‘রাজাকারদের জনসংখ্যা বেড়েছে’

আগের সংবাদ

চাপ কমলেও সতর্ক থাকবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

বিশ্বে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উচ্চতা না দেখার ভান যারা করছেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান বিশ্ব এক জটিল ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে চলছে। মূলত যারা অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে এখন ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করছে তারাই পৃথিবীর সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র এবং অঞ্চলে নিজেদের বলয় সৃষ্টির কূটনীতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ যেসব অঞ্চলে দরিদ্র দেশ এবং জাতির অবস্থান বেশি, সেখানে কারো প্রতিযোগিতা দেয়ার মহড়া দিতে দেখা যায় না। বিশ্ব রাজনীতির এ এক নির্মম বাস্তবতা। পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, পরাশক্তিগুলো তাদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি নানা সুবচন উচ্চারণ করে থাকে। এই উচ্চারণগুলো অবহেলিত দেশগুলোর জন্য কেন বলা হয় না, সেটিই মৌলিক প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও কেউ দেবে না।
বাংলাদেশ একসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ছিল। সেই যুদ্ধের পেছনেও ছিল বড় বড় একাধিক শক্তির সমর্থন। তখন মানবাধিকারের কথা তাদের মুখে উচ্চারিত হয়নি। অল্প কয়েকটি উন্নত দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, বিশ্বের মানবতাবাদী জনগণ ছিল আমাদেরই পাশে। বিজয় অর্জনের পর আমাদের একটি পরাশক্তি তলাবিহীন ঝুড়ি নামে আখ্যায়িত করেছিল। আমাদের সবকিছুই যেখানে ধ্বংস করা হয়েছিল, সেখানে ঝুড়ির অস্তিত্বই তো থাকার কথা নয়। সেই দেশটি বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করেছিল। এর পেছনে ছিল বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহসী দেশপ্রেম এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, শ্রমজীবী জনগণের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা এবং বিদেশি বন্ধুভাবাপন্ন মানুষের উদারহস্ত সম্প্রসারণ। এসবকে নিয়েই আমরা সাড়ে তিন বছরের মাথায় ঘুরে দাঁড়াতে প্রাণপণ লড়াই করেছি। এরপর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে আমাদের উঠতে লেগেছিল প্রায় ৩৫ বছর। এর কারণ ছিল দেশ পরিচালনায় ছিল না দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের বেশির ভাগই ক্ষমতা বেদখলকারী ছিল। রাষ্ট্র বিনির্মাণের ন্যূনতম দায়বোধ তাদের ছিল না। কিন্তু বিদেশ থেকে ঋণ এনে কিছু মানুষকে ঘি খাওয়ানোর রাজনীতি তাদের ছিল। ফলে প্রতি বছর প্যারিস কনসোর্টিয়াম থেকে যে ঋণ আনা হতো, তার চুইয়ে পড়া কয়েক ফোঁটাই কেবল সাধারণ মানুষের মুখে ও শরীরে পড়ত। বাকিটা শাসক, আমলা আর রাষ্ট্র ও সমাজের উঁচুশ্রেণির শ্রীবৃদ্ধিতেই ব্যয়িত হতো। ফলে কিছু রাস্তাঘাট আর দালানকোঠা নির্মাণের বাইরে আমাদের উন্নয়ন গ্রামগঞ্জে পৌঁছায়নি। রাষ্ট্রের অবকাঠামো, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমানের পরিবর্তন এবং সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের কোনো ব্যবস্থা ছিলই না। ফলে বাংলাদেশ উন্নত দুনিয়ার কাছে তখন ঋণগ্রস্ত দেশ হিসেবেই পরিচিত ছিল। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যেই থেকে যাবে, এটিই তো সবার ধারণা ছিল। সে কারণে আমাদের প্রতি বড় কোনো দেশের তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যায়নি।
