প্রস্তুতি ম্যাচ : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের হার

আগের সংবাদ

রাজনীতিতে সমঝোতার উদ্যোগ! : বৈরিতার পারদ নিম্নমুখী, আ.লীগের ৫ সদস্যের কমিটি, প্রতিনিধি দল গঠন করছে বিএনপি

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রমাণ দিতে হবে দেশটি কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতটাই নজরদারি প্রতিষ্ঠা করেছে যে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির ওপর সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস কোনো না কোনো মতামত প্রকাশ করছে। এটি আগে কখনো কেউ দেখেনি। অন্য কোনো বৃহৎ শক্তির সচরাচর ছোট কোনো দেশের ওপর নির্বাচন নিয়ে এতটা মতামত রাখার নজির নেই। অন্য দেশগুলোও একেবারে নজরদারিত্ব ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে এমনটি কতটা নিশ্চিত করে বলা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্বার্থসংশ্লিষ্টতা যে দেশের সঙ্গে রয়েছে সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খোঁজখবর রাখে না এমন কোনো দেশ বোধহয় নেই। কিন্তু সচরাচর দেশগুলো নির্বাচনকালে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতির নর্মস বলে স্বীকৃত। কিন্তু ইদানীং এক মেরুর বিশ্বব্যবস্থা যত ভেঙে যাচ্ছে, তত বড় বড় রাষ্ট্রগুলো নিজের আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চলকে নিয়ে কূটনৈতিক নর্মস ভঙ্গ করে এক ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। এটি বিশ্বের জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক কোনো অবস্থা সৃষ্টি করবে না। আধুনিক বিশ্বে উন্নত, অনুন্নত সব দেশই যখন স্বাধীন সার্বভৌম বলে দাবি করে থাকে তখন সেই দেশের স্বাধীন অবস্থানকে সবসময়ই বড় ছোট সব রাষ্ট্রেরই সম্মান জানিয়ে চলার শিক্ষা আধুনিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে সবাই শিখেছে। কিন্তু সেই শেখা এবং বাস্তবতার মধ্যে সবসময় যথেষ্ট দূরত্ব দেখা যাচ্ছে। এখানেই মূল বিপত্তিটি ঘটছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যে ভূমিকা নিয়েছিল সেটি নিশ্চয়ই তাদের জন্যই খুব একটা সুখকর হয়নি। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কিন্তু মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন সরকারের অমানবিক ভূমিকার কথা ইতিহাসে যেমন লিখিত হয়ে গেছে। সেই ইতিহাস আমরা না চাইলেও উচ্চারণ করতেই হয়। তবে আমরা সেই উচ্চারণের সঙ্গে এই কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বলি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক শক্তি এবং জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশেই ছিল, সহযোগিতাও করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন দ্বৈতচরিত্র আমাদের জানা আছে। সে দেশের সরকার আর জনগণ সবসময় এক রকম ভাবে না, এক রকম ভূমিকাও নেয় না। ফলে আমরা যখন সমালোচনা করি তখন নির্দিষ্ট সরকারের ভূমিকারই সমালোচনা করি। এই উদারতা এবং শিক্ষা আমাদের রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমাদের মতো ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলো সহানুভূতি, উদারতা এবং সহযোগিতা পাওয়ার আশা সঙ্গত কারণেই করে থাকি। যেমন করোনা মহামারিতে টিকা উদারহস্তে দান করার বিষয়টি আমরা কখনো ভুলব না। আমাদের মতো আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকভাবে নানা ভিন্নতা নিয়ে বেড়ে ওঠা রাষ্ট্রের পক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম যে কত যন্ত্রণাদায়ক তা সব উন্নত রাষ্ট্রই যে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারে তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। ১৯৭৫-এর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কতটা পেছনে নিক্ষেপ করেছে সেটি অনেক উন্নত রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা খুব বেশি বোঝেন তা তাদের কাছ থেকে মনে হয় না। