বীমা ব্যক্তিত্ব সামাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

নানা আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন

পরের সংবাদ

রাজপথে ফের শক্তির মহড়া : নাশকতা মোকাবিলায় সতর্ক পাহারায় আ.লীগ, মহাসমাবেশের ঘোষণা দেবে বিএনপি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝর্ণা মনি ও রুমানা জামান : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাসের মতো বাকি। এই সময়ে দেশ নির্বাচনী আবহে মেতে ওঠার কথা থাকলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভোটের প্রস্তুতি নিলেও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে ব্যস্ত বিএনপি। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহল ও দেশীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বিএনপি নেতারা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানার ঘোষণা এলেই কেবল সংলাপে বসবেন তারা। আর সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো সংলাপ হবে না। শর্তযুক্ত সংলাপে যাবে না আওয়ামী লীগ। এই অবস্থায় রাজপথে শক্তির মহড়া দেখাতে ফের মুখোমুখি দুই দল। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ঢাকার রাজপথে একই সময়ে অল্প দূরত্বে জনসমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। রাজধানীর রাজপথে দুই দলের শক্তি প্রদর্শনের এই মহড়াকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখলেও নির্বাচনের স্বল্প আগে দুই দলের রাজনৈতিক সমঝোতাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। অন্য দিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের অধীনে অতীতের কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। এবারো সুষ্ঠু হবে না। এজন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। আন্দোলনের পরবর্তী

