম্পন্ন করে থাকে। সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সুষ্পষ্ট প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। কমিশনও তার সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সব সহায়তা নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে কেবল সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই। রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধতর প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন হয়। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের আপামর জনগণ রাজনীতি বিষয়ে সচেতন। নির্বাচন বিষয়েও জনগণ সমভাবে সচেতন হয়ে এর গুরুত্ব সম্যক উপলব্ধি করে থাকবেন। প্রার্থীরা সে বিষয়ে প্রচারণার মাধ্যমে ভূমিকা পালন করবেন। কমিশনও সর্বসাধারণ ও বিশেষত ভোটারগণকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করতে প্রচারণামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন করতে হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও আইন ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দল এবং আগ্রহী দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও সমাপ্ত প্রায়।
সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন একটি বিশাল, কঠিন ও জটিল কর্মযজ্ঞ। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সহজীকরণ ও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সার্বিকভাবে স্বচ্ছ, সহজ, দক্ষ ও সুশৃঙ্খল করার অভিপ্রায়ে যে কোনো স্থান থেকে অনলাইন পদ্ধতিতে নমিনেশন দাখিলের এবং স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভোটার সাধারণ ও সর্বসধারণের জন্য দিনব্যাপী কেন্দ্র ও কেন্দ্রের পোলিং সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের সুবিধা সংবলিত দুটি ডিজিটাল অ্যাপস কমিশন স¤প্রতি চালু করেছে।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমানতা নির্বাচনের বিশুদ্ধতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিপাদনে সহায়ক হয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য। তাই আমরা দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে যতদূর সম্ভব দৃশ্যমান করে উপস্থাপন করলে সৃষ্ট স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের বিশুদ্ধতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিপাদিত হতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কমিশনের আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে। পক্ষান্তরে অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য স¤প্রচার করে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার যে কোনো অপপ্রয়াস প্রতিহতের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দীর্ঘ প্রতিক্ষিত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘেœ স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট আপনার। ভোট দিতে কারো হস্তক্ষেপ বা প্ররোচণায় প্রভাবিত হবেন না। কোনো রকম হস্তক্ষেপ বা বাধার সম্মুখীন হলে একক বা সামষ্টিকভাবে তা প্রতিহত করবেন। প্রয়োজনে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। প্রিসাইডিং অফিসার যে কোনো মূল্যে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বাধ্য।
প্রার্থীদের তিনি বলেন, নির্বাচনের অন্যতম অনুসঙ্গ হচ্ছে কার্যকর প্রতিদ্ব›িদ্বতা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাহসী, সৎ, দক্ষ ও অনুগত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নিজ নিজ অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা করতে হবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এটি একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা সৎ, নিরপেক্ষ ও অবিচল থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের বিশ্বাস স্ব স্ব অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ ও আবশ্যক ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে। দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। দেশের জনগণের জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র সুসংহত হবে।
এদিকে তফসিল ঘোষণা করা হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইসি ঘেরাও কর্মসূচিতে যাবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তাই তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল থেকেই নির্বাচন কমিশনের সামনে ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গতকাল সকাল থেকে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের আশপাশের বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল দুপুরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে ইসিতে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান। তিনি সিইসিসহ সব কমিশনার এবং ইসি সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তফসিল ঘোষণা হবে, তাই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য এসেছি। সবার সঙ্গে কথা বললাম। যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা দেখে গেলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া দরকার, যেমন সিকিউরিটি চেকআপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেগুলো আছে সেগুলো দেখা, এগুলো আমরা করছি। অবরোধের মধ্যে তফসিল হচ্ছে, বিরোধী দলগুলো বলছে আরো কঠোর আন্দোলনে যাবে। তবে পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যদি কোনো নৈরাজ্য হয় সেখানে পুলিশ অবশ্যই কঠোর অবস্থান নেবে।
প্রসঙ্গত, সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে, আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে ইসির। চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। দশম সংসদ ভোট হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। তার আগে নবম সংসদ নির্বাচনের তারিখ ছিল ২৯ ডিসেম্বর। অর্থাৎ সবশেষ জাতীয় নির্বাচনগুলো ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়