রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

নিজেকে ফের নির্দোষ দাবি ডা. সংযুক্তা সাহার : লাইসেন্স নবায়ন না করা ভুল ছিল

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিজেকে ফের নির্দোষ দাবি করলেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের আলোচিত গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার ইস্যুতে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে তাতে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কাউকে দোষী বলা উচিত নয়। তবে আমার আগেই নিবন্ধন নেয়া উচিত ছিল। এটা আমার ভুল হয়েছে। গতকাল শনিবার পরীবাগে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ধাত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, মাহবুবা রহমান আঁখি যখন ভর্তি হয় তখন আমি দেশেই ছিলাম না। এমনকি ওই রোগী সম্পর্কেও জানতাম না। তাহলে এর দায় আমার কী করে হয়?
১৩ বছর যাবত বিএমডিসি নিবন্ধন না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার নিবন্ধন নেই, বিষয়টি কিন্তু এমন না। নিবন্ধন আছে, তবে সেটি নবায়ন করা হয়নি। আমার আগেই
নিবন্ধন নবায়ন করা উচিত ছিল। কিন্তু আমি এত ব্যস্ত থাকি যে, সময় পাইনি। এটা আমার ভুল হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসিত) নিবন্ধন নবায়নের একটা ফি দিতে হয়, এটা গত বছর থেকেই অনলাইন সিস্টেম ছিল এটা আমি জানতাম না। আমি তো আমার বাসায় আসারই সময় পাই না। নতুন চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে হয়। আমার নতুন কোনো চাকরি হয়নি। তাই কাগজপত্র ঠিক করা হয়নি।
নিবন্ধনের জন্য ১৩ বছরে একবারও সময় হয়নি? জানতে চাইলে ডা. সংযুক্তা বলেন, যখন থেকে আমি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান ছিলাম, তখন নিবন্ধনের বিষয়গুলো তারাই দেখত। কাগজপত্র নিয়ে তারাই নবায়ন করে নিয়ে আসতো। সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসার পর সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি লাভের জন্য লাইভ করিনি। অনলাইনে বুস্টিংও করিনি। মানুষের মাঝে নরমাল ডেলিভারি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে এটি করতাম। জনসচেতনতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করতাম। রোগীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে লাইভে যুক্ত হতো।
প্রসঙ্গত, প্রসবজনিত সমস্যা নিয়ে মাহবুবা রহমান আঁখি কুমিল্লা থেকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি হন। সি-সেকশন সার্জারির সময় ওই প্রসূতির নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরে আঁখির অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে অন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঁখিরও মৃত্যু হয়। সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ডা. সংযুক্তা সাহাকে দায়ী করে। অন্যদিকে ঘটনার দিন ডা. সংযুক্তা দেশে ছিলেন না দাবি করে এ ঘটনার দায় চাপায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়