ভোটের দিন বাইক চালাতে পারবেন সাংবাদিকরা : ইসির অতিরিক্ত সচিব

আগের সংবাদ

ভিডিওবার্তায় তামিম ইকবাল : নোংরামিতে থাকতে চাইনি > কখনো বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না > তীর ৩ শীর্ষ কর্মকর্তার দিকে

পরের সংবাদ

পাঁচ হাজারি ক্লাবে নতুন সংযোজন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গতকাল কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হওয়া পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে পাঁচ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন রিয়াদ। রিয়াদের আগে পাঁচ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করা অন্য তিন ক্রিকেটার হলেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ইতোমধ্যে রানের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে তামিমের, সাকিব ও মুশফিক রয়েছেন সাত হাজারি ক্লাবে।
২০০৭ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তার রান ছিল ৪৯৯৯। গতকাল কিউইদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২১ রান করার দিনে ছাড়িয়ে গেলেন একদিনের ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলক। তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ২৭টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার নামের পাশে। ২২১ ম্যাচে ১৯১ ইনিংস ব্যাট করে ৩৫.৩৫ গড়ে তার রান এখন ৫০২০। স্ট্রাইক রেট ৭৬। বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন মোট ৩৭৫টি, ছক্কার মার ৭৮টি। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই অবশ্য আরেকটি মাইলফলক ছুয়েছিলেন রিয়াদ। সেখানেও বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১০ হাজার রান করার কীর্তি গড়েন। তার আগে এই তালিকায় ছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। ছয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহ সেই ম্যাচে খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রানের ইনিংস। ৭৬ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন চারটি চার ও একটি ছক্কা। গত মার্চের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ। ফিফটি করার খুব কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সিরিজের শেষ ম্যাচেও ভালো শুরুর পরও সেট হয়ে আউট হন তিনি। সাইত্রিশ বছর বয়সি এই ব্যাটার ২০১৫ বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে তুলতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
রিয়াদের আগে সবশেষ ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা টাইগার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তিনি এই রেকর্ডটি করেন ২০১৮ এর সেপ্টেম্বরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গত মার্চেই সাত হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছে মিস্টার ডিপেন্ডেবল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাত হাজারি ক্লাবের সদস্য হতে তার প্রয়োজন ছিল ৫৫ রান। কুর্টিস ক্যাম্ফারের বলে কাট করে চার মেরে এই মাইলফলকে পৌঁছান মুশফিক। সাত হাজারের মাইলফলক পেরোনো মুশফিক এ পর্যস্ত ২৫৬ ম্যাচে ২৩৯ ইনিংস খেলেছেন। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। এর মধ্যে ৮ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪৪টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ৩৬.৮৫ গড়ে মুশফিকের মোট রান ৭৪০৬। চার মেরেছেন ৫৮৪টি। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ছক্কা রয়েছে ৯৬টি।
মুশফিকের সাত হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করার আগের ম্যাচেই এই ক্লাবে নাম লেখান সাকিব আল হাসান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়ানডেতে ২২৭ ইনিংস ব্যাট করে ৭৩৮৪ রান করেছেন সাকিব। ৩৭.৪৮ গড়ে ৫৫টি ফিফটি ও ৯টি সেঞ্চুরিও রয়েছে তার। চার মেরেছেন ৬৭৮টি ও ছক্কার মার ৫০টি।
বাংলাদেশিদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত বছর আগস্টে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটি হাঁকিয়ে আট হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। ৮ হাজারি ক্লাবের সদস্য হতে ২২৭ ইনিংস ব্যাট করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ২৪৩ ওয়ানডে ম্যাচে ২৪০ বার ব্যাট করতে নেমে তার মোট রান ৮৩৫৭। তার ব্যাটিং গড় ৩৬.৬৫, স্ট্রাইক রেট ৭৮.৫৩। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার ফিফটি সংখ্যা ৫৬টি, সেঞ্চুরি ১৪টি। চার মেরেছেন ৯২৫টি, ছক্কা রয়েছে ১০৩টি। ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় তামিমের অবস্থান ৩৩তম স্থানে। তবে বাংলাদেশের জার্সিতে সবার উপরে আছেন তিনি। তামিম শুধু ৮ হাজার রানেই দেশের প্রথম নন, এর আগে এই ফরম্যাটে ৪, ৫, ৬ এবং ৭ হাজার রানের মাইলফলকও তিনিই প্রথম পৌঁছে গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে গত একবছরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে নাজমুল হাসান শান্তর নাম। প্রায় ৪৫ গড়ে মাত্র ১৬ ইনিংস ব্যাট করেই শান্তর সংগ্রহ ৭১৯ রান। শান্তর পরেই রয়েছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা মুশফিক ও সাকিব। ১৮ ইনিংসে ৩৮.৫০ গড়ে মুশফিকের সংগ্রহ ৬৩২ রান ও সমান ম্যাচে ৩৭ গড়ে সাকিবের সংগ্রহ ৬২৯ রান। বিশ্বকাপের আগে দলের মূল ব্যাটারদের ভালো ফর্ম আশা জাগাচ্ছে সমর্থকদের। কিউইদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শেষে আজকেই ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবেন টাইগাররা। ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আগামী ৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শীর্ষরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়