ভোটের দিন বাইক চালাতে পারবেন সাংবাদিকরা : ইসির অতিরিক্ত সচিব

আগের সংবাদ

ভিডিওবার্তায় তামিম ইকবাল : নোংরামিতে থাকতে চাইনি > কখনো বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না > তীর ৩ শীর্ষ কর্মকর্তার দিকে

পরের সংবাদ

কয়েকটি শিরোনাম এবং মার্কিন ভিসানীতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমি কয়েকটি শিরোনাম নিচ্ছি ভোরের কাগজ থেকে, যেগুলো ২৫ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে। এই শিরোনামগুলোর অন্তর্নিহিত সূত্র ধরেই কথাগুলো বলতে চাই।
আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন ‘মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় শঙ্কিত নয় সরকার’। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি অসম্মানজনক’। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন ‘পুলিশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না’।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য দিয়েই শুরু করা যাক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিসানীতি বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের জন্য অপমানজনক। আওয়ামী লীগের জন্য তা-ও আমাদের দেখতে হলো। একটি সার্বভৌম দেশ ও জাতির জন্য আমরা যারা যুদ্ধ করেছি তাদের জন্য খুব সম্মানজনক নয়। এই অসম্মান কে বয়ে আনল? এই অসম্মান বয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গত রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বাইডেনের সঙ্গে সপরিবারে ছবি তুলে খুব দেখিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আর আমেরিকা যাবেন না, অথচ তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতি কার্যকর করা হলো। শুধু আমেরিকা নয়, দেশের জনগণও আপনাদের স্যাংশন দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তিনি বলেন, আজকে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করতে গিয়ে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে আবার একটা নির্বাচন করতে তৎপর হয়েছে।
তার এই বক্তব্য বিএনপি সমর্থকরা যথার্থ মনে করবে, এটাই স্বাভাবিক। তিনি তো নিজ দলীয় সমাবেশেই তার মনের কথাগুলো বলেছেন। কিন্তু জনগণের সামনে এই বক্তব্য কতটা পূর্ণ সমর্থন পাবে? জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থকও আছেন। তাদের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। ১৫ বছরের রাজনৈতিক সরকার পরিচালনার ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগ দলের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যে বেনিফিশিয়ারি সৃষ্টি করেছে, তারা তো সরকারের পক্ষেই থাকবেন। খোলাবাজারে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দাম লাগামহীন হলেও ক্ষুব্ধ আওয়ামী কর্মীরা কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসেনি বা আসবে না। কেন আসবে না? তার কারণ তারা যেভাবেই হোক সরকারের তলানির রস ঠিকই পাচ্ছে। অবারিত সেই পাওয়াকে তারা অব্যাহত রাখার পক্ষে। এ কারণে পকেটে তাদের টান পড়ে না। যারা কর্মী ও সমর্থক নয়, তারাই কেবল আহাজারি করে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলির ভয়ে প্রাণ হারানোর প্রতিবাদে শামিল হচ্ছে না। তবে তারা যে সুযোগ পেলে সরকারি দলকে হারিয়ে দেবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিষয়টা পেট ও পকেটের। এর চেয়ে বড় সত্য নয় রাজনৈতিক সরকারের প্রতি সমর্থন। যে সরকার নিত্যপণ্যের দাম খোলাবাজারে, পাইকারি বাজারে, আমদানিকারকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, যে সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে না- অন্যায়, অযৌক্তিক ও লুটেরাদের সীমাহীন ঔদ্ধত্য, তার পক্ষে কি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব? তাই সরকার ওই দিকে মন দেয় না। কারণ তারাও সরকারেরই লোক। জনগণের চেয়ে তারা সরকারের আপন এবং প্রশাসনেরও পেয়ারের লোক এবং ব্যাংকারদেরও লুটপাটের সহযোগী।বর্তমানে মির্জা আলমগীরের বক্তব্যকে যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। মনে হয় তিনি ও তার দল জনগণের কথাই তুলে আনছেন। এবং সরকারের ভুলগুলোকে শনাক্ত করতে পারছেন। সরকার কেন তার ভুলগুলো দেখে না বা তার কানে পৌঁছায় না প্রতিবাদের শব্দবোমাগুলো? এটা জনগণেরই প্রশ্ন। সরকার যদি এটা ভাবে যে এটা বিএনপির প্রশ্ন বা এটা সামান্য কিছু রাজনৈতিক প্রতিবাদীর কথা, তা হলে আরেকটি মারাত্মক ভুল ধরে বসে থাকবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে যে বিরোধী রাজনীতিকরা সরকারের উন্নয়ন কাজের, পরিকল্পনার ও সেবাদানের ভুলত্রæটির আয়না। সেই আয়নায় নিজের ভুল দেখে তা সংশোধন করে নেয়াটাই বুদ্ধিমত্তার কাজ। কিন্তু আমাদের মনে হয় সরকার (যে কোনো সরকার) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মতোই আচরণ করে, যা কোনোভাবেই শুভ হতে পারে না।
