নাটোর : ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

রাজপথে ফের শক্তির মহড়া : বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণার পর দিনই টানা কর্মসূচি দিল আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

ডিমের বাজারে মুনাফার থাবা : ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন, আমদানি করা ডিমে চাহিদা মেটাবে মাত্র একদিনের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : কিছুদিন ধরে দেশের বাজারে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রাজধানীতে একটি ডিম ১৫ টাকা বা এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানি করতে চারটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। ‘যত দ্রুত সম্ভব’ ডিম দেশে আনতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা চার কোটি। অর্থাৎ আমদানি করা ডিমে একদিন চলবে।
অভিযোগ উঠেছে, পোলট্রি খাতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায় সরকারি তদারকি না থাকায় বাজারে তাদের আধিপত্য বেড়েছে, যার খেসারত দিচ্ছে জনগণ। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের দাম হয়তো আরো বাড়বে, এমন আশঙ্কা ডিম উৎপাদনকারী ও ভোক্তা উভয়ের। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে ডিমের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। তবে বাজার তদারকি এবং সরবরাহের চ্যালেঞ্জের কারণে ডিমের দাম বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা সিপিডির সিনিয়র ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, এই মুহূর্তে আমদানির অনুমতি দেয়াকে সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করি। সরকারের স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে এটা ঠিক আছে। কিন্তু যে পরিমাণ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে তা মোট চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। সুতরাং প্রয়োজন মাফিক ডিম আমদানি আরো সম্প্রসারিত করতে হবে বলে আমার মনে হয়। তিনি বলেন, একই সঙ্গে বাজারে যে নজরদারি চলছে সেটাও অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশনসহ সরকার যেভাবে বাজার মনিটরিং করছে তা যেন অব্যাহত থাকে। তবে খুচরা পর্যায়ে এসব অভিযান চালিয়ে খুব একটা সুফল মিলবে না বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, পাইকারি থেকে বেশি দামে কিনলে খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতি স্বীকার করে ডিম বিক্রি করবে না। সুতরাং খেয়াল রাখতে হবে ভ্যালু চেইনের জায়গায় বাজারকে প্রভাবিত করার মতো কিছু থাকলে সেখানেও কাজ করতে হবে।
ড. মোস্তাফিজ বলেন, মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে উৎপাদন আরো বাড়াতে পারি, আগাম আমদানি করার বিষয়ে কিভাবে পদক্ষেপ নিতে পারি; সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে পার্থক্য

