মগবাজারে নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসচাপায় নিহত এক

আগের সংবাদ

পাঁচ কৌশলে আওয়ামী লীগ : আজ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক > গঠিত হবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

পরের সংবাদ

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ : বাস পোড়াপুড়ি, সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্রের উঁকিঝুঁকি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকে বিএনপি-জামায়াত মনে করেছিল সরকার পতনের আন্দোলন রাজপথেই তারা মীমাংসা করে বাড়ি ফিরতে পারবে। কিন্তু তাদের নেতাকর্মীদের অতি বাড়াবাড়ি মহাসমাবেশ শুরুর আগেই হিংসাত্মক এবং আক্রমণাত্মক যে চরিত্র ধারণ করেছিল তাতে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে বড় ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষ এবং নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতি সৃষ্টির চিন্তাভাবনা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছিল। পুলিশ মেরে হত্যা, আহত করা, সাংবাদিকদের পিটিয়ে জিঘাংসা চিরতার্থ, প্রধান বিচারপতির বাড়ি আক্রমণ, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ, অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি, মোটরসাইকেল পোড়াপুড়ি, আওয়ামী লীগের নারী নেতাকর্মীদের আক্রমণ করার নানা ঘটনা পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছিল। বোঝাই যাচ্ছিল সারাদেশ থেকে আসা বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা সরকার উৎখাতের পয়গাম নিয়েই এমন উচ্ছৃঙ্খল-হিংসাত্মক রূপ ধারণ করেছিল। শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাস্তা থেকে এসব উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছিল। অথচ এর আগে বিএনপির কোনো সমাবেশেই নেতাকর্মীরাও উচ্ছৃঙ্খল ছিল না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বল প্রয়োগ করতে হয়নি। বিএনপির শীর্ষ নেতারা প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন যে ২৮ তারিখ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ করেই তারা চলে যাবেন। কিন্তু সেটি ছিল তাদের মুখের কথা। বাস্তবতা যে ছিল সরকার উৎখাতে মহাযাত্রায় অংশ নেয়ার- সেটি অনেকে অনুমান করলেও বিশ্বাস করতে চায়নি, যে বিএনপি বছরজুড়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছিল তার থেকে তারা সরে গিয়ে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করবে। কারণ বড় দলের আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য যে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় সেসবই বিএনপির মাঠের কয়েকজন নেতা করেছিলেন। দেশে এক ধরনের আস্থাও তৈরি হয়েছিল যে বিএনপি ভোটের মাঠটা চাঙা করার জন্যই আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করছিল। সরকার পতনের এক দফা কিংবা অন্য দাবিনামাগুলো ছিল কর্মীদের উজ্জীবিত করা এবং জনগণেরও দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার ইস্যু। সবারই ধারণা ছিল সংলাপের পথে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের হাঁটার প্রয়োজন পড়বে না। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুললে বিএনপি যে কোনো সময় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতেও পারে। সে কারণেই বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করলেও এর কোনো রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করেনি। তাছাড়া অতীতের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বলতা বিএনপিরও জানা বিষয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিচারপতিদের এই দায়িত্বে আনার ব্যাপারে অনেকটা নিষেধাজ্ঞাই দিয়ে রেখেছে। তাছাড়া দেশ এক মিনিটও অনির্বাচিতদের হাতে তুলে দেয়া অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক এবং অগ্রহণযোগ্য বলেও সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার অনির্বাচিতদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ সংসদ নিতে পারে না। সংবিধানে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। এসব বিষয় বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মোটেও