কিন্তু ২০০৯-এর পর থেকে শেখ হাসিনার দিনবদলের সনদ পালটে দেয় পুরনো ধ্যান-ধারণা এবং অবকাঠামোর অনেক কিছুই। বিদ্যুতায়ন শিল্প, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক এবং যোগাযোগের মাধ্যমে গোটা দেশে বদলে দেয়ার এক নীরব বিপ্লব সাধন করে। এর ফলে অর্থনীতির চাকা সব ক্ষেত্রেই ঘুরতে থাকে। বঙ্গোপসাগরে আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমানা অর্জিত হয়, যা এই মুহূর্তে বিশ্ব পরাশক্তির দৃষ্টিতে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। দেশে গ্রামীণ অর্থনীতি বদলে যায়। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করার লক্ষ্য অর্জিত হয়। এভাবে বাংলাদেশ পঁচাত্তরের পর কখনো পরিকল্পনা ও নীতি-কৌশল নিয়ে অগ্রসর হওয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিচালিত হয়নি। বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেই নয়, গোটা বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, পারস্পরিক সহযোগিতা ইত্যাদিতে চমক সৃষ্টির মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে। সে কারণেই মাথাপিছু আয় দ্রুত বেড়ে গেছে, অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছে, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানেও উন্নীত হয়েছে। আরো অনেক ক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদন, রপ্তানি, আমদানি সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ দুর্ভিক্ষ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিপর্যস্ত দেশ বলে অভিহিত করার তালিকায় রাখেনি। বরং অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে সবারই দৃষ্টি কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। গত ১৫ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে, অতিদরিদ্র মানুষের হার এখন ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা গেছে, সামাজিক সুরক্ষা খাতে অভাবনীয় অর্থ ব্যয় করার ফলে পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। সাড়ে আট লাখ গৃহহীন পরিবার এখন গৃহই শুধু পায়নি, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ারও সুযোগ পেয়েছে। পৃথিবীতে এ এক নজিরবিহীন উদাহরণ। অনেক অসম্ভবকে বাংলাদেশ গত দেড় দশকে শুধু সম্ভবই করেনি, পেছন ফেলে সম্মুখের দিকে এগিয়ে চলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশে এখন পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে, পদ্মা রেলসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বড় বড় বিদ্যুৎ মেগা প্রকল্প, বন্দর, রাস্তাঘাট, বঙ্গবন্ধু টানেল, সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দরসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্প একের পর এক সমাপ্তি ও গ্রহণ করা হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা দিয়ে আসছে। এর ফলে পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক লাভালাভের বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এই নীতিতে অটল রয়েছে। ফলে সব দেশের কাছেই এখন আমরা বন্ধুভাবাপন্ন দেশ বলে বিবেচিত হচ্ছি। সে কারণেই বাংলাদেশকে ব্রিকস সম্মেলন, আসিয়ান সম্মেলন এবং জি-২০তে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনা এই উচ্চতায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে অনন্য, অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তা দুনিয়াব্যাপীই স্বীকৃত। জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বিশেষভাবে শুধু আমন্ত্রিতই হননি, বক্তব্য রাখা, জো বাইডেনসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার গৌরবও বাংলাদেশের জন্য নিয়ে এসেছেন। ব্রিকস সম্মেলনে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। আবার জি-২০তে বিশ্বশান্তি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুধা নিবারণ এবং এক বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বানও তিনি জানানোর মতো মঞ্চ পেয়েছেন। বিশ্ব গণমাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি, শেখ হাসিনা, জো বাইডেন মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে নিয়েছেন। এদের প্রধান কারণ হচ্ছে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক এবং বিশ্ববাস্তবতার যে জায়গায় তুলে নিতে পেরেছেন তা তার স্বীকৃতি হিসেবেই এমন নজরকাড়া দৃষ্টি আকর্ষণ। বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগর ভূরাজনীতির নতুন অঞ্চল হিসেবে সবার কাছে বিবেচিত হয়েছে। শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে যাওয়ার প্রাক্কালে সফররত রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করতে। