জন্মদিনের শুভেচ্ছাপত্র

আগের সংবাদ

অদ্ভুদ আবাস!

পরের সংবাদ

পরিবারের আড়ালে তৎপর দল > খালেদার বিদেশযাত্রা : আলোচনায় জার্মানি > আশাবাদী দল ও পরিবার > অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩ , ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ

রুমানা জামান : উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আলোচনা আরো জোরালো হযেছে। শর্ত শিথিল করে ‘শিগগিরই’ সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য ‘জার্মানিতে’ যাওয়ার অনুমতি দেবে- এমন গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। তবে বিএনপিপ্রধানের মুক্তি মিলছে কোন প্রক্রিয়ায়- রাজনৈতিক চাপ, সমাঝোতা নাকি মানবিকতায়? কী শর্তই বা বেঁধে দিচ্ছে সরকার? এমন প্রশ্নের জবাব মিলছে না। খালেদা জিয়ার পরিবারও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আশ্বাস পায়নি। তবে উভয় পক্ষের কথাবার্তা ও তৎপরতায় ‘ইতিবাচক’ আভাসই মিলছে।
লিভার সিরোসিসসহ বেশ কিছু শারীরিক জটিলতায় গত ৫২ দিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা থাকলেও তার স্বাস্থ্যগত মূল ঝুঁকি এখন লিভার। কিডনি এবং ফুসফুসও আক্রান্ত হয়েছে। ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসে, বমি হয়, তেমন কিছু খেতে পারছেন না। কিছুদিন পরপর পেটে পানি জমছে এবং সেগুলো অপসারণ করতে হচ্ছে। তাই চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বিএনপিপ্রধানকে। মেডিকেল বোর্ড অনেক দিন ধরেই খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছে।
খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে ফের সিসিইউতে নেয়া হয়েছে গতকাল শুক্রবার বিকালে এরপর রাতে তাকে আবার কেবিনে নেয়া হয়। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ভোরের কাগজকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক কিছু জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বিকালে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়। ড. জাহিদ বলেন, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতা বেড়েছে। তার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সম্ভব হলে আজকেই বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিদেশ নেয়া উচিত। প্রতিটি মুহূর্তই এখন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, লিভারকে অ্যাড্রেস করলে কিডনি খারাপ হয়, কিডনি অ্যাড্রেস করলে হার্টে সমস্যা হয়। প্রতি মুহূর্তে তার ঝুঁকি বাড়ছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ না থাকায় পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি তোলায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি এখন সামনেএসেছে জোরালোভাবে। বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতির জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে লিখিত আবেদনও করেন তিনি। ওই আবেদনটির আইনি দিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। যদিও এক সপ্তাহে আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজেই বলেছিলেন ‘আইনের বর্তমান অবস্থানে থেকে সরকারের আর কিছুই করার নেই’।
আইনমন্ত্রী ‘যাচাই-বাছাই করে স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার’ কথা বলার পর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে- ‘সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে’। দলটির নেতাকর্মীদের অনেকে সামাজিকমাধ্যমে এমন পোস্টও দিয়েছেন; যেখানে বলা হয়েছে ‘শেষ পর্যন্ত জার্মানি নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে’।
নেপথ্যে সক্রিয় দল! : সূত্রের দাবি- খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে পরিবারের আড়ালে মূলত তৎপরত তার দল বিএনপি। খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি জানিয়ে দলটির দাবি- ‘নেত্রীকে দ্রুত বিদেশে উন্নত মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি সেন্টারে’ পাঠানো দরকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে চলমান এক দফা দাবির সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি যুক্ত করে রাজপথে আন্দোলনে নামেন দলটির নেতারা। তারা বারবারই বলছেন তাদের দলের নেত্রীর অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’। গত ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে দলীয় চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নেতাকর্মীদের সামনেই ‘কেঁদেছেন’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছিলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছেন আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। অবিলম্বে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পারলে বাঁচানো দুষ্কর হবে।
এ সময় সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন, অন্যথায় এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব এই সরকারকেই নিতে হবে। এরপর দলের অন্যান্য নেতারাও তার সঙ্গে একই সুরে দলীয় প্রধানের মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি করেন। সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুলের আল্টিমেটাম দেয়ার দিনই পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে আবেদন করে খালেদার পরিবার।
পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করার পর বিদেশে কোথায় খালেদা জিয়ার ভালো চিকিৎসা হতে পারে তার খোঁজ নেয় বিএনপি। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জান রল্ফ জানোস্কির সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি দলীয় প্রধানের চিকিৎসা জার্মানিতে হতে পারে কিনা জানতে চান। জবাবে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জানোস্কি বলেন, খালেদা জিয়া যে ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তার সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে সম্ভব জার্মানি তার অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে জার্মানিতে তার সুচিকিৎসা হতে পারে।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোরের কাগজকে বলেন, জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জান রল্ফ জানোস্কির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, তিনি ম্যাডামের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খুুঁটিনাটি জানতে চেয়েছিলেন, ওই সময় জার্মানিতে ম্যাডামের চিকিৎসা সম্ভব কিনা এসব নিয়ে কথা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আশা করি তার পরিবার খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর যে আবেদন করছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।