অজানা নয়। তারপরও এ বিষয়ে বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীরা সর্বোচ্চ আদালতের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে দেখতে পারতেন। কিন্তু সে পথে তারা হাঁটেননি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতি ব্যতীত সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয়া সংসদ কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব কিনা সেটি সংবিধান বিশেষজ্ঞদেরই মতামত নেয়ার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হতে পারে। কিন্তু এসব বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপনকারীরা কেউ কোনো উদ্যোগ কখনো নেননি। শুধু রাজনীতির মাঠে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জারি রাখা হয়েছিল।
বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীদের দাবিনামা যাই ছিল তা অনেকেই আন্দোলনের ইস্যু হিসেবেই বিবেচনা করেছিল। এসব ইস্যুতে আন্দোলনকারীরা নেতাকর্মী এবং জনগণের একটি অংশের সমর্থন দেখে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করার কথা নয়। কোনো আত্মঘাতী কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনের অর্জনকে বিসর্জনে ফেলে দেয়ার কথাও রাজনীতি সচেতন অনেকে ভাবতে পারেনি। তবে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু টানাপড়েন ছিল। এর আগেও আকস্মিকভাবে ঢাকা অবরোধ করার কর্মসূচি ঘোষণায় তার প্রমাণ মিলেছিল। ঘোষণাটি সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপাড় থেকে এসেছিল। সেটি জানতেন না অন্য নেতারা। বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলের এই আন্দোলনে কর্মসূচি নেয়ার নজির খুব কম ঘটেছে। বেশিরভাগই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনই নির্দেশ করেন। সেভাবেই ঘটে থাকে।
এক্ষেত্রেও বেশকিছু ভিডিও দেখে মনে হয়েছে সরকার উৎখাতে নেতাকর্মীদের মাঠে রাখার চিন্তাই তার কাছে বিবেচ্য ছিল। শীর্ষ নেতা শুধু যে ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তা নয়। মাঠ পর্যায়ের অনেকের সঙ্গেই তার যোগাযোগ রয়েছে বলে শোনা যায়। ২৮ তারিখ সে ধরনের নির্দেশনার প্রভাব পড়ে থাকতে পারে। ফলে ২৮ তারিখ যা ঘটেছে তার সবকিছুই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। সেসব দেখেই হয়তো ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসগুলো বিএনপির পক্ষে কোনো অবস্থান নিতে পারেনি। নতুবা কয়েকটি দূতাবাস তো এর চেয়েও ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিতে দেরি করেনি। পিটার হাস ২৮ অক্টোবরের পরে নির্বাচন কমিশনে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন, সরকার এবং বিএনপিকে শর্তহীন আলোচনায় বসা যায় কিনা সেরকমও মতামত দিয়েছিলেন। অথচ বিএনপি ২৮ তারিখের আগে তাদের দেয়া শর্তের বাইরে গিয়ে কোনো আলোচনায় সরকার পক্ষের সঙ্গে না বসার কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছিল। সরকারও তাই বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। দলের সাধারণ সম্পাদক শর্তহীন আলোচনায় বিএনপির সঙ্গে বসার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই এমন কথা বলার পরও বিএনপি কড়া ভাষায়ই সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিল। ২৮ তারিখ যা কিছু ঘটেছে তা বিএনপির অর্জনকে মুহূর্তের মধ্যে মøান করে দিয়েছে। সে কারণে বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে অবস্থান নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এরই মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াত একদিন হরতাল, টানা তিন দিন প্রথম অবরোধ, এই সপ্তাহের রবি-সোম দুদিন এবং বুধ-বৃহস্পতিবার আবারো অবরোধ ডেকে দেশে পরিবহনের ওপর আক্রোশ ঝাড়ছে, আক্রমণ চালাচ্ছে। শতাধিক যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরানোর মতো ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫-তেও অবরোধ ডেকে ককটেল নিক্ষেপ, পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালানো এবং মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এখন যাত্রীবাহী বাসে উঠতে পারছে না, পর্যাপ্ত যাত্রীবাহী বাসও রাস্তায় ভয়ে নামছে না। পরিবহনের এই সংকট মূলতই