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকাল থেকে। দেশটির সহযোগিতা সেই সময় না পেলে মুক্তিযুদ্ধ অন্য পরাশক্তির কবল থেকে আমরা উদ্ধার করতে পারতাম কিনা, সন্দেহ ছিল। রাশিয়ার সঙ্গে তাই আমাদের আছে বন্ধুত্বের এক দীর্ঘ বন্ধন। সেই বন্ধনের ওপর ভিত্তি করেই শেখ হাসিনা এমন দাবি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিনা দ্বিধায় করতে পেরেছেন। জি-২০ সম্মেলন শেষে ১০ তারিখেই সন্ধ্যায় ঢাকায় ২৪ ঘণ্টার সফরে এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে অবকাঠামো উন্নয়নে ঋণ সহায়তার চুক্তি এবং বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমের সহযোগিতায় একটি সম্মতিপত্র। ফ্রান্স অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সম্পর্ক, প্রেসিডেন্টের সফর, স্যাটেলাইট ক্রয়, ঋণ সহায়তার মতো চুক্তি সম্পাদন বাংলাদেশের সক্ষমতারই নতুন জানান দেয়া হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশটির সঙ্গে কাজ করতে চায় ফ্রান্স; সেই লক্ষ্যেই বিদ্যুৎ, স্যাটেলাইটসহ প্রযুক্তি খাতেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক দুই দেশের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে।’
আবারো জি-২০ সম্মেলন প্রসঙ্গ। ভারতের সঙ্গে সম্মেলনের প্রাক্কালে আগের দিন যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে স্বাক্ষরিত হয়েছে ৩টি সমঝোতা স্মারক। এই মুহূর্তে ডলার সংকটের একটি বড় ধরনের সমাধান হিসেবে রুপি ও টাকায় দুদেশের বাণিজ্য লেনদেন করার অনুমতি পাওয়া গেল, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তিও উল্লেখ করার মতো। তাছাড়া নরেন্দ্র মোদি তিস্তাসহ অন্যান্য জরুরি ইস্যুগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তার সরকারের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনের যখন আর মাত্র ৪ মাস বাকি, তখন বাংলাদেশের সঙ্গে এতসব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের আসা-যাওয়া ও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তার সঙ্গে সেলফি ও ছবি কূটনীতি বাংলাদেশের অতীত এবং বর্তমানের অবস্থানগত যে পরিবর্তন ঘটেছে, তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। অথচ আমাদের দেশে শুধু রাজনীতিতেই নয়, সুশীল নামক একটি শ্রেণির মধ্যেও এই পরিবর্তনকে গ্রহণ করার মানসিকতা নেই। উভয় গোষ্ঠীই চিৎকার করে বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, পাকিস্তান হয়ে যাবে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি, দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশকে পুনরুদ্ধারের জন্য তারা আন্দোলন করছে ইত্যাদি। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতা, দোষ, ত্রæটি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ ইত্যাদি থাকার পরও শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন শিখরে ওঠার সুযোগ পেয়েছে। অতীতে তারাও তো ক্ষমতায় ছিলেন। কী দিতে পেরেছিলেন আর পারেননি- তার পর্যালোচনা তো হওয়া দরকার। কিন্তু সেই মনোবৃত্তিটাই তো অনুপস্থিত। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় আর্থসামাজিক এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিতে পেরেছেন, সেটিরই অব্যাহত ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে বর্তমান ভূরাজনৈতিকভাবে অতি আকর্ষণীয় দেশটির ভাগ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে। সে কারণে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নিজেদের বাগাড়ম্বরতা পরিহার করে মেধা, মনন, প্রজ্ঞা, দক্ষতা, দেশপ্রেম এবং আন্তর্জাতিক বাস্তবতার বোধেই নিজেদের তৈরি করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে উন্নয়নের গতিধারাই ব্যাহত হবে না, ১৮ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়