শিশুশ্রম নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান

আগের সংবাদ

ভারত-আমেরিকার বৈচিত্র্যময় অংশীদারত্ব গড়ার প্রত্যয় : হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণা

পরের সংবাদ

রায়গঞ্জে টুংটাং শব্দে মুখর কামারশালা

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. পারভেজ সরকার, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) থেকে : ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামারের দোকান এখন লোহা-হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখর। হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দা, বটি, ছুরি, কুড়াল, চাকু, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।
কামার শিল্পীরা বলেন, প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতাদের বলেই ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। পশু জবাই করার বড় ছুরিগুলো- ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। চাপাতি ৫শ থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।
ক্রেতা ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪-৫টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি। তিনি আরো বলেন, কুরবানির ঈদের সময় কসাইদের পাওয়া যায় না ঠিকমতো। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শান দিয়ে নিচ্ছি নিজেদের কাজ নিজেরাই ভাগাভাগি করে করব।
কামারপল্লীতে আসা আরো কয়েকজন ক্রেতা বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিস শান দিতে মানভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নিচ্ছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে দা-ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে। কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর বেচাকেনা কম থাকলেও কুরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ঈদের সাত দিন আগে থেকে কামার শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। তবে ঈদের দুদিন আগে থেকে রাত-দিন বেচাকেনা হবে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। প্রতি বস্তুা কয়লা ১শ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে গেছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দার দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।
উপজেলার ভুইয়াগাঁতী, ঘুরকা, নিমগাছি, ধানগড়া, চান্দাইকোনা বাজারসহ বেশ কিছু বাজারে ঘুরে দেখা যায়, লাল লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামারপল্লী ও দোকানগুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আর মাত্র ৭ দিন বাকি আছে তাই কামারপল্লীগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কামারপল্লীগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়