ফেসবুকে প্রেম করে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

দাম নির্ধারণের তোয়াক্কা নেই : সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না তিন পণ্য. ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা

পরের সংবাদ

ঘুষের আখড়া রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. নাঈম, ঝালকাঠি (শহর) থেকে : রাজাপুরে ঘুষ-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস। দিনের পর দিন অসাধু চক্রের যোগসাজশে মোটা অঙ্কের অর্থের মাধ্যমে নামমাত্র কাগজপত্র দাখিল করে চলছে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ। ঘুষ ছাড়া এখানে কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অপরদিকে ২০২১ সাল থেকে রাজাপুরে সাব-রেজিস্ট্রার নেই। পার্শ্ববর্তী নলছিটির সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে এখানে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ চলে।
জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ঘিরে সক্রিয় একটি চক্র।
এ চক্রের কারণে এখানে বেশিদিন থাকতে পারেন না কোনো সাব-রেজিস্ট্রার। তাদের চাপে কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন।
রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা মনিরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, এখানে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করা যায় না। নিষ্কণ্টক জমি হলেও সাব-রেজিস্ট্রারসহ অফিস খরচা বাবদ ঘুষ দিতে হয় শতাংশের মূল্যের শতকরা দুই ভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজাপুরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী সাব-রেজিস্ট্রার এ কে এম সালাহ উদ্দিন জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। নালার স্থলে পতিত দেখিয়ে মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। অফিসের কিছু কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি ঘুষ নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজাপুর উপজেলার রোলা এলাকার ভুক্তভোগী হাসান ভোরের কাগজকে বলেন, জমি বিক্রি করে বিদেশ যাব। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রারের জটিলতায় জমি বিক্রি করতে পারছি না।
কেওতা এলাকার মিজান নামের একজন ভোরের কাগজকে বলেন, আমার একটি নালা জমি বিক্রি করে চিকিৎসা নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রারের জটিলতায় জমি বিক্রি করতে পারছি না। অন্য উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে কার্যক্রম চলায় কয়েক বছর ধরে লোকজন জমি কেনাবেচা করতে পারছেন না।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দলিল সম্পাদনের শেষ পর্যায়ে টিপ সইয়ের জন্য দিতে হয় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। দলিলের টিকেটের জন্য হাওয়ারা বাবদ দিতে হয় দুই থেকে ৫শ টাকা। কেউ ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে তাকে হেনস্থা করা হয়। নেয়া হয় না টিপ সই। দেয়া হয় না মূল দলিল পাওয়ার টিকেট (স্লিপ)। পদে পদে ঘুষ না দিলে দলিলও হয় না।
এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার এ কে এম সালাহ উদ্দিন মুঠোফোনে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ভোরের কাগজকে জানান, তার অফিসে কোনো ঘুষ লেনদেন হয় না। সব অভিযোগ মিথ্যা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়