সংসদে বিল পাস : মিথ্যা দলিল তৈরি ও জাল স্বাক্ষরে ৭ বছর কারাদণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম > ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিল সরকার > ফল না পেলে আমদানি : বাণিজ্যমন্ত্রী

পরের সংবাদ

সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস : বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার > মিথ্যা মামলায় সমপরিমাণ সাজা > অজামিনযোগ্য ধারা ১৭, ১৯, ২৭, ৩৩

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে বিলের ৪২ ধারা অনুযায়ী, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ধার্য করা হয়েছে ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানা। তবে এই আইনে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে সে জন্য বাদীকে সমপরিমাণ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
গতকাল বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে জনমত যাচাইয়ের জন্য দেয়া প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যরা বিলটির বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন। বিশেষ করে পরোয়ানা ছাড়া সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেন তারা। এ ধারাটি থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দেয়া অথবা প্রধানমন্ত্রী, প্রেস কাউন্সিল বা ন্যূনতম প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানিয়ে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। এ বিলটি পাস হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হবে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা বাঁধাপ্রাপ্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
তবে বিরোধী দলের সদস্যদের কোনো সংশোধনী নিতে অস্বীকার করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। একইসঙ্গে জনমত যাচাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয় এবং বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে ধ্বনিভোটে তা পাস হয়ে যায়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে পাস করা এই বিলের ৪২ ধারায় পরোয়ানা ছাড়াই যে কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি, জিনিসপত্র জব্দ ও গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। বিলের ২৭ ধারায় সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনের অপরাধ ও দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করলে বা করার মনোভাব পোষণ করলে তিনি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি গত ৭ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে সাংবাদিক নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে তারা বিলটির ৪২ ধারা বাতিল করার দাবি জানালেও তা বহাল রাখা হয়েছে।
বিলের মিথ্যা মামলা সংক্রান্ত ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কারো ক্ষতিসাধনের উদ্দেশে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিলের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অনলাইন বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রোপাগান্ডা ও প্রচার বা তাতে মদদ দেন, তাহলে ওই ব্যক্তিও একই অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। এই ধারায় কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটন করলে তিনি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিলের জামিন অযোগ্য ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি জ্ঞাতসারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে (ক) বেআইনি প্রবেশ বা (খ) বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে তার ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট বা অকার্যকর করেন অথবা করার চেষ্টা করেন, তা হবে একটি অপরাধ। (ক) ধারায়

অপরাধে অনধিক ৩ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং (খ) ধারায় অপরাধে অনধিক ৬ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জামিন অযোগ্য ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহলে সেটি অপরাধ এবং এ জন্য তিনি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আরো দুটি জামিন অযোগ্য ধারা হলো ১৯ ও ২৭ ধারা।
উত্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল- যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা তার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে, বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে ‘প্রতীয়মান’ শব্দের জায়গায় ‘তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
কুৎসামূলক প্রোপাগান্ডা ও প্রচার বা তাতে মদদ দেন, তাহলে ওই ব্যক্তিও একই অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। এই ধারায় কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটন করলে তিনি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিলের জামিন অযোগ্য ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি জ্ঞাতসারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে (ক) বেআইনি প্রবেশ বা (খ) বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে তার ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট বা অকার্যকর করেন অথবা করার চেষ্টা করেন, তা হবে একটি অপরাধ। (ক) ধারায় অপরাধে অনধিক ৩ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং (খ) ধারায় অপরাধে অনধিক ৬ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জামিন অযোগ্য ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহলে সেটি অপরাধ এবং এ জন্য তিনি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আরো দুটি জামিন অযোগ্য ধারা হলো ১৯ ও ২৭ ধারা।
উত্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল- যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা তার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে, বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে ‘প্রতীয়মান’ শব্দের জায়গায় ‘তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

বিলটি পাসের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, অপরাধ দমনের জন্য আইন থাকতে হবে। আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা শুধু একটা জিনিস চাই, আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয়। কিছু কিছু কারণে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমালোচনার শিকার হয়েছে। সাইবার অ্যাক্টটির যেন অপপ্রয়োগ না হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলবাহিনী এবং আইনের যারা রক্ষক তারা যেন সতর্ক থাকেন।
তিনি বলেন, আজ (গতকাল) যে নতুন আইনটি পাস হয়েছে, সেটি নিয়ে কথা বলতে হলে আইন যেভাবে পাস হয়েছে, আইনের সেই কপি দেখতে হবে। যেহেতু আইনটি পাস হওয়ার পরে পুরোপুরি কপিটি আমরা দেখিনি, তাই মন্তব্য করা সমীচিন হবে না। তবে একটা কথা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে যে বিতর্ক বা সমালোচনা ছিল সেটির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটি সংশোধন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করবে সরকার। আমরা একটা কথা বলতে চাই, সাইবার সন্ত্রাস বন্ধের জন্য অবশ্যই আইন করার প্রয়োজনীয়তা আছে, তবে সেই আইনটি কিছুতেই যেন নিবর্তনমূলক আইন না হয়। আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা এই দাবি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, এই নতুন আইনের সবচেয়ে বড় দিকটি হলো- আগে জামিনযোগ্য ছিল না, এখন জামিনযোগ্য করা হয়েছে। আগে জেলে দেয়া হতো, সেটি রহিত করা হয়েছে।
স্বাধীন সাংবাদিকতায় বাধা : সাংবাদিকদের আপত্তিগুলো উপেক্ষা করে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস করায় এই আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে আশঙ্কা করেছেন সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস হয়। এই বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারা এই আইনে যুক্ত করা হয়েছে। এটা অনেকটা নতুন বোতলে পুরনো মদ রাখার মতোই অবস্থা। আইনটি নতুন করে হচ্ছে কিন্তু স্বস্তি ফিরে আসছে না। যেভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল অনেকটা সেভাবেই এই আইন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ, সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের যেসব আপত্তি ছিল, উদ্বেগের বিষয় ছিল সেগুলো রয়েই গেছে। ৯টি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন প্রস্তাবিত সাইবার আইনে ৭টি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি।
মুজিবুল হক বলেন, সাংবাদিকরা কলম ধরেন দেশের স্বার্থে। ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে।
ফখরুল ইমাম বলেন, আইনটিতে কিছু রদবদল করা হয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকরা বলেছেন, তারা সন্তুষ্ট নন। সংবিধানে বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। সংবিধান হলো মূল আইন। বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে কোনো আইন তৈরি হলে তা হবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার কাছে বিতর্কিত ছিল। কিছুটা পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। এটিও স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এই আইনে সাংবাদিকদের বিষয়ে আলাদা সুরক্ষা রাখা প্রয়োজন ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়