পোশাক শ্রমিকদের মজুরি সাড়ে ১৭ হাজার টাকা করার প্রস্তাব : সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ

আগের সংবাদ

পদ্মার বুকে স্বপ্নের পারাপার : প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিল ট্রেন > উদ্বোধন করে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা গেলেন প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মাঠে নামছে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান ও ১৯৯৬ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৩০ মিনিটে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে বাবর আজমরা। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে ধরাশায়ী হয় লঙ্কানরা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে মাত্র ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারালেও সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দৃঢ়তায় ২৮৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের পেস ইউনিটের দারুণ বোলিংয়ে বাস ডি লিড ও বিক্রমজীতের ফিফটির পরও সহজ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাবর আজমরা। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়ে বিপদেই পড়ে লঙ্কানরা। প্রোটিয়ারা তিন সেঞ্চুরিতে সংগ্রহ করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আসালাঙ্কা, কুশাল মেন্ডিস ও দাসুন শানাকার ফিফটির পরও ৩২৬ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। ফলে ম্যাচ হারার পাশাপাশি রান রেটেও বড় ধাক্কা খায় দলটি।
পাক অধিনায়ক বাবর আজম ওয়ানডে ব্যাটার র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন শাহীন শাহ কিংবা হারিস রউফের মতো পেসার। সঙ্গে সালমান আগা, শাদাবদের মতো তরুণরাও আলো ছড়াচ্ছেন। এ সবই ভারতের মাটিতে পাকিস্তানকে বাড়তি উদ্দিপনা জোগাচ্ছে। যদিও তবে বাবরদের সাম্প্রতিক ফর্ম তেমন ভালো যাচ্ছে না। গত মাসে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার কাছেই পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও পরাজিত হয়েছে বাবর আজমের দল। কিন্তু ব্যর্থতার মাঝেও পাক অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়েছেন তার দল বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। যদিও দলের ব্যর্থতার দিনেও প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানি অধিনায়ক যথাক্রমে ৮০ ও ৯০ রান করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ ঠিকই দিয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও রান পেয়েছেন বাকিরা। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে রিজওয়ান ৫২ গড়ে করেছেন ৫৬২ রান। এছাড়া ইফতেখারের ৯ ম্যাচে ৬৬ গড়ে রয়েছে ৩২৬ রান। এদিকে বর্তমান দলের মাত্র দুজনের ভারতের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে সর্বশেষ তিনবারের মোকাবিলায় দুবারই পাকিস্তানজয়ী হয়েছে। ভারতের ধীর গতির উইকেটে পাকিস্তান তাদের স্পিন ট্রায়ো শাদাব খান, উসমান মির ও মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে দুই পার্ট-টাইমার ইফতিখার আহমেদ ও আগা সালমানকে কাজে লাগাতে চায় পাকিস্তান। কাঁধের অস্ত্রোপচারের কারণে পেসার নাসিম শাহ খেলতে পারছেন না বিশ্বকাপ। তবে নতুন বলে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদী ও হারিস রউফ প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে এই দুই পেসার উইকেট শিকার করেছেন যথাক্রমে ১০টি ও ১৮টি। গত ম্যাচেই তার প্রমাণ দিয়েছেন তারা।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পর পাকিস্তানকেও হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় লঙ্কানরা। যদিও ঘরের মাঠে ভারতের কাছে ফাইনালে লজ্জার হার বরণ করে নেয় দলটি। কিন্তু কাগজে কলমে তারা এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল। দলটির হয়ে কুশল মেন্ডিস আছেন দারুণ ছন্দে। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে করেছেন ৭৬ রান।
প্রস্তুতি ম্যাচে মাত্র ৮৬ বলে ১৫৮ রানের অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। এশিয়া কাপেও ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে ৫৬ গড়ে করেছেন ৪৪৮ রান। এছাড়া তরুণ ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার দিকেও নজর থাকবে সবার। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে ৪০ গড়ে ৩৬০ রান করেছেন তিনি। লঙ্কানদের বোলিংয়ের মূল অস্ত্র ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ইনজুরির কারণে মিস করবেন বিশ্বকাপ। তবে চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মহেশ থিকশানা। যদিও প্রথম ম্যাচের মতো আজও তার মাঠে নামা অনিশ্চিত। সর্বশেষ নয় ম্যাচে ২৩টি উইকেট রয়েছে তার। এদিকে ‘বেবি মালিঙ্গা’ হিসেবে খ্যাত মাথিশা পাথিরানা এবছরের শুরুতেই ভারতে খেলে গিয়েছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসর। সর্বশেষ এশিয়া কাপে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১১টি উইকেট। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৯৫ রানের বিনিময়ে মাত্র ১টি উইকেট পেলেও তাকে সমীহ করতেই হবে বাবর আজমদের। হাসারাঙ্গার স্থলে দলে জায়গা পাওয়া দুনিথ ভেল্লালাগেও দারুন ছন্দে রয়েছেন, তার সামর্থেও প্রমাণ তিনি দিয়েছেন এশিয়া কাপেই। এছাড়া লঙ্কান দলে রয়েছে সাধিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল পেরেরার মতো নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়রা। সবশেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা দাসুন শানাকাও দলের প্রয়োজনে জ¦লে উঠতে পারেন যে কোনো সময়। এশিয়ার দুই দলের লড়াইয়ে জিতবে কারা, তা জানা যাবে আজ মাঠেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়