মার্কিন ভিসানীতি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই অপমান, অসম্মানের। কিন্তু সরকার সেটা মনে করে না বা গায়ে মাখে না। উল্টো সরকারপ্রধান বলেন, ১৫-২০ হাজার মাইল দূরের দেশে যাওয়ার তো দরকার নেই। কিন্তু তার কথা তিনি রাখতে পারলেন না। তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গেলেন। তারপর গেলেন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে। এর মাঝে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে যেসব কথা বললেন, তা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ধূসর করেছে। ভিসানীতি যে অপমানের বা অসম্মানের এটা তিনি গায়ে না মেখে, তার দল ও নেতারা বলতে শুরু করলেন ওইটা দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে। তাদের কথা শুনে মনে হলো, বিএনপি ভিন্ন কোনো দেশের পার্টি। তারাও তো বাংলাদেশেরই মানুষ। তারা তো ওই নীতিতে অপমানিত বোধ করছেন। গোটা জাতিকেই যে সরকারের জন্য এ রকম একটি বিশেষ নীতি আরোপ করা হলো সরকার কি তা অনুধাবন করতে পারবে না? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
দুই. আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলেছেন, সেটা আমরা পড়ে দেখি… বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রকম রাজনৈতিক টানাপড়েন নেই। তারা যে ভিসানীতি আরোপ করেছে সেটা শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ কোনো মাথা ঘামাচ্ছে না, এ নিয়ে সরকার শঙ্কিতও নয়। একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তাই তাদের স্যাংশন সরকারের কারো জন্য নয়। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ম্যানহাটনে অনুষ্ঠিত ইমিগ্র্যান্ট ডে এবং ট্রেড ফেয়ারে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে চায় সরকার। আর এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আগেই জানিয়েছেন। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে বাংলাদেশ আয়োজন করতে পারে সে কারণে তারা ভিসানীতি আরোপ করেছে- এটা আমাদের পক্ষেই গেছে।
তার এই বক্তব্য গর্হিত এ কারণে যে, মার্কিন ভিসানীতি নাকি তাদের পক্ষে গেছে আর ওই ভিসানীতি নাকি আরোপ করেছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। তিনি বলেছেন, এটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য দেয়া হয়েছে। এবং প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে তিনি তাদের চাওয়ার মতো নির্বাচন করবেন।
প্রথমত প্রশ্ন উঠেছে গত ১৫ বছর ধরে যে কয়টি জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হাসিনা সরকার করেছে সেগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ হয়নি। এটা সরকারপ্রধানের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করলেন। আর সে জন্যই ভিসানীতি আরোপ করেছে। বোঝা গেল ড. মোমেন বলতে চান বিএনপি ওই সব নির্বাচন ভণ্ডুল করতে লোকবল-অর্থবল ক্ষয় করে সরকারের নাক কেটে দিয়েছে। তাই ভিসানীতি বিএনপি ও বিরোধীদের ওপরই বর্তাবে। চিন্তার ক্ষেত্রে কতটা ক্রিপল হলে তিনি এই কথা বলতে পারেন। নির্বাচনগুলো রাজনৈতিক আওয়ামী সরকারের সময় তাদেরই তত্ত্বাবধানে হয়েছে, তারাই দিনের ভোট আগের রাতে সম্পন্ন করে জাতীয় নির্বাচনী পরিস্থিতিকে ন্যক্কারজনক করেছেন এবং প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীনভাবে ১৫৩ জনকে নির্বাচিত করার রাজনৈতিক সাহস দিয়েছে তৎকালীন ইসিকে, এসব অনিয়ম ও লুটপাটকে বিএনপির অবদান হিসেবে ড. মোমেন দেখছেন। তার মনের চোখ, বিবেক অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করে দেখা উচিত, তিনি সুস্থ আছেন নাকি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
১. শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই ওয়াদা দিতে হলো কেন যে তিনি ও তার সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করবেন। তার মানে তিনি স্বীকার করেছেন যে ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল এবং তৎপরবর্তী নির্বাচনগুলো কথিত মার্ক পায়নি। এ থেকে স্পষ্ট যে ভোটার জনগণ তাদের ভোটের অধিকার খুইয়েছে। অর্থাৎ তারা ভোট দিতে পারেনি। এবার তারা সেই অধিকার রক্ষা করবেন। আর সেটা করে দেখানোর জন্যই সাজ সাজ রবে সরকার সাজছে। কিন্তু বাধা কিছু প্রতিবাদী, যারা নানা রকম অপকর্ম ও সংঘাতের ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনার ইমেজে ধস নামানোর জন্য। সরকার জামায়াতকে রাজনীতিতে নামিয়ে দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ট্যাগ করে চলে বিএনপি জামায়াত। জামায়াতকে কাঁধ থেকে বিএনপি নামিয়েছে অনেক আগেই। যেহেতু জোটে ছিল, তাদের ঘোষণা ছাড়াই তাদের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। আওয়ামী লীগ জামায়াতকে বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ভোটার জনগণকে বলতে চায় তারা দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, এদের হাতে ক্ষমতা দেবে না তারা। ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন এক সাক্ষাৎকারে সত্য বলে ফেলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে বেরিয়ে গেলেও বিএনপি ক্ষমতায় বসতে পারবে না। তা হলে বুঝুন তাদের রাজনীতিটা সোজাপথের নাকি ষড়যন্ত্রের পথের। তারা যে (১৪ দল) ষড়যন্ত্র করছে তা স্পষ্ট দিনের বেলার মতো সরল সোজা।
ক্ষমতাই চূড়ান্ত নয় রাজনীতির জন্য, জনগণের শাসন কায়েমের জন্য, গণতান্ত্রিক ধারার সবকিছু প্রতিষ্ঠার জন্য। তবে ক্ষমতায় গেলে গণতান্ত্রিক চেতনার বারোটা বাজানো সহজ। নির্বাহী বিভাগের দাপটের কাছে বিচার বিভাগ আজ নড়বড়ে। নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন একটি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। সরকারি আমলা ছাড়া ইসি ও আইন-আদালত ও বিচারিক কার্যক্রম চালানো যায় না। তারা এবং পুলিশ ছাড়া ওই দুটি সাংবিধানিক সংগঠন অচলপ্রায়। সরকারি লোকরা বলেন বটে যে তারা ইসির কথা শোনেন, আসলে তারা অবাধ্য, তার বহু প্রমাণ আছে।

