আগামীকাল স্যাম্বো-কুরাশ প্রতিযোগিতার পর্দা উঠছে

আগের সংবাদ

মাহবুব : হার না মানা সম্প্রদায়ের মানুষ

পরের সংবাদ

মানুষ এ শঙ্কা থেকে মুক্তি চায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতা চালাচ্ছে। পুলিশ জখম, গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নানা নৈরাজ্যের খবর গণমাধ্যমে আসছে। গত দুদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। সিলেটে অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদলের এক নেতা নিহত হন। এছাড়া ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বগুড়াসহ দেশের কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষে ১৩ পুলিশসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। দেশে যেভাবে সংঘাত, এমনকি রক্তপাত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, তা আমাদের যেমন উদ্বিগ্ন তেমনই বিস্মিত করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে প্রতীয়মান- রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে এসব সংঘাত ও প্রাণহানি চাইলেই এড়ানো সম্ভব ছিল। অবরোধের প্রথম দিন রাস্তায় জনগণের চলাফেরা কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বেশি দেখা গেছে। সড়কে মানুষও দেখা গেছে বেশি। হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত হিংস্র মনোবৃত্তির পুনঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের মাঠে নিয়ে আবারো হত্যা খেলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা শুরু করেছে। সাধারণ জনগণ এমন কর্মকাণ্ড কখনো সমর্থন করে না। মানুষ এ শঙ্কা থেকে মুক্তি চায়। বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে যাবে না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে চায়। সন্ত্রাস দ্বারা মানুষের সমর্থন জয় করা যায় না। বরং মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়। অতীতে বিএনপি তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরিণতি থেকে কোনো শিক্ষাই নেয়নি? ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্র জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যখন বিচার শুরু হয় তখনই এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু হয়। সে সময় ৪১৯টি ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয় ৪৯২ জন, আহত আড়াই হাজারের কাছাকাছি। এক একটি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যেত হত্যা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোটের ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কেউ ভোলেনি। তখন শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষের আহাজারিতে হাসপাতালগুলোর বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পবিত্র উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায়ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি লাখ লাখ গাছও। নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসারসহ হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে। সারাদেশে ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত জোট আগুন সন্ত্রাসের খেলায় মেতে উঠেছে। গত দুদিনের অর্জনের চেয়ে ব্যর্থতা বেশি। সাধারণ মানুষ জনসমর্থন যা ছিল আগুন সন্ত্রাসের কারণে তাও ভেস্তে গেছে। ভুলে যাওয়া চলবে না- সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কোনো রাজনৈতিক দল নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা ও পালন করতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে মানুষের জীবনমান যেন শঙ্কামুক্ত থাকে তার ব্যবস্থা নেয়া। পাশাপাশি জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়