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, উগ্রজঙ্গিবাদ, পশ্চাৎপদ মানসিকতা ইত্যাদি অতিক্রম করার মতো রাজনৈতিক শক্তির একবার বিনাশ ঘটলে শত বছর হয়তো অপেক্ষা করতে হবে সেই দেশটিতে গণতন্ত্র নামক রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণার সংস্কৃতিকে স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য। আমরা যারা পশ্চাৎপদতার নানা শিকলে বাঁধা সমাজে বসবাস করছি। আমরাই জানি এই সমাজের চিন্তাধারার ভয়ানক পশ্চাৎগামিতা ও বহুমুখিনতা। গণতন্ত্র আমাদের মতো সমাজে এক পা এগোচ্ছে তো ৫০ পা পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এমন ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক, সুবিধাবাদী বহু চরিত্রের অপশক্তি রাজনীতির কত গভীরে জাল বিস্তার করে বসে আছে, তা উন্নত দুনিয়ার গণতন্ত্রের ধজাধারী রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী যদি বুঝতে পারত তা হলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক রাষ্ট্রের অবস্থা আজ এমন হতো না। এ ধরনের বহু অঞ্চল এবং সংকট এখন আমাদের চারপাশেই বিদ্যমান। সেই অবস্থায় পৃথিবীর বড় বড় রাষ্ট্রগুলো যদি আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পশ্চাৎপদ রাষ্ট্র ও জাতিসমূহকে উদারভাবে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে সহযোগিতাই করত, তাহলে পৃথিবীর চিত্রটাই অনেক সহজেই পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ পেত। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাটা সেরকম হয়নি।
আন্তর্জাতিক এই বাস্তব অবস্থাটি আমাদের মতো সমাজ ও রাষ্ট্রকে স্বাধীনভাবে চলার ক্ষেত্রে কখনো কখনো সমস্যারই সৃষ্টি করছে। এ সত্য সবাই হয়তো স্বীকার করছে না। কিন্তু বাস্তবতাটা এই ধারণা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিকভাবে যথেষ্ট নজর কাড়ার মতো উন্নতি লাভ করেছে। আমাদের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি এখন অনেক বদলে গেছে। উন্নত দেশগুলোর আর্থিক, কারিগরি নানা সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে রয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে কোনো অংশেই এ দেশের ভিশনারি-মিশনারি রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিকল্পনা এবং দেশকে বদলে দেয়ার ইচ্ছাশক্তির মূল্য কম নয়। কিন্তু তারপরও আমাদের মতো দেশ রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা-সাংস্কৃতিকভাবে ভারসাম্যমূলক উন্নয়ন ঘটানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। আর্থিক পরিবর্তনটা যতটা দ্রুত ঘটানো সম্ভব হয়েছে, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ও মানসিক সাযুজ্যতা ঘটানো ঢের ঢের চ্যালেঞ্জিং কাজ। সেটি না ঘটলে রাজনৈতিকভাবে আমাদের রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ধারণার টেকসই অবস্থানে উত্তরণ ঘটানো মোটেও সহজ কাজ হবে না। কিন্তু সেটি তো ঘটাতে হবেই। প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে? উত্তরে বলতে হবে অবশ্যই নিজস্ব মেধা, মনন, উদ্ভাবনী শক্তি, পরিকল্পনা, প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে উন্নত দুনিয়ার সহযোগিতামূলক সম্পর্কের হাত ধরাধরিই কেবল পথচলাকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। কারণ আমাদের মতো পশ্চাৎপদ প্রতিটি দেশেরই সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের বিভাজন, যেগুলোর সূত্র খুঁজতে গেলে দু-চার হাজার বছরের গূঢ়ে যেতে হবে। অনেক পশ্চাৎপদ মানসিকতা এসব সমাজকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। সেখানে আধুনিক গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাম্য, ন্যায়বিচার, কল্যাণকামী চিন্তার মতো মানবিক আকাক্সক্ষার উদ্ভব ও বিকাশ বেশ জটিল চ্যালেঞ্জের মুখে অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পক্ষে এসব জটিলতা বুঝে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে হাত ধরাধরির মতো পর্যায়ে নেয়ার তাগিদ খুব বেশি পরিলক্ষিত হয় না। হওয়াটি কিন্তু খুব জরুরি ছিল। দিন যতই যাচ্ছে ততই ভাঙছে পৃথিবীর আন্তঃসম্পর্কের গ্রোথিগুলো। কোভিড-১৯ এক কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছিল পৃথিবীকে। সেখান থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ আরেক ভাঙাভাঙির সম্পর্কের মুখে ফেলে দিয়েছে আমাদেরকে। এভাবেই যদি চলতে থাকে তা হলে সভ্যতার ধারণাই বোধহয় একসময় নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হতে পারে। মনে হয় সেটিও করা যাবে না। কারণ একটি ধারণাকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য যে বাস্তবতা বিরাজ করা দরকার সেই সুযোগটাই তো এখন পৃথিবী থেকে যেন উবে যেতে বসেছে। অথচ পৃথিবীতে সম্পদ আছে, মানুষ আছে, শিক্ষা ও প্রযুক্তিও আছে। কিন্তু মানুষ যদি তার প্রজ্ঞার চেয়ে