পর্যায়ে ঢাকা অবরোধের ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি- এমন আভাস দিয়েছেন দলটির নেতারা। তবে ঢাকা অবরোধের চেষ্টা করলে বিএনপির পরিণতি শাপলা চত্বরের থেকেও করুণ হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপির কর্মসূচি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর বিএনপির অবস্থান হচ্ছে- হয় এসপার, না হয় ওসপার। চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। ছাড় দেয়ার সময় শেষ।
আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশলী আওয়ামী লীগ : বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি বলছে, দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার পরই তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে। আজ বুধবারের সমাবেশ থেকে সরকারকে একটি আলটিমেটাম দেয়া হতে পারে। বিএনপি বলছে, এখন থেকে তাদের আন্দোলন হবে মূলত রাজধানী ঢাকামুখী। তবে বিএনপির এই মরণকামড়ের ভয়ে শঙ্কিত নয় ক্ষমতাসীনরা। বিএনপিকে চাপে রাখতে কৌশলী আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই রাজপথে রয়েছে। সেইসঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোও প্রস্তুত। ফাঁকা ঢাকা যেন বিএনপির খেলার মাঠে পরিণত হতে না পারে সেজন্য আজ আওয়ামী লীগও ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে। সমাবেশ থেকে বিএনপি অবরোধ বা অন্য কোনো ধরনের সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা দিলে প্রতিরোধে প্রস্তুত ক্ষমতাসীনরা।
সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে বিএনপি নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো আল্টিমেটাম দিয়ে লাভ হবে না। সংবিধান থেকে একচুলও সরবে না সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণবিপ্লবের চিন্তা করছে বিএনপি। তাদের এই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নাশকতার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার সময় বিএনপি-জামায়াতসহ মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো বড় ধরনের নাশকতা করতে পারে। অতীতের মতো বড় ধরনের সহিংসতা বা তাণ্ডব চালাতে পারে। নির্বাচনের আগে সাম্প্র্রদায়িক সম্প্র্রীতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না করতে পারে এজন্য সারাদেশে নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ভোরের কাগজকে বলেন, আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আর নির্বাচন বানচাল করাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। এ কারণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপির বড় ধরনের নাশকতা করতে পারে। ২০১৩-১৪ সালে সারাদেশে তারা তাণ্ডব চালিয়ে ছিল। এবার কোনো ধরনের নাশকতা করার চেষ্টা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত অতন্ত্র প্রহরীর মতো রাজপথে থাকতে হবে- এটিই হলো তাদের মূল বার্তা। তফসিল ঘোষণা করা হলে দেশে একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরি হবে এবং বিএনপির আন্দোলন মাঠে মারা যাবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী ১০০ দিন দেশটাকে পাহারা দিতে হবে। বিএনপি ভেবেছে ঢাকা শহরে কয়েকটা সমাবেশ করে, মানববন্ধন করে এবং সারাদেশ থেকে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে সরকার হটিয়ে দেবে। এটা আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার। কয়েকটা মানববন্ধন করে, নয়া পল্টনে ২০/৩০ হাজার মানুষ জড়ো করে কিংবা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে এই সরকার হটানো সম্ভব নয়। ২০১৩-১৪ সালেও অনেক চেষ্টা করেছিল। বহু গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়েছিল; তবুও শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেনি। এবারো পারবে না।
বিএনপিকে মোকাবিলায় কি ধরনের কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ভোরের কাগজকে জানান, আমরা বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করছি না। আমরা উন্নয়ন ও শান্তি কর্মসূচি নিয়ে জনগণের নিরাপত্তায় রাজপথে আছি। আজ বুধবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা হবে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। ২৫ অক্টোবর বাড্ডায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করবে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
জনসমাবেশ থেকে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেবে বিএনপি : ‘এক দফা’ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ বুধবারের সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবার শেষবারের মতো আল্টিমেটাম দেবে বিএনপি। একই সঙ্গে পূজার পর আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যে মহাসমাবেশ থেকেই আগামীতে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।
বিএনপির নেতারা জানান, বুধবারের জনসমাবেশে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের জড়ো করার প্রস্ততি নেই তাদের। কেবল ঢাকার আশপাশের জেলার নেতাকর্মীদেরই সমাবেশে উপস্থিত থাকতে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে। পুলিশের ধরপাকড় এড়াতে ৭ দিন আগেই গোপনীয়তা রক্ষায় সমাবেশে সফলের বার্তা মুঠো ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে জেলার নেতাদের পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শুধু মামলা ও অসুস্থতার কারণ ছাড়া সব নেতাকর্মীকে যথাসময়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ১২টার মধ্যেই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সারাদেশের নেতাকর্মীদের এই মূহর্তে ঢাকায় না আনার কারণ হিসেবে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য- গত কয়েকদিনে সরকার দলীয় নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে, পূজার পর চূড়ান্ত আন্দোলন শুরুর আগেই তারা পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করে এমন আবহ সৃষ্ট করবে যাতে মাঠের নেতারা ভীত হয়ে পড়ে। এ কারণে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনে এক্ষুনি গ্রেপ্তারের মুখে ফেলতে চান না তারা। পূজার পর যা করার একসঙ্গে করবেন।
সূত্র জানায়, এই মুহূর্তে নির্বাচনের তফসিল ঠেকানোই টার্গেট বিএনপির। এর মধ্যে দিয়েই আন্দোলনের শেষ ধাপের বিরতিহীন কঠোর কর্মসূচির পথে হাঁটবে দলটি। এ পর্যায়ে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভবনমুখী পদযাত্রা, ঘেরাও, অবস্থান ও অবরোধ এমনকি পরিস্থিতি বুঝে হরতাল কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তফসিলের আগেই কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি আসছে, এমন আভাস দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর। সোমবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে যুব সমাবেশে নেতাকর্মীদের ‘সর্বাত্মক’ প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন কয়েকদিনের মধ্যেই, আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। তিনি বলেন, আমাদের সামনে এখন একটাই লক্ষ্য, সরকারের পতন। নিঃসন্দেহে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের যে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে, এ আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
বিএনপির নেতারা জানান, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য ৭ থেকে ১০ দিনের একটি লাগাতার কর্মসূচি দিতে চান তারা। তবে ‘টাইমফ্রেম’ থাকলেও বাস্তব পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে মামলা হামলার মধ্যেও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তরুণ নেতৃত্বকে সামনে রেখে চলমান কর্মসূচি ধাপে ধাপে টেনে নির্বাচন পর্যন্ত নেয়া হবে। নেতাদের ভাষ্য- ‘এবার হয় এসপার না হয় ওসপার হবে’। ছাড় দেয়ার সময় শেষ। নেতাদের মতে, চলতি মাসের শেষ থেকে নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত সময়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারকে যে কোনো মূল্যে পদত্যাগে বাধ্য করাতে হবে। তফসিল ঘোষণা আটকাতে না পারলে মাঠের নেতাদের মনোবলে চিড় ধরবে। এ কারণে যে কোনো সময়ের চেয়ে সতর্ক রয়েছেন তারা। কোন প্রেক্ষাপটে কি ধরনের কর্মসূচি আসবে, তার ধরন কি হবে, ‘ফিডব্যাক’ কি আসবে? এসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে স্থায়ী কমিটির বৈঠকগুলোতে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, চূড়ান্ত কর্মসূচি বলে রাজনীতিতে কিছু নেই। এটার অর্থ আমি বুঝি না। চূড়ান্ত কিছু কবে আসবে, কবে হবে, এসব তো দিনক্ষণ বলে আসে না। কাল সকালেও চূড়ান্ত হতে পারে। যখন যেভাবে রাজপথে নামার প্রয়োজন হবে, নেমে পড়ব।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বুধবারের (আজ) সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দেয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে রাজপথের চিত্র বদলে যাবে। তিনি বলেন, এছাড়া এ জনসভা থেকে আগামীর ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা আসবে। তফসিলের আগে কর্মসূচির ধরন কেমন হবে তা এখনি বলা যাবে না। তবে আন্দোলন আরো জোরদার হবে।
ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, আমরা পিছপা হব না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকব। চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছি। প্রত্যেক সাংগঠনিক ইউনিটকে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য মাঠের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার বিকল্প নেই। এবার আন্দোলনের মূল পয়েন্ট অবশ্যই ঢাকা।
এদিকে এভাবে নির্বাচন সামনে রেখে সংলাপ-সমঝোতা প্রশ্নে ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা দলগুলোর অনড় অবস্থানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাত ও সহিসংতার দিকে এগোচ্ছে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ভোরের কাগজকে বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলের ‘দেশীয় সমাধান’ ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারি দলকে নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা ও সঠিক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। আর রাজপথের বিরোধী দলকে সংবিধান ও গণতন্ত্র সমর্থন করে না এমন কোনো দাবিতে অনড় না থেকে সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়