খিলক্ষেত কুর্মিটোলা স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব

আগের সংবাদ

সবার নজর ইসির দিকে : জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ আজ সন্ধ্যায়, ঘোষণা করবেন ভোটের তফসিল

পরের সংবাদ

দিনক্ষণ ঘোষণার অপেক্ষা : নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে কালই, ভোট জানুয়ারির প্রথমার্ধে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এন রায় রাজা : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের অপেক্ষায় সমগ্র দেশ। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী সরকার নিয়ে মতানৈক্য, চলমান অবরোধসহ রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেও এখন টক অফ দ্যা কান্ট্রি হলো ‘কবে তফসিল, আর কবে ভোট?’ সবার নজর নির্বাচন কমিশনের দিকে। বিশেষ কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে আগামীকাল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম গতকাল সোমবার জানান, নভেম্বরের প্রথমার্ধে (১৫ তারিখের মধ্যে) তফসিল ঘোষণার কথা বলেছেন সিইসি। এই সময়সীমার এখনো দুদিন বাকি আছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের জন্য আরো দুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ইসি সচিব আরো জানান, মঙ্গলবার ইসির বৈঠক হলে সেখানে এ সিদ্ধান্ত আসবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে- ইসি তো আগেই ইসি তা জানিয়েছে। ইসি সচিবের কথা অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার তফসিল হতে পারে মনে করা হচ্ছে। গত ১ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করতে হবে।
এরই মধ্যে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেছে ইসি। গত ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছে ইসি। এ সময় রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী ভোট আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেন ইসিকে। এর আগে সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা, অর্থাৎ নির্বাচনী আইন কানুন, প্রয়োগ ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন সিইসি ও অন্য চার কমিশনার। গত ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির

