প্রস্তুতি ম্যাচ : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের হার

আগের সংবাদ

রাজনীতিতে সমঝোতার উদ্যোগ! : বৈরিতার পারদ নিম্নমুখী, আ.লীগের ৫ সদস্যের কমিটি, প্রতিনিধি দল গঠন করছে বিএনপি

পরের সংবাদ

তিন পাণ্ডবের শেষ বিশ্বকাপ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী ৫ অক্টোবর পর্দা উঠবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরের। আসন্ন এই বিশ্বকাপ হবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মিডল অর্ডার ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পঞ্চম ও শেষ বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। এরপর আর ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মর্যাদার আসরে দেখা যাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারদের।
বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব ও মুশফিক। গত চার আসরের বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অংশগ্রহণ থাকলেও তাদের মতো এত ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। রানের হিসাবে এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে এগিয়ে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। এরপরই অবস্থান মুশফিকের, সবার শেষে মাহমুদউল্লাহ। তবে স্ট্রাইক রেট ও গড় রানের দিক থেকে সবার উপরেই আছেন মিডল অর্ডারের ভরসাস্থল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অলরাউন্ডার হিসেবে ২০০৭ বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ দলের হয়ে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে তিনি ২৯ ম্যাচে ১১৪৬ রান করেছেন, যেখানে গড় ৪৫ দশমিক ৮৪। এটি বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের করা সর্বোচ্চ রান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিবের সর্বোচ্চ ইনিংটি ১২৪ রানের। সেই ইনিংসে অপরাজিতও ছিলেন টাইগার অধিনায়ক। বিশ্বকাপে ২৯টি ম্যাচ খেলে তিনি ২টি সেঞ্চুরি করেছেন। বল হাতে সাকিব বিশ্বকাপের মঞ্চে শিকার করেছেন ৩৪ উইকেট, যেখানে তার গড় রান খরচ ৩৫ দশমিক ৯৪। এর মধ্যে তিনি একবার ফাইফার তুলেছেন। বিশ্বমঞ্চে সাকিব আল হাসানের সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগার ২৯ রান খরচা করে ৫ উইকেট শিকার। বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার সময় বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ৮টি ক্যাচ ধরেছেন।
সমান ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ খেলা দ্বিতীয় সফল ক্রিকেটার বলা যায় মুশফিকুর রহিমকে। তিনি দলে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে ভূমিকা রাখেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল উইকেটরক্ষক ব্যাটারও বলা যায় তাকে। হোক সেটা বিশ্বকাপে, হোক সেটা দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিদেশীয় সিরিজে, হোক সেটা অন্য কোনো টুর্নামেন্টে। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে মুশফিক মোট ৮৭৭ রান করেছেন, যেখানে তার গড় ৩৮ দশমিক ১৩। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে মুশফিকের করা একমাত্র সেঞ্চুরিটি ছিল ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস। উইকেটরক্ষক হিসেবে মুশফিকুর রহিম বিশ্বকাপের ম্যাচে ৭টি স্টাম্পিং করেছেন এবং ক্যাচ ধরেছেন ২১টি।
২০০৭ সাল থেকে যারা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ খেলছেন তাদের মধ্যে এখনো অবসরে না যাওয়া আরেকজন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্রামের নামে দীর্ঘ সময় তাকে দলের বাইরে রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টাইগার সমর্থকদের তীব্র সমালোচনার মুখে এবং বিশ্বকাপের আগে বাজিয়ে দেখতে চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজে তাকে দলে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ হারলেও দলের হাল শক্ত হাতে ধরার চেষ্টা করেছেন রিয়াদ। তিনি ৪৯ রানে আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ বেশিক্ষণ মাঠে টিকে থাকতে পারেনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যে এখনো বাংলাদেশের হয়ে ভালোভাবে লড়াই করতে সক্ষম, সেটাই প্রমাণ করে গত শনিবারের ম্যাচ। তিনি বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ১৭ ম্যাচের ১৫ ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন। গড় হিসাবে ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবেন রিয়াদই। তিনি ১৫ ইনিংসে মোট ৬১৬ রান করেছেন, যেখানে গড় রান ৫১ দশমিক ৩৩। সর্বোচ্চ রানের দিক থেকেও তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন। বিশ্বকাপে তিনি সর্বোচ্চ ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে রিয়াদের সেঞ্চুরি ও ফিফটি ২টি করে। বল হাতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিশ্বকাপে মোট ৪৬ ওভার বল করেছেন। এর মধ্যে তিনি একটি মেডেন ওভার দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন। তার সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার ৩০ রান খরচে ১ উইকেট। এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১১ বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই খেলেছে টাইগাররা। ভারত বিশ্বকাপে ফের বাংলাদেশের অধিনায়কের ভূমিকায় থাকবেন সাকিব। তখন এই অলরাউন্ডারের অভিজ্ঞতায় ঘাটতি থাকলেও বিশ্বের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এখন সাকিব। তাছাড়া এবার তিনি ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপও খেলবেন।

– শেখ মাহমুদুল হাসান নকবী

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়