কার্যালয়ে ভাঙচুর : নুর-রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

নুরের কেএনএফ কানেকশন! বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে নুরুল হক নুরের সংযোগ খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা

পরের সংবাদ

কাছেই ছিল বাবা-মা : হাতিরঝিলে ঝাঁপ দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অভিমান করে বাবা-মায়ের সামনেই হাতিরঝিলের পানিতে ঝাঁপ দেয় এসএসসির ফলপ্রত্যাশী রিয়া (১৫)। সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে মারা যায় সে। গত শনিবার গভীর রাতে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। অভিমান করে রিয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন গতকাল রবিবার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রিয়া তার বান্ধুবী আনিলার সঙ্গে বাইরে বের হয়। এ সময় তারা রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। অনেক রাত পর্যন্ত মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে উদ্ধারের জন্য ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতা চান রিয়ার মা। পরে পুলিশ রিয়ার বান্ধুবী আনিলাকে আটক করতে পারলেও রিয়াকে খুঁজে পায়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন শনিবার রাতে মাকে ফোন করে রিয়া। ফোনের সূত্র ধরেই মা জানতে পারেন মেয়ে হাতিরঝিল এলাকায় রয়েছে। পরে তিনি সেখানে গেলে মায়ের সামনেই পানিতে ঝাঁপ দেয় রিয়া। রিয়াকে বাঁচাতে সে সময় এক হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা পানিতে ঝাঁপ দিলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধারের পর ওই হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা ও তার বন্ধুকে আটক করে নিয়ে যায় হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, এসএসসি পরীক্ষা শেষে অবসর সময় কাটাচ্ছিল রিয়া, তাই ঘুরতে চেয়েছিল। গত শুক্রবার বিকালে সে মাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা জানায়। কিন্তু মা তাকে ঘুরতে নিয়ে যাননি উল্টো বাসা থেকেও বের হতে দেননি। সে তখন মাকে বলেছিল, তোমরা এত চাপ দাও ও প্রশ্নের জবাব চাও… আর ভালো লাগে না। মা তাকে বাইরে যেতে না দেয়ায় রাত ৮টায় অভিমান করে একাই বাসা থেকে বের হয়ে যায় সে। ওসি আরো বলেন, ওইদিন রাতে সে তার বন্ধুদের সঙ্গে কাটায়। একপর্যায়ে কড়াইল বস্তির দিকে কোনো বান্ধুবীর বাসায় গিয়ে থাকে। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে রিয়ার মা-বাবা তার সন্ধানের জন্য ভাটারা থানার সহযোগিতা চান। পরে ভাটারা থানা হাতিরঝিলে রিয়ার অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর ভাটারা থানার পুলিশ ও রিয়ার মা-বাবা হাতিরঝিলে যায়। তাদের দেখেই হাতিরঝিলে ঝাঁপ দেয় রিয়া। তার ওপর অনেক পারিবারিক চাপ ছিল- এমনটাই ধারণা করছি আমরা। এই চাপের কারণে তার মনে সৃষ্ট অভিমান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে সে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়