রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

সিলেট এমসি কলেজ : ফেসবুকের বক্তব্য ঘিরে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি মাহিন তালুকদারের নেতৃত্বে এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার শিকার এ কিউ এম সামসুল হুদা ইমরান ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ইমরানের সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
ইমরান জানান, ঘটনার রাতে আমি আবাসিক হলে (পঞ্চম ব্লকে) ছিলাম। এ সময় আমাদের হলের পাশেই চিৎকার শুনে বের হই। দেখি চতুর্থ ব্লকের এক ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছে হলে থাকা বহিরাগত কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকের। এসময় ওই ছোট ভাই জানায়, সে সাইকেলে হলে ফিরছিল। বহিরাগত ওই ছেলেরা তাকে সাইকেল থেকে নামিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই মারতে উদ্যত হয়। এ কথা শুনে আমি ঘটনার প্রতিবাদ করি। এসময় হঠাৎ সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহিন তালুকদার ও ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন রাহীসহ ১০-১২ জন এসে উপস্থিত হয়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। কোনো কথা না শুনেই মাহিন তালুকদার আমার নাকে ও বাঁ চোখের ওপরে ঘুষি দেয়। তার হাতে স্টিল জাতীয় কিছু ছিল। এতে আমার বাঁ চোখের ওপরে ফেটে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যরাও মারধর করে আমাকে। ৪র্থ ব্লকের শিক্ষার্থীকেও মারধর করে তারা। সহপাঠীরা আমাকে উদ্ধার করে ওসমানীতে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। বাঁ চোখের ওপরে ৫টি সেলাই লেগেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি নিচ্ছি।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, স¤প্রতি এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলনে ‘দেলোয়ার হোসেন রাহীকে সভাপতি দেখতে চাই’ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার কথা বলে মাহিন তালুকদার। অন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের দ্বারা এমন পোস্ট করানো গেলেও ইমরান এতে অসম্মতি জানায়। এরই জের ধরে ইমরানের সঙ্গে বহিরাগত জুনিয়র দিয়ে নানা ধরনের অসঙ্গতিমূলক আচরণ করায় দেলোয়ার হোসেন রাহী ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহিন তালুকদার। অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও মাহিন তালুকদার অবৈধভাবে ছাত্রাবাস দখল করেই বাস করছেন। তিনি এমসি কলেজে ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, ট্রান্সফার বাণিজ্যের
সঙ্গেও জড়িত। ঘটনার বিষয়ে মাহিন তালুকদার বলেন, ছোট ভাই
দুটির সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল ইমরান ও অন্য একজনের। আমি খাবার খেয়ে ফেরার সময় বিষয়টি দেখেছি। পরে এটা শেষ করে দেয় এক ছোট ভাই। কিন্তু যে শেষ করে দিয়েছে তাকে মারতে যায় অন্য দুজন। পরে আমি নিজে গিয়েছি সবার সিনিয়র হিসেবে। তিনবার চেষ্টা করেছি সমাধান করতে, পারিনি। পরে দুজনে দুটি থাপ্পড় দিয়েছি। এতে ইমরানের নাকে একটু রক্ত আসে।
প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে রাত ১১টায় কেন ছিলেন? জানতে চাইলে মাহিন বলেন, রাহী আমার বন্ধু। তাকে সাপোর্ট দিতে অনুষ্ঠান হলে মাঝে মাঝে আসি। সিটি নির্বাচন উপলক্ষে এসেছিলাম। রাতে আমার বাসায় থাকি। রাহীর সঙ্গে এসেছিলাম। তখন দেখি তারা মারামারি করছে।
এ বিষয়ে জানতে দেলোয়ার হোসেন রাহীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ বলেন, আমি শুনেছি একটা ঝামেলা হয়েছে। পরে এটা ওখানকার সিনিয়র নেতারা রাতে শেষ করে দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়