ভোটের দিন বাইক চালাতে পারবেন সাংবাদিকরা : ইসির অতিরিক্ত সচিব

আগের সংবাদ

ভিডিওবার্তায় তামিম ইকবাল : নোংরামিতে থাকতে চাইনি > কখনো বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না > তীর ৩ শীর্ষ কর্মকর্তার দিকে

পরের সংবাদ

একাদশে ভর্তিতে বাড়তি ফি আর নয়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় বাড়তি ফি আদায়ের নৈরাজ্য দেখা যায়। কোনো কোনো বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে নানা ধরনের ফি আদায়েরও উদাহরণ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দিলেও অভিযোগের যেন শেষ নেই। ইতোমধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে ভর্তি শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ভর্তি শেষে ৮ অক্টোবর ক্লাস শুরু হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ১২ লাখ ৯০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে নির্ধারিত কলেজে গিয়ে ভর্তির সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। একাদশ শ্রেণিতে এবার শিক্ষার্থী ভর্তিতে সর্বোচ্চ কত টাকা ফি নেয়া যাবে, সেই সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ভর্তি ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু ঢাকা মহানগরের বেসরকারি কলেজগুলোর ইংরেজি মাধ্যম শাখায় ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ এ ফি নেয়া যাবে। ঢাকা মহানগরের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরের মহানগরীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ২ হাজার টাকা। উপজেলা বা মফস্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোক্রমেই উন্নয়ন ফি নিতে পারবে না। দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনীয় ফি নোটিস বোর্ডে টানিয়ে দেবে এবং বাড়তি কোনো ফি নেয়া যাবে না। বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। আমরা চাই সরকারের নির্দেশনা কলেজগুলো মানবে। প্রতি বছর দেখা যায়, সরকারের নীতিমালা উপেক্ষা করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে দ্বিগুণ-তিন গুণ ফি আদায় করার উদাহরণ আছে। আমরা দেখেছি, প্রতি বছর ভর্তি ফি নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু এই নির্দেশনা কেউ মানে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ বাড়তি ফি আদায় নিয়ে নানা অজুহাত দাঁড় করায়। তাদের অজুহাতের কাছে অভিভাবকরা একপ্রকার অসহায়। উদ্বেগের ব্যাপার হলো- দেশে আইনকানুন আছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আইনকানুন, বিধিবিধান মেনে চলছে কিনা তা দেখার জন্যও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। আমরা দেখছি, সেই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা কাজ করে না। অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা কোথায়? এই প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বেচ্ছাচারিতার শক্তির উৎসই বা কোথায়? আমরা চাই, কলেজ কর্তৃপক্ষ যাতে ইচ্ছামতো বাড়তি বেতন-ফি আদায় না করতে পারে, তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নেবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে সরকার কঠোর হবে। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়