খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে যান চলাচল ব্যাহত

আগের সংবাদ

ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার চিন্তা ছিল না, চেষ্টাও করিনি : সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পরের সংবাদ

জলাবদ্ধতা নিরসনে চউকের প্রকল্পে কোনো সুফল নেই : চসিক মেয়র

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চলমান প্রকল্পে কোনো সুফল নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল সোমবার নগরীর নন্দনকাননের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চসিকের ৩১তম সাধারণ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সভায় নগরের সা¤প্রতিক জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক কাউন্সিলর। জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা হলেই মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়ী করে নগরবাসী। কারণ আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় মানুষ আমাদের চেনে। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের দায়িত্বে নেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। জলাবদ্ধতা নিয়ে আমরা একাধিক সমন্বয় সভা করেছি। সভায় চউকের যখন যে প্রতিনিধি আসেন দ্রুততম সময়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তবে, বাস্তবে চউকের প্রকল্পের কোনো সুফল এসেছে বলে নগরবাসী মনে করে না।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আমরা কাউকে দোষারোপ করি না, শুধু চউককে বলতে চাই, নগরবাসী আর কষ্ট পেতে চায় না। আপনারা জনগণের মতামতকে মূল্যায়ন করেন। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প শেষ করুন। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেকে চউক থেকে অনুমতি নিয়ে রাস্তার একদম কাছেই বাড়ি নির্মাণ করছে। এজন্য চউককে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে চউকের পাশাপাশি চসিক থেকে যাতে অনাপত্তিপত্র নেয়া হয়।
মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন, শীতকাল আসছে। মশার প্রাদুর্ভাব বাড়বে। মশা নিয়ন্ত্রণে চসিকের কার্যক্রম ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং করবেন। এছাড়া যেসব ওয়ার্ডে পাহাড় আছে, সেসব ওয়ার্ডে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পাহাড়ধস থেকে বাঁচাতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কোনো কর্মীর অবহেলার প্রমাণ পেলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ড্রেনগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা একটি টিম গঠন করা হবে।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকায় চলমান প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকৌশল বিভাগ থেকে সংগ্রহ করে ঠিকাদাররা কাজ ঠিকমতো করছে কিনা তা যাচাই করবেন। চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তা তৃণমূল পর্যায় থেকে সফল করতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক গুরুত্ব কাজে লাগানো গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়