যে কারণে নমনীয় সরকার : সূত্র বলছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও কিডনি জটিলতার খবর পাওয়া যায়। এরপরই প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার পর তার একজন আস্থাভাজন ডাক্তার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানতে এভারকেয়ার হাসপাতালের ‘টপ ম্যানেজমেন্ট’ সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানতে পারেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ- যে কোনো সময় তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হতে পারে। জানার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিষয়টি জানান। এর পরিপেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেককে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে সরকারের মন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
অনুমতি মিলতে পারে যে শর্তে : সূত্রমতে, একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে সরকার। এক্ষেত্রে অনুমতি দিলেও কিছু দেশের নাম উল্লেখ করে শর্ত দিতে চায়। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড কিংবা এশিয়ার কোনো দেশে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জার্মানি কিংবা যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপারসন আগে এসব দেশে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তাছাড়া তার শরীরে যেসব রোগ রয়েছে এবং তার শরীরের বর্তমান যে পরিস্থিতি তার উপযুক্ত চিকিৎসা উল্লিখিত তিনটি দেশে সম্ভব।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে কিছু আইনি বাধ্যবাধকতাও পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে- খালেদা জিয়া বর্তমানে যে বিশেষ বিবেচনায় জামিনে রয়েছেন, প্রথমে সেটি বাতিল করতে হবে। এটি বাতিল হলে তাকে কারাগারে যেতে হবে। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা যেহেতু ভালো নয়; এজন্য এভারকেয়ার হাসপাতাটিকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা করে জামিনের আবেদনটি বিবেচনায় আনা হবে। তবে সেক্ষেত্রেও কিছু শর্ত থাকবে- যে দেশে তাকে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে, তিনি সেখানেই যেতে পারবেন, চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কাজ তিনি সেখানে করতে পারবেন না, চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্যাদি সরকারের কাছে নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে, চিকিৎসা শেষ করে তিনি দেশে ফিরবেন- এই মর্মে মুচলেকা দিতে হবে, একজন জামিনদার থাকবেন যিনি শর্ত ভঙ্গের দায়-দায়িত্ব নেবেন।
বিদেশযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার : বিদেশে নিতে চেয়ে করা আবেদনে ইতিবাচক সাড়া মিলবে- এমনটাই আশা করছেন খালদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। সরকারের পক্ষ থেকে যদি অনুমতি মেলে তাহলে সময়ক্ষেপণ না করে যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদেশে রওনা দেয়া যায়- সে লক্ষ্যে আগেভাগেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে পরিবার। পারিবারিক সূত্র জানায়, লিভারের ভালো চিকিৎসা হয় এমন ৪টি দেশে খোঁজ নিচ্ছেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার। এর মধ্যে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে এর উন্নত চিকিৎসা আছে। তাই তারা ওই দেশগুলোয় খালেদা জিয়ার জন্য উপযুক্ত হাসপাতালের সন্ধান করছেন। জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার ভোরের কাগজকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো ‘পজেটিভ’ কিছু পাইনি। আমরা অধীর আগ্রহে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।
সিনিয়র নেতাদের সন্দেহ : বিএনপির একটি অংশের নেতারা বলছেন তাদের সন্দেহ, হয়তো ‘সরকার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতির জন্য অপেক্ষা করছে’। অর্থাৎ তাদের ধারণা সরকার বিদেশে নেয়ার জন্য অনুমতি দিলেও সেটি হবে খালেদা জিয়ার ‘শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি’ হওয়ার পরই। তবে এর ভিন্নমতও আছে। কেউ কেউ বলছেন এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুধরনের বক্তব্য দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাদের বক্তব্য- যদিও সরকারের দিক থেকে এমন তৎপরতাও নতুন নয়। যখনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তখনি সরকার ‘প্রকাশ্যে কিছুটা নমনীয় সুর দেখায়’। তবে এখনকার পরিস্থিতি জটিল বলেই হয়তো আইনমন্ত্রী ‘স্বল্প সময়ে’র কথাটি বলেছেন বলে অনেকে মনে করছেন। সে কারণে এবার সরকারের কাছ থেকে ‘ইতিবাচক সিদ্ধান্ত’ আসবে বলে আশা করছেন দলটির অনেকে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়ার) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এমন সংকটময় অবস্থায় সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার অনুমতি দিতে কেন দেরি করছে, এতেই আমরা আশ্চর্য হচ্ছি। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে অনুমতি দিতে দেরি করা মানে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া। আমরা আশা করি, সরকার এবার আর টালবাহানা না করে অতিসত্ত্বর তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদাকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সবশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়