ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি

আগের সংবাদ

সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস : বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার > মিথ্যা মামলায় সমপরিমাণ সাজা > অজামিনযোগ্য ধারা ১৭, ১৯, ২৭, ৩৩

পরের সংবাদ

সংসদে বিল পাস : মিথ্যা দলিল তৈরি ও জাল স্বাক্ষরে ৭ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘দলিল যার ভূমি তার’ বিধানটি কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে এবং তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে জমি হস্তান্তর, মিথ্যা দলিল তৈরি ও জাল স্বাক্ষর করলে ৭ বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। গতকাল মঙ্গলবার বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে ধ্বনী ভোটে বিলটি সংসদে পাস হয়ে যায়।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আসলে শক্তি যার, জমি তার নয়; দলিল যার জমি তার নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। বিলটিতে বলা হয়েছে, অন্যের ভূমি অবৈধভাবে নিজ জমি বলে প্রচার করলে, সম্পূর্ণ বা আংশিক ভুয়া দলিল তৈরি করে তা বিক্রি করলে, মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে স্বাক্ষর বা সিল মোহর দিলে বা দলিলের কোনো পরিবর্তন করলে এবং কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য দিলে তা জালিয়াতি বলে গণ্য হবে।
এসব অপরাধের জন্য ৭ বছরের জেল এবং জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ বিলটি পাসের ফলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও ভূমি সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি সংস্কার বিল-২০২৩ পাস : কোনো পরিবারে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিকানা নয়- এমন বিধান রেখে ‘ভূমি সংস্কার বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে এবং কিছু পরিমার্জন ও সংশোধন করে এ আইনটি পাশ হলো।
গতকাল মঙ্গলবার ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়, ৬০ বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনো উপায়ে নতুন কোনো কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না।
তবে সমবায় সমিতির মাধ্যমে চা, কফি ও রাবার বাগান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনটি শিথিল থাকবে।
কোনো ব্যক্তি নিজের উপকারার্থে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বেনামে লেনদেন করতে পারবে না। বিলে বলা হয়েছে, খাসজমি মুক্তিযোদ্ধাদের বা তাদের পরিবার, ভূমিহীন কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া যাবে।
ই আইনে বাস্তুভিটার অধিকার, বর্গাচুক্তি ন্যূনতম ১ বছরের জন্য এবং বিশেষ কারণ ছাড়া বর্গা বাতিল না করার বিধান, ১৫ বিঘার ওপর এক ব্যক্তিকে বর্গা না দেয়া, বর্গাদারদের মধ্যে ফসল বিভাজন ইত্যাদি সুষ্পষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়