শিশুশ্রম নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান

আগের সংবাদ

ভারত-আমেরিকার বৈচিত্র্যময় অংশীদারত্ব গড়ার প্রত্যয় : হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণা

পরের সংবাদ

সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভিত্তিহীন : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকার যে মন্তব্য করেছে এতে বাংলাদেশ ভূরাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের কথাবার্তা দায়িত্বশীল নেতা বলতে পারেন না। সরকার চালাচ্ছেন যিনি, তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন- এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে কিনা সে প্রশ্নও তোলেন বিএনপি মহাসচিব।
গত বুধবার সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের জবাবে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, হাজী মো. মনির হোসেন, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাঈদ হাসান মিন্টু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদ মোরশেদ পাপ্পা, মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলের হাজী মো. কামাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, সর্বইব মিথ্যা। এই কথাগুলো বলে উনি কিছু সুবিধা পেতে চান। সেই সুবিধা যদি উল্টো হয়..এটা তিনি বুঝেন না। প্রশ্ন রেখে বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) কি এসব কথা বলেছেন উনার অফিশিয়াল পজিশন এজ প্রাইম মিনিস্টার অর এজ প্রেসিডেন্ট অব আওয়ামী লীগ? প্রাইম মিনিস্টার হয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন তাই না। এখন আমি তাকেই (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞাসা করতে চাই, তারা যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছেন সেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বা যে কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যখন রং ইনফরমেশন দেয়া যায়, মিথ্যা কথা বলা যায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হয় না, মামলা আসে না।
তিনি বলেন, বিএনপির যারা অতীতে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং আগামীতে হবেন এমন নেতাদের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের নেতাদের তুলে নিয়ে তাদের নির্বাচন করতে চাপ দিচ্ছে। বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের ছাড়া হচ্ছে না। তাদের জামিন হয়, আবার আটকে যায়। এটা একটা ভয়াবহ দমননীতি। অত্যন্ত পরিকল্পিত চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল, গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। সেটা এখন আবার শুরু হয়েছে। আমরা তো মধ্যযুগীয় বর্বরতায় বসবাস করছি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করছে না। দেশের ক্ষতি করতে তারা মরিয়া হয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়