ডেঙ্গু পরিস্থিতি : ছুটির দিনে রোগী ও মৃত্যু দুইই কম

আগের সংবাদ

কদর বেড়েছে বোমাবাজদের : ২০১৪-১৫ সালের স্টাইলে আগুন-বোমা, পুরনো সন্ত্রাসীরা সক্রিয়, মাঠে নতুন বোমাবাজ

পরের সংবাদ

যা দেখলাম, যা শুনলাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমি যে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, সেখানে ইজিবাইকে (অবৈধ) মোটর সেট করা রিকশাও চলছে। সবজির ঠেলাগাড়ি চলাচল বিঘিœত করছে। এসব যানের ফাঁক দিয়ে পথচারীরা দিব্বি চলছে। এই হরতাল, তিন দিনের অবরোধে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে বলে মনে হলো না।
বহুদিন পর হরতাল ফিরে আসায় একটি আয়েসি সময় কাটানোর চেষ্টা করছে সাধারণ চাকরিজীবী মানুষ। কেবল হরতালের নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টিই নয়, মানুষের মধ্যে এক ধরনের রাজনৈতিক বিরক্তি সৃষ্টি হয়েছে সরকারের যুক্তিহীন কাজ ও কথায়। কারণ তারা দেখেছে ১৯৯০-এর দশকে আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন ছিলেন প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী, আন্দোলন করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েমের জন্য। তিনি বলেছিলেন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা যায় না। সেটা সম্ভব নয়। তিনি সে সময় সফল হয়েছিলেন। কিন্তু আজ সেই তিনিই যখন প্রধানমন্ত্রী, তিনি বিএনপির ওই একই দাবি মানছেন না। তিনি গোঁ ধরেছেন সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হবে। কারণ তিনি সংবিধানের বাইরে যাবেন না। সংবিধানে থেকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছেঁটে দিয়েছেন কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে। কিন্তু এটা তিনি বুঝতে বা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন না যে তার এই রাজনৈতিক গোঁ অনেক প্রাণ হরণ করে নিয়ে গেছে। নিহত ওই নাগরিকদের তিনি ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। এই নির্মম সত্যও তিনি উপেক্ষা করছেন। সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে পাল্টানো যাবে না। যতবার সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছে তা জাতির বৃহত্তর স্বার্থে করার কথা বলা হলেও, সব সংশোধন যথার্থ ছিল না। অর্থাৎ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতেই তার অধিকাংশ করা হয়েছিল। ন্যায়বিচার যাতে প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে তার জন্য ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়েছিল। রক্ষীবাহিনীর কোনো কার্যক্রমকেই আইনের আওতায় আনতে পারবেন না কেউ, ওই বিধানটিই ছিল প্রথম ইনডেমনিটি। তারপর বঙ্গবন্ধু হত্যার নির্মমতাকে চিরতরে ঢেকে রাখার জন্যও আনা হয়েছিল ইনডেমনিটি। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণের কথা ভুলে গেলে বাংলাদেশের ইতিহাসকে কেবল অবজ্ঞাই করা হবে না, নিজেদের অপকর্মের ইতিহাসকেও মুছে ফেলার চেষ্টা করা হবে। আমরা কোনো অন্যায়কেই রাজনৈতিক দলের সুবিধা ও সুযোগের জন্য সমর্থন করি না। আজকে যে জটিলতা বয়ে চলেছে সমাজে, রাজনীতিতে, নির্বাচনী ব্যবস্থায়, তার গোড়া তো সেই বাহাত্তর সালেই রোপিত হয়েছে। সেই ভুল আমরা নির্দ্বিধায় কাঁধে তুলে নিয়ে চলেছি, যা মৃত ও দুর্গন্ধময় লাশেরই রূপক। আজকে যে অবিশ্বাস সর্বত্র, তার পেছনেও আছে সীমাহীন রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভ।

