খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে যান চলাচল ব্যাহত

আগের সংবাদ

ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার চিন্তা ছিল না, চেষ্টাও করিনি : সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পরের সংবাদ

আসামির ডিএনএ রিপোর্ট পাল্টাতে চেষ্টার অভিযোগ : নবজাতকসহ সংবাদ সম্মেলনে কিশোরী

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এক কিশোরীর করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সঙ্গে নবজাতকের ডিএনএ মিলিয়ে দেখতে পরীক্ষার আদেশ দেন আদালত। পরে বড় মনির, জন্ম নেয়া নবজাতক ও মায়ের ডিএনএ স্যাম্পল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) জমা দেয়া হয়। মায়ের অভিযোগ, বড় মনিরের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পাল্টাতে তদবির করছেন তার ছোট ভাই টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান (ছোট মনির)। এক্ষেত্রে সিআইডিতে কর্মরত ঘনিষ্ট এক পুলিশ সুপারের (এসপি) সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন ওই কিশোরী। এছাড়াও ডিএনএ স্যাম্পল জমা না দিলে এক কোটি টাকা ও একটি ফ্ল্যাট দেয়ার প্রলোভন দেয়া হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ শুনিয়ে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। বাসার পাশে এমপির লোকজন সবসময় পাহাড়ায় থাকে। ডিএনএ রিপোর্ট, যেটি মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটিও প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওই কিশোরী বলেন, আমি অর্থ-সম্পদ চাই না। আমি বাচ্চার অধিকার চাই, পিতৃপরিচয় চাই। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলা দায়ের করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি ডিএনএ স্যাম্পল দিয়ে আসার পর থেকে লক্ষ্য করছি, কিছু মানুষ আমাকে ফলো করছে। বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকছে। এ বিষয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অভিযোগ করা হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এ ঘটনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থানায় গেলে আমাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করেছে। কোনো অভিযোগ নেয়া হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রভাব খাটিয়ে বড় মনির ও ছোট মনির সুপারিশ করে মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাজী নুসরাত এদীব লুনার পদোন্নতির ব্যবস্থা করে দেন। ওই মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম বর্তমানে সিআইডিতে এসপি হিসেবে কর্মরত। তিনিই সহযোগিতা করছেন ডিএনএ রিপোর্ট পাল্টানোর মতো অপচেষ্টায়। শুনেছি, এমপি ছোট মনির এজন্য সিআইডি অফিসেও গিয়েছেন দফারফা করতে।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলায় ওই কিশোরী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। মামলায় বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়। ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পায় মেডিকেল বোর্ড। ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে তিনি ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর ১৫ মে ধর্ষণ মামলায় বড় মনিরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। এদিকে, ৩০ জুন সন্তান জন্ম দেন ওই কিশোরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়