কত আছে- এসব বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা দেখছি- তাৎক্ষণিক কোনো সমস্যা দেখা দিচ্ছে, আবার তাৎক্ষণিকভাবেই তার সমাধান করা হচ্ছে। বাজারের ওঠানামা বাজারের পদ্ধতি দিয়েই নিরসন করতে হবে। সেখানে উৎপাদনকে সহযোগিতা করা, বাজারে যেন কোনো ধরনের কারসাজি না হয় সেটা দেখা এবং ব্যবসায়ীরা আমদানি করে এ ঘাটতি যদি পূরণ করতে পারে তবে তাদের সে সুযোগ দিতে হবে।
কয়েক মাস আগে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাজার মনিটরিংয়ের ঘোষণা দেয়ার পর কমতে শুরু করে ডিমের দাম। তবে এবার ডিমের দাম বেড়ে প্রতি পিস ১৫ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। যদিও সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে ১২ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম বলেন, খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম প্রতি পিস ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়; যেহেতু প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় ১০ টাকা ৫০ পয়সা। এদিকে ডিম উৎপাদনকারীরা জানান, মহামারির আগে দেশে ডিমের দৈনিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ কোটি পিস। কিন্তু মহামারি চলাকালীন দীর্ঘ লোকসানে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিল জানিয়েছে, অনেক লেয়ার ফার্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে দৈনিক ডিমের উৎপাদন ৪ কোটি পিসের নিচে নেমে এসেছে।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি আবু লুৎফি ফজলে রহিম খান বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে একটা বড় অমিল রয়েছে; কারণ আমরা জানি না আমাদের প্রকৃত চাহিদা কী। অনেক সময় দাম বেশি হলে উৎপাদন বাড়ে এবং যখন উৎপাদন বেশি হয়, তখন আবার দাম কমে যায়।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এমন হিমসিম অবস্থার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার চারটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, আলু ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করতে হবে ১৬৯ টাকায়। সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার চার দিনেও তা বাজারে কার্যকর হয়নি। বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে পণ্য কিনছেন, তাই বিক্রিও হচ্ছে বাড়তি দামে। এদিকে, নির্ধারিত দামে আলু, পেঁয়াজ, ডিম বিক্রি না করায় রাজধানীতে চলছে সরকারের কঠোর মনিটরিং। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেও বাজারকে সামাল দিতে পারছে না সরকার। অভিযানের খবরে আগেই দোকান বন্ধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে চারটি কোম্পানিকে সরকার চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এনবড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ডিম আমদানির জন্য পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে আমদানি করা ডিম দিয়ে একদিনের চাহিদা পূরণ করা যাবে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা। খুচরা পর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেখতে পেয়েছে। এজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। সচিব বলেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিম লাগে। সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এটা মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে কিংবা আমাদের খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছি না। আমরা মাত্র একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে আমরা আরো বেশি ডিম আমদানির অনুমতি দেব। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেশীয় উৎপাদিত ডিমকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এই সুযোগ নিয়ে ডিমের অতিরিক্ত দাম নেয়াটা যৌক্তিক নয়। বাণিজ্য সচিব আরো বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তাই বাজারে পণ্য থাকলেও দাম বেড়ে যায় কখনো কখনো। সেটা নিয়ন্ত্রণ করতেই আইন অনুযায়ী আমদানি করা যায়।
আলুর দাম প্রসঙ্গেও কথা বলেন সচিব। তিনি বলেন, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে শিগগিরই কোল্ড স্টোরেজগুলোতে অভিযান চালাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর যে দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে; সেটার প্রভাব বাজারে পড়তে একটু সময় লাগছে। দুই-একদিনের মধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং আরো বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়ার বিষয়ে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের প্রতিদিন সাড়ে চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ৫ কোটি। এখানে কোনো ঘাটতি নেই। সমস্যা অন্য জায়গায়। তিনি বলেন, ডিম, মুরগি উৎপাদন করতে আমার ফিড ও বাচ্চার প্রয়োজন হয়। কৃষি আইনে দেয়া আছে- কৃষি উৎপাদক ৩০ শতাংশ লাভ করতে পারবে। কিন্তু করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ডিম ও মুরগিতে ৬০ শতাংশ লাভ করে। ফিডে লাভ করে প্রায় ৫০ শতাংশ। মুরগির বাচ্চায় লাভ করে ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ। সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা প্রান্তিক খামারিরা এর কারণে নানা সমস্যায় পড়ে একের পর এক ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছি। সরকারের কাছে মাত্র ১০ শতাংশ লাভ চাচ্ছি, কিন্তু সরকার তা মানতে রাজি হচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রান্তিক খামারিরা দেশের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ ডিম উৎপাদন করে থাকে। অথচ সরকার তাদের উৎপাদন খরচ না কমিয়ে আমদানির দিকে পা দিচ্ছে। এ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনের সব উপাদানের দাম কমছে। অথচ আমাদের দেশে ফিডের দাম কমছে না। ফিড এবং বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেয়া হলে স্বাভাবিকভাবেই আমার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মূল জায়গায় সরকারকে হাত দিতে হবে। তিনটি অ্যাসোসিয়েশন আছে- বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ব্রিডার অ্যাসোসিয়েশন, ফিড অ্যাসোসিয়েশন। এসব অ্যাসোসিয়েশনে বিগ ফোর কোম্পানি যেমন : কাজী ফার্ম, প্যারাগন, নারিশ ও আফতাব- পুরো বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই এদের হাতে পোল্ট্রি খাতের ক্ষমতা ছেড়ে না দিয়ে সরাসরি সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।
গত বছরের আগস্টে একইভাবে ডিমের বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়। সে সময় ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ও তদন্ত করে কাজী ফার্মসসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর প্রমাণ পায়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। ভোক্তা অধিদপ্তর ছাড়াও গত বছর আগস্টে কাজী ফার্মস, প্যারাগন, সিপি, ডায়মন্ড এগ, পিপলস ফিডসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে প্রতিযোগিতা কমিশন। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা গত বছরের আগস্টে ডিমের বাজার অস্থির হওয়ার পর পুরো বিষয়টি তদন্ত করেছি। আমরা অভিযান চালিয়ে মামলা করেছি, জরিমানা করেছি। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতা কমিশন মামলাও করেছে।
এদিকে ডিমের দাম বাড়াতে বাজারে কারসাজি করার অভিযোগে ডিম বাজারজাতকারী পোলট্রি ফার্ম, সংশ্লিষ্ট সমিতিসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)। অভিযোগের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে নোটিস দেয়া হয়েছে। যে ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে কাজী ফার্মস লিমিটেড, প্যারাগন পোলট্রি লিমিটেড, ডায়মন্ড এগ লিমিটেড, পিপলস পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড, নাবা ফার্ম লিমিটেড, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ), বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, পোলট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ (পিপিবি) ও ইউনাইটেড এগ সেল পয়েন্ট।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ভোরের কাগজকে বলেন, ডিমের বাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কমিশনের তদন্তে এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা করা হয়। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তর ও ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘জয়েন্ট টাক্সফোর্স’ ব্যবস্থা চালু করব। এর মাধ্যমে আমরা যৌথভাবে বাজার তদারকি করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়