চরমোনাই পীর : দেশ ভয়াবহ সংঘাতের মুখে নিপতিত

আগের সংবাদ

৩০ বছরেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছেনি থানচির দুর্গম অঞ্চলে

পরের সংবাদ

অদ্ভুদ আবাস!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আশরাফুল ইসলাম রানা
মানুষের জীবনযাত্রাকে বদলে দিচ্ছে নতুন সব নান্দনিক স্থাপত্য। এসব ঘর-বাড়ি বানাতে কমতি নেই পরিশ্রম ও মেধার। তবে মনের মতো সুন্দর একটা বাড়ি পেতে উপার্জনের একটা বড় অংশ ব্যয় করে ফেলেন অনেকেই। তবে সেই মনের মতো বাড়িই যদি হয়ে যায় দর্শনীয় স্থান তখনই ঘটে ব্যতিক্রম ঘটনা। বিশ্বে এমন কিছু বাড়ি আছে, যেগুলো বেশ আজব আকৃতির ও সৃষ্টিশীল স্থাপনা। অন্যসব বাড়ির থেকে এগুলো বেশ আলাদা এবং চোখে পড়ার মতন !

কেটলি বাড়ি

বাড়ির বাইরের আদলটি যেমন কেটলির মতো ভেতরের আসবাবগুলোও তেমনই। চায়ের কাপের মতো আসবাবগুলোও তাই যে কাউকে অবাক করে দেয়। কেটলি আকৃতির এই অদ্ভুত বাড়িটি রয়েছে উইসকনসিনে। ১৯২২ সালে তৈরির পর থেকে এটিকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে কেটলি বাড়িতে ভেতরের দিকে চা থাকবে না তা তো নয়। ভেতরে চা পানের আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তাই এই বিচিত্র আকৃতির বাড়িটি দেখতে ছুটে যায় পর্যটকরা। এই অদ্ভুত আকৃতির বাড়িটির নকশা করেছেন জ্যাক আইনসওর্থ।

টয়লেট বাড়ি

বিদঘুটে আকৃতির বাড়ির কথা এলেই বিশ্বের অন্যতম টয়লেট আকৃতির বাড়ির কথাই আসে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুয়োনে ২০০৭ সালে তৈরি হয় টয়লেট আকৃতির এই বাড়িটি। ওয়ার্ল্ড ইনুগ্রাল জেনারেল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান সিম জে ডাকের নকশায় এই অদ্ভুত আকৃতির বাড়িটি নির্মিত হয়।
মূলত, বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটিং এর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির ধারণা থেকেই এমন আকৃতির দালান নির্মাণের ধারণা পেয়েছেন তিনি।

গম্বুজ ঘর

ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন শহর ইয়োগিকার্তা শহরের যেসব নাগরিক ভূমিকম্পে তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে তাদের জন্য দেশটির সরকার গম্বুজ আকৃতির ৭০টি ঘর তৈরি করে দিয়েছে। একশিলা গম্বুজ আকৃতির এই ঘরগুলো ভূমিকম্প সহায়ক এবং ১৯০ মাইল গতিবেগের বাতাস মোকাবেলায় সক্ষম।

স্কাই গার্ডেন

আপনি যদি প্রকৃতির কোলে থাকতে ভালোবাসেন, তাহলে এটাই আপনার জন্য সেরা বাড়ি। আপনি ছাদের দিকে তাকান বা বারান্দায় যান হাঁটাহাঁটি করতে, আপনি আপনার চারপাশের প্রাণীজগতের জ্যান্ত আবহ পাবেন। অনন্য স্থাপত্য নকশা ও পরিবেশের প্রতি টেকসই জীবনযাপন চালনায় অনুপ্রাণিত। নকশাবিদ গুজ উইলকিনসন ২০১০ সালে এটি নির্মাণ শেষ করেন। বাড়িটি সিঙ্গাপুর সংলগ্ন সেন্টোসা দ্বীপে একটি নতুন হাউজিং এস্টেটে অবস্থিত। প্লটগুলি বড় নয় মাত্র ৮৫২ বর্গ মিটার।

উল্টো বাড়ি

বাড়ির বাইরের একটি বেঞ্চ, পণ্যবাহী সাইকেলসহ যা উল্টোদিকে রয়েছে, বিভ্রমটি খুব বাস্তব! ঘরের ভিতর হাঁটতে হাঁটতে অবশ্য বিভ্রম চলতেই থাকবে আপনার। কারণ আসবাবপত্রসহ বাকি সব কিছু ওলটপালট!
জার্মানির ট্রাসেনহাইড (ঞৎধংংবহযবরফব) শহরে দোতলা একটি উল্টো বাড়ি নির্মাণ করে যেটা এখন ট্যুরিস্ট স্পট হিসাবে খুবই পরিচিত। এই বাড়ি ছাড়াও জার্মানির এফোল্ডারন শহরে আর একটি উল্টো বাড়ি নির্মাণ করেছে যেটা পরবর্তীতে ‘ক্রেজি হাউস’ নামে ভীষনভাবে পরিচিত হয়েছে পর্যটকদের নজরে। এটি ৬% বাঁকের উপর নির্মিত হয়েছে।

বিচিত্র জুতা বাড়ি

বড়সড় জুতার আদলেই নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িটি। ১৯৪৮ সালে ম্যাহলন এন হাইনেস তার জুতার বিজ্ঞাপনের জন্য এই বাড়ির নকশা করেন। এর ভেতরে মানুষ প্রবেশের সময় মনে হয় কোনো জুতার ভেতরে বুঝি ছোট ছোট মানুষজন ঢুকছে। বাড়িটিকে বিশ্বের সবচেয়ে অদ্ভুত আকৃতির খেতাব এনে দিয়েছে অনেকের চোখেই। বিচিত্র আকৃতির এই বাড়িটি রয়েছে পেনসিলভেনিয়ার হেলামে। এই জুতা বাড়িতে তিনটি বেডরুম, দুটি বাথরুম, রান্নাঘর এবং ড্রয়িং রুম রয়েছে।

বিমানপ্রেমিক বাড়ি

বিমানপ্রেমিক ব্রুস ক্যাম্পবেল আমেরিকার এক শৌখিন বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৯ সালে উড়োজাহাজ আকৃতির অগ্নি-প্রতিরোধক বাড়িটি নির্মাণ করেন। এটি মূলত একটি সম্পূর্ণ বোয়িং ৭৪৭ বিমানের অভ্যন্তরে নির্মিত একটি বাড়ি। তৎকালীন সময়ে প্রায় ১লক্ষ ডলার খরচ করে ব্রুস একটি অকেজো বোয়িং ৭৪৭ বিমান ক্রয় করেন নেন। পরে আরও প্রায় ২লক্ষ ২০ হাজার ডলার খরচ করেন এর ইন্টেরিয়র ডিজাইনে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়