দুই.
কথাবার্তায় বিভিন্ন জিনিসের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ, প্রতিদিনই। টিভি চ্যানেলগুলোতে তা দেখছি। তারা আর পারছে না। বলছেন, আর কতকাল ৫০ টাকায় এক আঁটি শাক কিনব? ১০০ টাকায় এক কেজি লতি কিনব? বেগুন, পটোল, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, টমেটো, লাউ কিনব ১০০-২০০ টাকা কেজি দরে? আমাদের আয়-রোজগার তো ডাবল হয়নি। সরকার তো টাকা ছাপিয়ে তার অর্থসংকট সামাল দিচ্ছে। তার কুফলই তো বাজারে দামের আগুন জ্বলছে। আমরা কী দিয়ে সংসার সামাল দেব?
আর বাস ভাড়া, বেবি ট্যাক্সি ভাড়া? ওই যানবাহনে কতজন চড়তে পারেন? সড়কের পাশে যেসব মোটরসাইকেল হেলমেট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তারাও ভাড়া খাটে। শিক্ষিত বেকার ছেলেরা বুদ্ধি খাটিয়ে এই পেশায় নেমেছে। মহানগরের রোডগুলোর মালিকরা ওই মোটরসাইকেলে যাত্রী নেয়াটাকে বৈধ করেছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে পড়ছে একবার বা দুইবার মোটরসাইকেলের চালক তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল এই বলে যে, পুলিশ তাদের প্রধান প্রতিবন্ধক। পুলিশ তাদের কাছে ঘুষ দাবি করছে। কারণ তাদের রোডে যাত্রী বহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স নেই বা তারা বৈধ নয়। খুবই হাস্যকর যুক্তি যে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করে রোজগার বৈধ নয়। তাহলে বৈধ কি বজরা মার্কা বাস মিনিবাসসহ অসংখ্য লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেস ছাড়া গাড়ি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কিশোর চালকরা যে যানবাহন চালাচ্ছেন তাদের বৈধতা কোথায়? এসব অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের কোনো ন্যায় তৎপরতা নেই। সেগুলো কি পুলিশের চোখে বৈধ?
পুলিশ অবৈধ গাড়িগুলোকে চলতে দেবে, কারণ তারা তাদের ঘুষ দেয়। কিন্তু অবৈধ মোটরসাইকেল বা পারমিশন নেই বলে মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করার ক্ষমতা বা অধিকার দেবেন না, এই দ্বিচারিতাই পুলিশের অবৈধ কাজের সুস্পষ্ট নজির। পুলিশের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ যথাযথভাবে করতে পারলে সড়কে, মহাসড়কে যান চলাচলে অন্যায় হবে না, হতে পারবে না। কিন্তু পুলিশের গলায় এই সমাধানের ঘণ্টা কে বাঁধবে?
রিকশায় মোটর লাগিয়ে পাড়া-মহল্লায় চলাচলে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তারা অবৈধ হলেও এবং যানজট সৃষ্টি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয় না পুলিশ। বরং সড়ক-মহাসড়কে, পাড়া-মহল্লায় চলাচলকারী অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে তাদের কোনো আইনি পদক্ষেপ নেই, একটা গা-ছাড়া ভাব লক্ষ করেছি আমরা। কেবল নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকাতে পারলেই খুশি।

তিন.
এর বাইরে আরো বহু অবৈধ কাজ করে পুলিশ এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রক সরকারি তরফ থেকেও সেটা নিয়মিতই হয়। সেগুলোর বয়ান দিলেই বোঝা যায় সরকারের চেতনা আর যেখানেই থাকুক, ন্যায়ের কাতারে নেই। সরকার নিজেও অনৈতিক কাতারের শক্তি। একটা উদাহরণ দেয়া যাক।
গত ২৮ অক্টোবর ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মহাসমাবেশ। সেই সমাবেশে নারকীয় তাণ্ডব হয়েছে। সেই তাণ্ডবের মূল হোতা কে তা বোঝা যাচ্ছে না। যেসব বাস মিনিবাস বা অন্য ধরনের গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, তা পুড়েছে পুলিশের দেয়া আগুনে। গাড়ির ড্রাইভার এই দাবি করেছে। ভিডিও ফুটেজে তাদের কান্না মেশানো বক্তব্য শুনে এটাই মনে হলো।
ধরা যাক, পুলিশই গাড়িগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে দোষ চাপাচ্ছে বিএনপি ও অন্য দলগুলোর নামে। সেখানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতকে ট্যাগ করে বলা হচ্ছে এটা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- জামায়াত তো পারমিশন পায়নি সমাবেশ করার, তাহলে তারা নামল কেমন করে? ৪৫ হাজার পুলিশের চোখের সামনে জামায়াত নেমেছে মহাসমাবেশ করতে। অথচ পুলিশ বা প্রশাসন তা জানলই না! আসলে বিএনপিকে জামায়াত অ্যালি হিসেবে দেখানো এবং পচানোর লক্ষ্যেই যে পুলিশ তাদের মাঠে নামানোর ব্যবস্থা ও আয়োজন করেছে, তার তো প্রমাণ আছে।
প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে তিনি সংলাপে যেতে পারেন না। সংলাপে বসবেন?
বিএনপির শাসনামলে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর বোমা-গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। এটা সুস্পষ্ট যে তাকে হত্যা করতেই আর্জেস গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল। এই ন্যক্কারজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল, তাদের বিচার হওয়া জরুরি। কিন্তু একটি প্রশ্ন, ক্ষমতায় বসে থেকে প্রধান বিরোধী নেত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা কি সরকারি দলের লোকেরা করবে? কেউ কি নিজের পায়ে কুড়াল মারতে পারে, দেখে, শুনে, সব বুঝে? হত্যা করলেই কি সব সমাধান হয়ে যায়? যদি তাই হতো তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকত না। জিয়ার হাতে গড়া বিএনপি দলটিও তার হত্যার পরপরই ছত্রখান হয়ে যেত। এটা তো আমরা জানি বিভিন্ন দল থেকে আসা লোকেরাই বিএনপিতে যোগ দিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যা করলেই ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে, এমন মূর্খ চেতনা যারা ধারণ করে, তারা ইতরতর প্রাণী। এখন যারা খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা নেয়ার মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন তথাকথিত আইনের দোহাই দিয়ে, তারা মানুষের চেয়ে আইনকেই বড় করে দেখছেন। আইন মানুষেরই নিজের ব্যবস্থা। এটা মনে রাখা উচিত। আজকে সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতাবানরা যে আচরণ করছেন, ভবিষ্যতে তা ফিরে আসবেই। এটাই ইতিহাস।