অগ্নিসংযোগ এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ভয়ে ঘটে থাকে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল কম দেখে অবরোধ ডাকা বিএনপি-জামায়াত যদি মনে করে থাকে যে তাদের কর্মসূচির প্রতি মানুষের সমর্থন রয়েছে, তা হলে সেটি প্রকৃত সত্যের ধারে-কাছেও নেই। মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই পরিবহনে উঠতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে। এরই মধ্যে বেশকিছু বোমা ও ককটেল প্রস্তুতকারী ধরা পড়েছে। তাদের কাছে বোমা প্রস্তুতের সরঞ্জামাদিও পাওয়া গেছে। এর বাইরেও ভাড়া খাটা কিছু সন্ত্রাসী, বোমা তৈরিকারী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটি করা হলে বোমাবাজি হয়তো কিছুটা বাড়বে। কিন্তু তাতে বিএনপির লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। তবে এভাবে অবরোধ ডেকে বিএনপি কি সরকার উৎখাত করতে পারবে? নির্বাচনও কি ঠেকাতে পারবে? এখন বিএনপির কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় জড়িতদের আটক করা হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০১৩ বা ২০১৫-এর অবস্থানে নেই। তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। সিসি ক্যামেরা এখন অপরাধীদের শনাক্ত করতে দারুণভাবে কাজে লাগছে। অন্যান্য প্রযুক্তিও যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে। ফলে কয়েক যুগ আগের মতো এখন আর অপরাধ করে পার পাওয়া সহজ নয়। সুতরাং এ পথে হাঁটার বিপদ দলের জন্য আরো বাড়বেই। ফলে বিএনপি এখনই তাদের লক্ষ্য পুনর্মূল্যায়ন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে কি নেবে না, সেটি তারাই ভালো বলতে পারবে। কিন্তু বিএনপির শুভাকাক্সক্ষীরা মনে করে দ্রুত বিএনপির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যে কোনো সুযোগের সদ্ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। গাড়ি পোড়াপুড়ি, মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা বিএনপির জন্যই আখেরে জনবিচ্ছিন্নতা বাড়িয়ে দেবে।
বিএনপি যেসব অবরোধ ডাকছে, জামায়াত সেগুলোতে সমর্থন জানাচ্ছে। আপাতত বিএনপির কিছু নেতাকর্মী অবরোধ চলাকালে মাঠে নামার চেষ্টা করছে, গাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি ইত্যাদি চালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, কেউ কেউ ধরাও পড়ছে। জামায়াত-বিএনপির ডাকা অবরোধকে সমর্থন করছে কিন্তু তাদের নেতাকর্মীরা এখনো মাঠে নামছে না। তাদের ভিন্ন পরিকল্পনা থাকতে পারে। নির্বাচনকে ঘিরে গোটা রাজনীতিতেই ২৮ অক্টোবরের পর একটা ভিন্ন আবহ বিরাজ করছে। এর অনেকটাই দায় বিএনপি এবং জামায়াতকে নিতে হবে। তবে জামায়াত নিজস্ব কৌশলে এবার চলছে। ২০১৩ ও ২০১৫-এর মতো তারা মাঠে নামছে না। দেশি-বিদেশি নানা অপশক্তি নির্বাচন বানচালের চেষ্টাও করছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যম আভাস ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেউ কেউ করছে নির্বাচন বন্ধ করার, ১/১১-এর মতো কিছু একটা ঘটানোর। নেপথ্যে অনেক কিছুই ঘটতে পারে বলে কারো কারো আশঙ্কা। তবে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর সবকিছু যদি সংবিধান এবং আরপিও অনুযায়ী দৃঢ়ভাবে সংঘটিত করার প্রমাণ রাখতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা অংশ নেবে তারা যদি আইনানুগভাবে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারে, সরকারি দল আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক কোথাও নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটানোর চেষ্টা করে তা হলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক হতেও পারে। এটি নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট আসনের উপস্থিতির ওপর। সেরকম আবহ তৈরি হলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন কিংবা বিতর্ক করার সুযোগ ততটা নাও থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশন এবং অংশগ্রহণকারী সব পক্ষকেই এখানে নিয়ম ও শৃঙ্খলা মেনে চলার অবস্থানে দেখলে কারো কোনো প্রশ্ন থাকবে না। আপাতত সবাই মনে করে বিএনপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসুক।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়