সঙ্গে দেখা করার পরে বঙ্গভবনের সামনে সিইসি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের ভোট প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেছি। তিনি আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা অনুমতি পেয়েছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দ্রুত করা হবে। আর ভোটগ্রহণ আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তত। তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের নির্বাচনটা করতে হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন করতে ইসি বদ্ধপরিকর। আমাদের সময়মত নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো স্পেস নেই।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত কমিশন। ইসি প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে। নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের কেনাকাটা, প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠে চলে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। ইসি সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্রসহ প্রাথমিক নির্বাচনী সামগ্রী- যেমন : মনোনয়নপত্র, মনোনয়ন ফরম পূরণের নির্দেশিকা, আচরণ বিধিমালা, জামানত বই, রশিদ বই, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন প্রভৃতি এবং নির্বাচনী দ্রব্যাদি- যেমন : অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, লাল গালা, হেসিয়ান ব্যাগ (বড়), হেসিয়ান ব্যাগ (ছোট) এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের সিল (লক) গত ৩ ও ৪ নভেম্বর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারি শাখায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসকে নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
ইসির নির্বাচনী শাখা সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষের পথে। আগামী ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন, আর আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকে অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি বা দুয়েক দিন আগে পরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাধারণত, তফসিল ঘোষণা পর ন্যূনতম ৪৫ দিন পর ভোটগ্রহণ করা হয়ে থাকে। এবারো ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেয়ার সময়সীমা থাকবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়ন যাচাই বাছাই ১ ও ২ ডিসেম্বর, প্রত্যাহার ৩ ডিসেম্বর এবং ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ইসির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও সিইসির বক্তব্য অনুযায়ী ভোট গ্রহণ প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের যে কোনো দিন হতে পারে।
এদিকে ২০১৪ সালের মত এবারো ভোটের পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইত্তেজনা তৈরি করেছে। বিএনপি ও সমমনাদের অবরোধ কর্মসূচিতে আগুনসন্ত্রাস জনমনে বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। এমন পরিস্থিতিতে মতভেদ নিরসনে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজার পরামর্শ আসছে পর্যবেক্ষক মহল থেকে। কিন্তু প্রধান দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের মধ্যে সমঝোতার কোনো আভাস মিলছে না। এর মধ্যে গত ৪ নভেম্বর আবারো দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি, বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংকট নিরসনের আলোচনা করতে চেয়েছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। কিন্তু বিএনপিসহ ১৪টি দল ইসির আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় ইসির এবারের পদক্ষেপও ভেস্তে যায়।
যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, ভোটের কাক্সিক্ষত পরিবেশ এখন হয়নি। তারপরও তাদের হাতে অন্য কোনো উপায় নেই; পরিবেশ প্রতিকূল হলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ভোট করা ছাড়া কোনো বিকল্প নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্ধারিত পদ্ধতিতে (দলীয় সরকারের অধীনে) ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনে) অবশ্যই নির্বাচন হবে, এ বিষয়ে কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা সভা, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা, নিবন্ধিত দলের সঙ্গে আলোচনা সবই শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইতোমধ্যে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে চলমান সহিংসতা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়, মাঠকর্মীরা চলমান সহিংসতার মধ্যে ইসিকে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচনী পরিস্থিতির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো, ভোটের মাঠে অতিরিক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনসহ প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর কথাও ওঠে এসেছে বৈঠকে। এর আগে ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি- এ তিন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সিইসির বৈঠক হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোনো হুমকি নেই বলে সিইসিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এদিকে নির্বাচনের জন্য ৩০০ বিচারক চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি।
আবার সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে বলেও জানিয়েছেন ইসি মো. আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে রোডম্যাপ অনুযায়ী সব ধরনের প্রস্তুতি হয়েছে। তফসিল চলতি সপ্তাহেই হবে।
এদিকে গত সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষ করেছে ইসি। বৈঠকে নির্বাচনকালীন এ সময়ে ভোট সংশ্লিষ্টদের নিয়োগ, বদলি থেকে আচরণবিধি প্রতিপালনে ইসির কর্তৃত্ব থাকায় আইন-বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তরে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ ও অন্যান্য বিষয় গুছিয়ে ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে চলেছে কমিশন।
আবার বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোও তৎপর। আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেই তাগিদ কূটনীতিকরা বার বার দিয়ে আসছেন। এসব কারণে দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষণ আনার জন্য বেশ তৎপর দেখা গেছে কমিশনকে। ইউরোপীয় কমিশন থেকে ৬ জন পর্যবেক্ষক পাঠানোর চিঠিতে যেমন কিছু আশ্বস্ত দেখা গেছে এ সাংবিধানিক সংস্থাকে, তেমনি সার্কভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে ইসির সংগঠন ‘ফেমবোসা’ অর্থাৎ ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দলও। এছাড়া আফ্রিকান ইলেক্টোরাল এলায়েন্স-এর ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল আসছে, আসছে ইটালিয়ান পর্যবেক্ষকও। এছাড়া রাশিয়াসহ ৫০টি দেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধমে ইসি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সঙ্গে প্রায় দেড় শতাধিক দেশীয় পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার হাজারো পর্যবেক্ষক জাতীয় নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে ইসি সূত্র নিশ্চিত করেছে। থাকছে দেশি বিদেশি শত শত মিডিয়া।
সব মিলিয়ে গত ২০০৮ ও ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনগণ ও দলগুলোর মধ্যে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল- ইসি তা কাটিয়ে উঠতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় ইসির অবস্থান থাকবে কঠোর। মাঠ কর্মকর্তাদের কাজও পর্যবেক্ষণ করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে সহিংসতা, ভোট কারচুপি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নেবে। তিনি জানান, সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো ভোট হবে। কোনো দল অংশ নিল বা নিল না- সেটা দেখার দায়িত্ব ইসির নয়।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৬ লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পুলিশের ১ লাখ ১ হাজার, আনসার বাহিনীর ৪ লাখ ৪৬ হাজার ও ৪১ হাজার গ্রাম পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর ২ হাজার ২১০ প্লাটুন (৬৬ হাজার ৩০০ জন সদস্য) ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে বিজিবি ১ হাজার ১০৬ প্লাটুন (প্লাটুন প্রতি ৩০ জন), কোস্ট গার্ড ৪২ প্লাটুন, র‌্যাব ৬০০ প্লাটুন, সেনাবাহিনীর ৪১৪ প্লাটুন ও নৌবাহিনীর ৪৮ প্লাটুন।
সূত্র আরো জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ভোটগ্রহণ ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকবে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়বে। সব মিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। সব দল অংশ নেয়ায় ওই নির্বাচনে সহিংসতাও কম ছিল। এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা, সরকারের পদত্যাগসহ একাধিক দাবিতে হরতাল অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। সব মিলিয়ে উদ্বেগজনক, ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়