দুদকের মামলা : সাবেক বিমানবালা শোভার ৩ বছর কারাদণ্ড

আগের সংবাদ

ঐতিহাসিক সম্পর্কে পরমাণু শক্তির বন্ধন : বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ইউরেনিয়ামের চালান গ্রহণ করল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

সর্বজনীন পেনশন স্কিম কতটা যুগোপযোগী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ঘোষণা করেছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম। সরকার ঘোষিত এই পেনশন স্কিম কতটা বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী? দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ নানা কারণেই সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরির মেয়াদ ৬০ বছর করা হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ তা আরো বর্ধিত হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ বয়সে আর্থিক নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এবং মূলত দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের শেষ বয়সের আর্থিক নিরাপত্তার জন্যই সর্বজনীন পেনশন স্কিম সরকার কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে। কেননা একজন মানুষ যতই উপার্জন করুক কিংবা সম্পদ তৈরি করুক কিংবা নগদ অর্থ জমিয়ে রাখুক- তা শেষ বয়সে বেশির ভাগ মানুষই ভোগ করতে পারে না। অনেক পরিবারেরই পরবর্তী প্রজন্মের চাপে তার বহু কষ্টে অর্জিত সম্পদ বা নগদ অর্থ ভাগাভাগি হয়ে হয়ে যায়। শেষ বয়সে সেই পরিবারের কর্তা ব্যক্তিটিকে অসহায় অবস্থায় পড়তে হয়। এসব চিন্তা মাথায় রেখেই মূলত সরকার ঘোষণা করেছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম। আর এই খাতে ১০ কোটি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবসম্মত বা যুগোপযোগী? সরকারি চাকরিজীবীরা চাকরি করার পর অর্থাৎ অবসরে গেলে তাদের বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক নিরাপত্তার জন্য প্রতি মাসে পেনশন দেয়া হয়। কিন্তু একই সুবিধার আওতায় দেশের সব জনগোষ্ঠীকে আনতে পেনশন সুবিধা চালু করল সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে এটি দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে একেবারেই সাদামাটা কথায় বলতে গেলে ১৮-৫০ বছরের মধ্যে যে কেউ সরকার ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। নির্দিষ্ট হারে মাসিক ত্রৈমাসিক কিংবা বার্ষিক চাঁদা দিয়ে। ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে যেতে হবে। এবং আপনার বয়স যখন ষাট হবে তারপর থেকে আপনি প্রতি মাসে জমাকৃত মাসিক চাঁদার হার অনুযায়ী মাসিক পেনশন সুবিধা আজীবন পেতে থাকবেন। তবে আপনি মারা গেলে আপনার মনোনীত ব্যক্তি চাঁদা দাতার বয়স ৭৫ বছর হওয়া পর্যন্ত পেতে থাকবে।
মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী সারাজীবন নিজে কষ্ট করে পরিবারের সুখের জন্য। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে নিজেকে হতে হয় পরিবারের উচ্ছিষ্ট অংশ। সেই বিবেচনায় নিজের শেষ বয়সের কথা মনে করে প্রতিটা মানুষ সচেতনতার সঙ্গে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় যুক্ত হয়ে উপভোগ করতে পারেন শেষ জীবনে কারো বোঝা না হয়ে দেশের সম্মানিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক সুবিধা। তবে এই পেনশন স্কিমে নারী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য অতি দরিদ্র সমতা স্কিমের মতো বিশেষ সুবিধা দেয়া যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।

নুরুন্নবী খোকন : সমাজকর্মী, মেহেরপুর।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়