স্টুপিডিটির দিকে বেশি ধাবিত হয় তা হলে কোনো কিছুই তো নির্মিত হবে না। এ বিশ্বে দরকার পিছিয়ে থাকা জাতি, গোষ্ঠী এবং রাষ্ট্রগুলোকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দেয়া, মানুষকে স্বাধীনভাবে চিন্তা, বুদ্ধি প্রয়োগ এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে যোগ্য করে তোলা। সেই সুযোগটি করে দেয়ার মতো রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ তো আমাদের আছে। কিন্তু এর কোনোটাই চার্টার অনুযায়ী চলতে পারছে না, এর মানে চলতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে পৃথিবী এখন যতটা না গড়ছে, তার চাইতে ভাঙছে এবং সংকটে নিপতিত হচ্ছে বেশি বেশি। এটি উপলব্ধি করতে উন্নত দেশগুলো এবং তাদের রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকরা যদি আরো দেরি করে তা হলে বিপর্যয় কারোই পিছু ছাড়বে না। বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ৭-৮ মাস ধরে তাদের শীর্ষ ও মাঝারি পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের নিয়মিত পাঠাচ্ছে। তারা এসে নানা রকম উপদেশ দিচ্ছে। এসবই আমাদের জানা কথা।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস তো নিয়মিতই দৌড়ঝাঁপ করছেন, কথা বলছেন। দূতাবাসে নাগরিক সমাজ নামধারী এক শ্রেণির ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভাইবা পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। যারা গেছেন তাদের কজন এ সমাজের মানুষের ভালোমন্দের বিচার করেন- সেই বিতর্কেও নাইবা গেলাম। তবে প্রায়দিনই ওয়াশিংটন থেকে বলা হয় যে দেশটি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, দেশটির অবস্থান বাংলাদেশে কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। কূটনীতির ভাষা নিয়ে বেশি কূটতর্ক করা যায় না। তবে কূটনীতি এক, আর কুটিলতা ভিন্ন জিনিস। শেষেরটি ঘটে পর্দার অন্তরালে। সেই অভিজ্ঞতা পৃথিবীর অনেক দেশেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘটিয়েছে। সে কারণেই সন্দেহমুক্ত হওয়া যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের কয়েকজন ব্যক্তির ওপর স্যাংশন জারি করেছে। সেটি নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে। এর পেছনে আমেরিকার নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান বব মেনেনডেজ জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ৮ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। লবিস্ট নিয়োগ করে কেউ যদি অন্য রাষ্ট্রের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা হলে তো পৃথিবীতে তদন্ত, অনুসন্ধান, আইন, নিয়মনীতি, সভ্যতা-ভব্যতা খুব বেশি কার্যকর থাকবে না। সম্প্রতি ভিসানীতি কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে। সেটি বলতে গিয়ে পিটার হাস মিডিয়ার ওপরও স্যাংশন আসতে পারে বলে আগাম মন্তব্য করেছেন। যদি তার মন্তব্যই শেষে কার্যকর হয় তা হলেও আশ্চর্যান্বিত হওয়ার কিছু থাকবে না। আবার যে কারো জন্যই হতে পারে এমন ব্যাখ্যাও যখন দেয়া হয় তখন সবকিছুই মনে হয় আতঙ্ক সৃষ্টি আর ওলটপালট করে দেয়ার কোনো পরিকল্পনার অংশবিশেষ। বাংলাদেশের রাজনীতি, মিডিয়া আর সুশীল সমাজের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ভিসানীতি। সাধারণ জনগণের তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ মার্কিন দেশে যাওয়ার জন্য সমাজের বিত্তশালী এবং সুশীলদেরই বেশি প্রয়োজনীয়তা, সাধারণের নয়। সে কারণে তারাই এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তবে মিডিয়াকে কেন টানাটানি করতে যাওয়া সেটি কারো বোধগম্য হয়নি। আমাদের মতো দেশে মিডিয়া এখন যত ভূমিকা রাখছে, তার সিকিভাগও অন্যরা রাখার কাজ করছে না। সে কারণেই সবকিছুই এলোমেলো মনে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছে, কারো পক্ষে বা বিপক্ষে না থাকার- সেটির প্রমাণ তারাই দেবে এমনটিই তো হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগেই কথার এত পরিবর্তন যখন ঘটে তখন আস্থার সংকট তো বাড়বেই। সেই সংকট যেন বাড়তে না পারে, নির্বাচন নিয়ে দেশে যেন কোনো সংকট তৈরি না হয়, সেটিই তো যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা তখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশি কথা বলার চেয়ে পর্যবেক্ষণ করাটাই কি শ্রেয় নয়?

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়