সন্তান জন্ম দিলেন ভারসাম্যহীন ভবঘুরে নারী

আগের সংবাদ

নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন

পরের সংবাদ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : নগর জীবনে স্বস্তি ফিরবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চাচ্ছে। আজ বিকালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপাতত এ সড়কের বিমানবন্দরের দিক থেকে ওঠা গাড়ি নামবে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড দিয়ে। আর ফার্মগেট প্রান্ত থেকে গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে বিজয় সরণি ফ্লাইওভার দিয়ে। রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে জনগণের অভিযোগের শেষ নেই। দুর্ভোগ ঢাকা মহানগরীর মানুষের নিত্যসঙ্গী। আশা করা হচ্ছে, ঢাকা মহানগরীর জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হবে। রাজধানীর যানজট নিরসনে অনেক বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের মতো প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেছে নগরবাসী। ২ কোটির বেশি মানুষের শহর ঢাকা। কিন্তু সেই তুলনায় নাগরিক সুবিধা বিশেষত স্বাচ্ছন্দ্যে নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্যত্র ভ্রমণের সুবিধা এখনো খুবই সীমিত। যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শেষ নেই এই মেগা সিটির নাগরিকদের। নগরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তি কমিয়ে আনা এবং সময় বাঁচাতে সরকার ঢাকাকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। ঢাকা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে নির্বিঘœ ও দ্রুত সড়ক যোগাযোগ চালু করতে ২০০৯ সালে নেয়া হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। নির্মাণ চুক্তি হয় ২০১১ সালে। কথা ছিল ২০১৩ সালের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১০ বছর পর চালু হচ্ছে আংশিকভাবে। কয়েক দফা এর নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ ও পিপিপি অংশীদারের অর্থের সংস্থান না হওয়াসহ নানা জটিলতায় এর নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা পেছানো হয় পাঁচবার। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকায়। এ ব্যয় আরো বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে ২৭ শতাংশ দেবে বিনিয়োগকারীকে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলবে ৬০ কিলোমিটার গতিতে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১২ মিনিট। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রোড কানেকটিভিটি মোট সাড়ে ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাড়ে ১১ কিলোমিটার মেইন ক্যারেজ, অর্থাৎ উড়াল সড়ক। এর সঙ্গে গাড়ি ওঠা-নামার র‌্যাম্প থাকছে ১১ কিলোমিটার। সময় সাশ্রয় ও বাধাবিহীন যাতায়াতে সড়কটি বড় ভূমিকা রাখবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ২০২৪ এর জুন পর্যন্ত ধরা আছে। তখন চালু হবে পুরো সড়কটি। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। বর্তমানে প্রকল্পের বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ প্রস্তুত। এ অংশে ওঠা-নামার জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্টে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। বলা হচ্ছে, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে মোট জিডিপির ৩৭ শতাংশ জোগান দিচ্ছে ঢাকা। যানজটের কারণে দেশের প্রধান প্রধান শহরে নগরায়ণের অনেক অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীতে বসবাসকারী নাগরিকদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় আনবে আমূল পরিবর্তন। মানুষের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়