খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে যান চলাচল ব্যাহত

আগের সংবাদ

ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার চিন্তা ছিল না, চেষ্টাও করিনি : সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পরের সংবাদ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দুবার সংশোধন হয়েছে জনস্বার্থে : সাবের হোসেন চৌধুরী

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তামাক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার জনস্বার্থে ১০ বছরে দুবার আইন সংশোধন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ প্রণয়নের পর ২০১৩ সালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। ১০ বছরে মধ্যে আবার সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। পৃথিবীর কোথাও এত অল্প সময়ে একটি আইন দুবার সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলেই আবার সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট’ আছে বলেই আজ সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করছি।
সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। উন্নয়ন সমন্বয়ের উদ্যোগে গতকাল সোমবার রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান। সম্মানিত আলোচক ছিলেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, গেøাবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ড্রাস্টিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের হেড অব প্রোগ্রামস শাহীন উল আলম।
সভায় সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এই মাস শোকের মাস। ১৯৭৫ সালে হত্যার শিকার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু পানি দূষণ রোধে ১৯৭৩ সালে ‘পানি দূষণ অধ্যাদেশ’ জারি করেন, ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন করেন। অর্থাৎ ৫০ বছর আগে করা পানি দূষণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করেছিলেন? আমাদের সংবিধানের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে জনস্বার্থের উন্নয়ন সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। আওয়ামী লীগ সরকারের পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট ছিল বলেই ১৯৭২ সালের সংবিধানে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে অন্যতম প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৬টি খসড়া সংশোধনী তুলে ধরে ড. আতিউর রহমান বলেন, ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম ও তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করাসহ যুগোপযোগী সংশোধনী আইনটি জনস্বার্থে আগামী সংসদ অধিবেশনে পাস করা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়