তিন. পুলিশের কাজ তাদের আইন রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী চলে, তা অব্যাহত থাকবে। তারা বেআইনি কোনো কাজ করেন না। এই কথাগুলো বলেছেন পুলিশেরই এক কর্মকর্তা।
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাহিনী মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। গত রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
ডিসি মো. ফারুক বলেন, ভিসানীতি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা দেখেছি যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা স্পষ্টভাবে বলা আছে। তারা বলেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন কোন সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসানীতি তারা প্রয়োগ করেছে সেই বিষয়ে কিন্তু কিছু জানা যায়নি।এখানে অবসরপ্রাপ্ত কোনো পুলিশ সদস্য থাকতে পারেন, আবার অন্য কোনো বাহিনীর সদস্যও থাকতে পারেন। অথবা দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো বাহিনীর সদস্যও হতে পারেন। যাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি আসবে তারা হয়তো আমেরিকাতে যেতে পারবেন না।
বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। এই সদস্যদের মধ্যে কতজন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায় আমার প্রশ্ন। খুবই নগণ্য কিছু সদস্য হয়তো আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন অথবা ছেলেমেয়েদের পাঠানোর চিন্তা করেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ পুলিশের ওপর এই ভিসানীতির কোনো প্রভাব পড়বে না। পুলিশ আগেও যেভাবে কাজ করেছে ভবিষ্যতেও তা করবে। এই ভিসানীতির কারণে আমাদের কাজের গতি কোনোভাবেই থেমে যাবে না।ঠিক এ কারণেই উপ-কমিশনার পুলিশ বলতে পারেন তারা আইনের ভেতরেই আছেন। আইন মেনেই কাজ করেন, ভবিষ্যতেও করবেন। যেমন আইন মেনে তারা ২০১৮ সালে রাতের বেলা ভোটের বাক্স নৌকায় সিল মেরে ভরে দিয়েছিলেন। আসন্ন ভোট কি তারা আইন মেনেই করবেন, যা তারা লিগেসি অনুযায়ী করে এসেছেন? জনগণের টাকায় পোশাক পরেন, অস্ত্র কেনেন, বুলেট কেনেন, আর জনগণের বুকেই তা ছোড়েন। এই লিগেসি হত্যা আর নিষ্ঠুরতার লিগেসি। এটা সভ্য দুনিয়ায় চলতে পারে না। অতীতের মতো আপনাদের কাজ আর চলতে পারে না।।

চার. রাজনীতিকদের মনের ভেতরে যে সম্মানবোধ আছে, যে সম্ভ্রম ও ইজ্জতের চিন্তাটা আছে, তাকে জাগিয়ে তুলুন। আত্মসম্মান ছাড়া কোনো জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। আত্মসচেতন হলেই নিজেদের মর্যাদা আমরা বুঝতে পারব।

ড. মাহবুব হাসান : সাংবাদিক ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়