শেখ পরশ : নোবেলজয়ীর জন্য কি আইন হবে অন্যরকম?

আগের সংবাদ

ছাত্র সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী : স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাণ্ডারি হবে ছাত্রলীগ > বিএনপির উদ্দেশ্য ভোট নয়

পরের সংবাদ

ব্রিকসের দেয়াল কতটা শক্ত হলো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চায়না এবং সাউথ আফ্রিকা হলো বর্তমান বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, যারা সম্মিলিতভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্থনীতিতে আধিপত্য কায়েম করবে বলে মনে করা হয়। গোল্ডম্যান সাক্সের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ জিম ও’নিল ২০০১ সালে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেন। ও’নিল নেতৃস্থানীয় বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্সের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সময় ট্রেজারির কমার্শিয়াল সেক্রেটারি ছিলেন। উনিই ব্রিকস ইকোনমিক থিউরির প্রবক্তা। ও’নিল বলেছিলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীন- যে দেশগুলো ব্রিক নামের সংক্ষিপ্ত রূপ তৈরি করে- তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল জি-৭ গ্রুপের চেয়ে বেশি। উল্লেখ্য, জি-৭ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য। এ ৭টি উন্নত দেশের একটি অর্থনৈতিক গ্রুপ।
২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন- এ ৪টি দেশের আদ্যাক্ষর সমন্বয়ে গঠিত হয় ব্রিক। এর ৪ বছর পরে ব্রিক-এ দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্তি ঘটে এবং ব্রিকের নাম বদলে রাখা হয় ‘ব্রিকস’। ধরে নেয়া হয় পশ্চিম এবং বাকি বিশ্বের মধ্যে সেতুর ভূমিকা পালন করবে এই গোষ্ঠী। সাম্য প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা পালন করবে। ‘ব্রিকস’ উদীয়মান অর্থনীতির ৫টি দেশ- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অক্ষরের সমন্বয়ে নামকরণ করা হয় একটি জোট।
ও’নিল তার গবেষণায় দেখতে পান ২০০০ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীন বিশ্বের জিডিপির প্রায় ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ ধারণ করত। বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকস জোটের দেশগুলোর মিলিত হিস্যা ইতোমধ্যে জি-৭-এর অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। অনুমান করা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ব্রিকস বিশ্ব জিডিপির অর্ধেকের বেশি অবদান রাখবে। সম্প্রসারণ না করেও ব্রিকস দেশগুলোর জনসংখ্যা বিশ্বে ৪২ শতাংশ। বিশ্ববাণিজ্যে ব্রিকস দেশগুলোর অবদান ১৮ শতাংশ। বর্তমানে ব্রিকসভুক্ত দেশের মোট জনসংখ্যা ৩৪২ কোটি এবং মোট আয়তন ৪০ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ এবং মোট আয়তনের ৩০ শতাংশ।
ব্রিকস দেশগুলো মনে করে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে পশ্চিমা বিশ্বের একতরফা ব্যবস্থার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত। নিষেধাজ্ঞা, বয়কট ইত্যাদি জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। তাই ব্রিকস তার সদস্য ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লেনদেনে স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার প্রসারে জোর দিয়েছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সূত্র মতে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকসের অবদান ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ বা ২৬ দশমিক ০৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান এবং একই সময় এফডিএই প্রবাহ ও স্টক ছিল ৩৫৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ববাণিজ্যে তাদের অবদান ৯ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১৮ শতাংশ। একটি প্রক্ষেপণে অনুমান করা হয় যে, ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকস দেশগুলোর অবদান ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে।
চীন নিজেকে বেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছে। সাধারণভাবে চীনের জিডিপি জাপান ও জার্মানির চেয়ে তিন গুণ বেশি এবং দেশটির অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রায় ৭৫ শতাংশের সমান। অন্যদিকে ভারতও বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই দশকের শেষ নাগাদ তারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি হতে চাচ্ছে। কিন্তু প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে ব্রিকসের বাকি সদস্যদের কেউই চীন ও ভারতের ধারে কাছে নেই। ২০০১ সালে বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রাজিল ও রাশিয়ার যতটুকু অবদান ছিল, সেখানেই তারা পড়ে আছে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকাও আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি নয় (নাইজেরিয়া তাকে ছাড়িয়ে গেছে)।
এ বছরের ২২-২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হলো ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আগে ২২টি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছিল। যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল আরও ২০টি দেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানো দেশের মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। এর মধ্যে তিন মহাদেশের ৬টি দেশকে বিকাশমান অর্থনীতির এই জোটে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল- দেশগুলো হলো সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, ইথিওপিয়া ও আর্জেন্টিনা। যে ৬টি দেশকে ব্রিকসে নতুন সদস্য হিসেবে নেয়া হয়েছে, তাদের মাথাপিছু জিডিপির বিপুল পার্থক্য রয়েছে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ মাথাপিছু জিডিপির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের তথ্যানুযায়ী ৫৩ হাজার ৭৫৮ ডলার), আর সবচেয়ে কম ইথিওপিয়ার (বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী ১ হাজার ২৭ ডলার)। ইথিওপিয়ার তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি অনেক বেশি, ২ হাজার ৬৮৮ ডলার (বিশ্বব্যাংক ২০২২)। ইন্দোনেশিয়ার আরো বেশি, ৪ হাজার ৭৮৮ ডলার। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়েও কম, ২ হাজার ৩৮৮ ডলার। কেবল ৬টি দেশকে কেন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে, তা ব্রিকসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে অর্থনৈতিক শক্তি বা বাণিজ্য সম্ভাবনার চেয়ে ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন সদস্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব দেশের বেশিরভাগের সঙ্গে চীন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাশিয়া সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। নতুন সদস্য ৬ দেশের মধ্যে সৌদি আরব, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রয়েছে বিপুল তেলসম্পদ। ব্রিকসের সিদ্ধান্তটি বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিশালী অর্থনীতি বলয়ের বাইরে নতুন মেরু তৈরির প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, কিন্তু আমন্ত্রণ পায়নি এমন দেশের মধ্যে আরো রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও আলজেরিয়া। এই দেশগুলোকে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, এমন একটি বিশ্ব যা হবে ন্যায্য, এমন একটি বিশ্ব যা হবে ন্যায়পরায়ণ, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধিশালী, তেমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার চেষ্টায় ব্রিকস একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
ব্রিকসের নতুন মুদ্রা প্রচলনের বিষয়টিও জোর আলোচনায় আছে। যদিও বিষয়টি এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আলোচিত হবে না বলে আগেই জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জোহানেসবার্গভিত্তিক সাউথ আফ্রিকা ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ারের জ্যেষ্ঠ গবেষক গুস্তাভো ডি কারভালহো বলেন, ব্রিকসের মধ্যে ডলারকে প্রতিস্থাপন করবে এমন মুদ্রা নিয়ে আসার লক্ষ্য নেই। বরং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহারের বিকল্প উপায় অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ব্রিকস এবং এতে জোগ দিতে ইচ্ছুক দেশগুলোর ধারণা পরিষ্কার। তারা ডলারের প্রভাব নিয়ে চিন্তিত। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকির পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়লে অর্থ লেনদেনও চাপে পড়তে হয়।
জানা যায়, বর্তমানের জোটের সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে চীন ব্রিকস সম্প্রসারণের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মিত্র বাড়ানোর চেষ্টায় থাকা রাশিয়াও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এখনো সব সদস্য এ বিষয়ে সম্মত নয় যে, সদস্য সংখ্যা বাড়লেই ব্রিকস শক্তিশালী হবে। তবে ব্রাজিল মনে করছে, সদস্য সংখ্যা বাড়লে জোটে তার প্রভাব কমে আসবে। অন্যদিকে ভারতও সম্প্রসারণের বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে উদ্যোগই নেয়া হোক না কেন ব্রিকস ‘যে কোনো এক পক্ষকে’ বেছে নিতে বাধ্য করবে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্রিকসের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় অথবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ডলারে বাণিজ্য করার মতো কোনো একক মাধ্যমকে বেছে নেয়ার মতো কোনো ভাবনা নেই। বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের সুবিধামতো মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ থাকতে পারে।
সহজ কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের ডলার আধিপত্যকে পুরোপুরি ধ্বংস করা নয়, বরং অন্য দেশগুলোর কাছে সমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিকল্প তুলে ধরতে চাচ্ছে ব্রিকস। এই ধারণা গ্রহণ করা বিশেষ করে ইউরোপের কাছে কিছুটা কঠিন হতে পারে। কারণ ইউরোপীয়দের কাছে ব্রিকস হলো চীন ঘেঁষা পশ্চিমাবিরোধী এজেন্ডায় পরিচালিত একটি জোট। নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার যে আকাক্সক্ষা ব্রিকসের কোনো কোনো দেশের রয়েছে, তা কতটা অর্জিত হবে, সেটি নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তবে ব্রিকস সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ইরান ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোর অর্থনীতিতে। পরিবর্তন আসবে ইথিওপিয়া ও মিসরের। তবে সার্বিকভাবে ব্লকের সদস্যদের জন্য অর্থনৈতিক প্রাপ্তি নিয়ে সন্দিহান বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকরা। নতুন বাজারের সংযুক্তি, জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিক সুবিধা কিংবা ডলারের বিপরীতে জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার বৃৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কতটা সফল, তা নিয়ে দ্বিধা দূর হয়নি। তাই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এবারের ব্রিকস তার দেয়াল কতটা শক্ত করতে পারল।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির হিসাব অনুসারে, ২০১৫ সালের পর নতুন সদস্য হওয়া দেশগুলোতে ব্রিকসের পুরনো সদস্যদের রপ্তানি ২৩ থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত অর্থনীতিকে পেছনে ফেলে ব্রিকস জায়গা দখল করে নিয়েছে বাণিজ্যিক সম্প্রসারণে। ডলারের আধিপত্য কমিয়ে জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার বৃদ্ধি করা ব্রিকসের অন্যতম লক্ষ্য। জোহানেসবার্গের সম্মেলনে সেটাও আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছে। সদস্যদের দাবি ছিল, এর মাধ্যমে তারা তাদের অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারবে। জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী নতুন সদস্যদের সংযুক্তির বড় একটা কারণ হলো অর্থ তাদের ডলারবহির্ভূত মুদ্রায় জ্বালানি তেল সরবরাহে নিয়ে আসা। স্বল্পমেয়াদে জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ই এ পরিবর্তনের ফল হবে সবচেয়ে শক্তিশালী। যদি ডলারের বিপরীতে জ্বালানি তেলের ব্যবসায় অন্য কোনো মুদ্রা চলে আসে, সেটা সামান্য পরিমাণে হলেও বড় একটা ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে ব্রিকসের জন্য।

এম এ মাসুম : ব্যাংকার ও ‘বৈদেশিক বিনিময় বাণিজ্য ও অর্থায়ন’ গ্রন্থের লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়