চার.
আমাদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় এখন। বিএনপি ২৮ অক্টোবর হরতাল পালন করেছে। হরতাল সফল হয়েছে, হরতাল ব্যর্থ হয়েছে ইত্যাদি পুরনো কথা আমরা শুনেছি। এখন বিএনপি ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। তাতে কয়েকটি প্রাণ গেছে। পুলিশই সেইসব হত্যার হোতা। কেননা, তাদের হাতে অস্ত্র। জনগণের টাকায় কেনা হয়েছে যে বুলেট, সেই বুলেটেই জনগণের কয়েকটি প্রাণ হরিত হয়েছে। কিন্তু আইনে পুলিশের এই একপেশে কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। রাজনৈতিক সরকারের অন্যায় আদেশকে তারা শিরোধার্য করে মানুষ হত্যার মতো নৃশংস অপরাধ করছে। পুলিশকে এই রকম অপরাধ কাজ থেকে ফিরে আসতে হবে।
হরতাল ও অবরোধ দেয়ার পর আমাদের মনে পড়ছে অতীতে আওয়ামী জোটের ১৭৩ দিনের হরতালের রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা। মনে পড়ছে কী কী উপায়ে বিচার বিভাগকে অকার্যকর একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। বিচারপতিদের দরজায় লাথি মেরে মেরে তারা তাদের অরাজনৈতিক পজিশনকে কেমন করে রাজনৈতিক ও পদানত করেছে। একজন প্রধান বিচারপতিতে অস্ত্র আর ক্ষমতার সংবিধান লঙ্ঘন করে দেশ ছাড়া করেছে আওয়ামী লীগ এবং সরকার।
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপ্রতির বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন। কিন্তু খবরে সেই বাড়িতে আগুন দেয়ার কোনো ফুটেজ দেখানো হয়নি। বিএনপির প্রতিপক্ষ তো বিচারপতি ও প্রধান বিচারপতি নন, তাহলে তাদের গেটে আগুন দেয়ার প্রয়োজন হবে কেন? যেখানে সশস্ত্র পুলিশকে ঠেকাতে বা তাদের অস্ত্রের হাত থেকে সাধারণ প্রতিবাদীরা জান বাঁচাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে, সেই তারাই বিচারকদের বাড়িতে বা গেটে আগুন দেবে, এটা কি যুক্তিসঙ্গত, বিশ্বাসযোগ্য? আমরা তো দেখলাম ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বিরুদ্ধপক্ষ হচ্ছে সশস্ত্র পুলিশ। পুলিশ ভার্সাস আন্দোলনকারী যুবক, তরুণ, ছাত্র ও গণমানুষ। এটা কেবল বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে তাদেরই রাজনৈতিক স্বার্থে নয়, পেটের স্বার্থে। যখন একজন রিকশাওয়ালা কাঁচামরিচ কিনতে বাধ্য হয় ২০০ টাকা দরে, তখন তার রোজগার আয়ে তো বিপুল ঘাটতি থেকে যায় বা পড়ে। সরকার নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া থামাতে পারেনি। দাম বেঁধে দেয়ার পরও তা দ্বিগুণ/তিনগুণ দামে বিক্রি করছে। সিন্ডিকেট করে যারা গরিবের পকেট থেকে টাকা লুটে নিচ্ছে সরকারের দায়িত্বশীলরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
তামাশাটা বেশ ভালো। কয়েক লাখ মানুষকে বাঁচিয়ে রেখে ১৬ কোটি মানুষকে সিন্ডিকেট কুমিরের মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার। আর এই কাজে সরকারের প্রশাসনের দেবতা অধিপতিরা সিদ্ধহস্ত। তাদের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গাড়ি উপহার দিচ্ছে। আর ব্যাংক নোট ছাপিয়ে বেতন বাড়ানোর কাজটি পূরণ করছেন। প্রশাসনের আমলারা যে দ্বিধারী ছুরি সেটা কি রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় নেই আওয়ামী লীগ-বিএনপির?
এই রাঘববোয়ালের মুখে দেশের মানুষ। রাঘববোয়াল তার ছানাপোনাদেরও গিলে খায়। আমাদের সরকার এখন সেটাই করছে।

ড. মাহবুব হাসান : সাংবাদিক ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়