পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

সিলেটে নতুন নগরপিতা হলেন আনোয়ারুজ্জামান > নৌকা ১,১৮,৬১৪ : লাঙ্গল ৫০,৩২১

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝর্ণা মনি, ফারুক আহমদ ও খালেদ আহমদ, সিলেট থেকে : ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি উন্নয়নের জোয়ারে নৌকার বিজয়- কে হচ্ছেন শাহজালাল-শাহপরাণের পুণ্যভূমির জনগণের সেবক, এমন প্রশ্নের চেয়েও নৌকার প্রার্থী আনোরুজ্জামানের বিজয় প্রায় নিশ্চিত- এমনটাই ছিল পূর্বাভাস। সেই পূর্বাভাস সত্যে পরিণত করে নৌকার মাঝি আনোরুজ্জামান চৌধুরীর গলায়ই বিজয়ের মালা পরালেন শ্রীহট্টবাসী। নগরবাসীর ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে নৌকার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী লাঙ্গলের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট। গতকাল বুধবার নগরীর জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে ফলাফল ঘোষণার আগে থেকেই নৌকার সমর্থকদের আনন্দ-উচ্ছ¡াস ছুঁয়ে যাচ্ছিল সুরমা থেকে টেমস। আর ফলাফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল, আনন্দ মিছিল, ‘ভি’ চিহ্ন দেখানো, একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ করা, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুসহ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট ছিল গতকাল। তিন হাজার ২০৪টি ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। এক হাজার ৭৪৭টি সিসিক্যামেরা দিয়ে সিসিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন। নগরপিতা নির্বাচনে গতকাল ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। এতে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বীর সঙ্গে ৬৮ হাজার ২৯৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নগরবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি বলেন, আমি নগরপিতা নই, নগরবাসীর সেবক। সেইসঙ্গে স্মার্ট গ্রিন ক্লিন সিটি গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সবাই আমাকে আস্থায় নিয়েছেন এজন্য

ধন্যবাদ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর পাঠানটুলায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নৌকার পক্ষে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। বিপুল ভোটের ব্যবধানে সিলেটবাসী অবশ্যই নৌকার জয় নিশ্চিত করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলে ভোটের ফল মেনে নেব। জয়ী প্রার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করব। আনোয়ারুজ্জামান বলেন, সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ইভিএম খুব সুন্দর ও সহজ একটি পদ্ধতি। এদিকে ভোট শুরুর পর থেকেই নির্বাচনে পেশিশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে- অভিযোগ করে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর আনন্দ নিকেতন কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর তিনি অভিযোগ করেন, সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার মতো পরিবেশ নেই। আমি আনন্দ নিকেতনে ভোট দিতে এসে দেখলাম, এখানে পেশিশক্তি দেখানো হচ্ছে। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে যারা কোনো পোলিং এজেন্ট নয়, তারা আমাদের ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন, হয়রানি করছেন, অনেক কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ওরা একটা নীলনকশা করেছে, কীভাবে ভোট কারচুপি করবে। ৪২টা ওয়ার্ডের সবকটি কেন্দ্রে আমি আমার পোলিং এজেন্ট দিয়েছি, কিন্তু আমি সকাল থেকে ফোন পাচ্ছি, বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। জোর করে বের করে দেয়া হচ্ছে।
বেলা বাড়ে, ভোটারও বাড়ে : সপ্তাহখানেক ধরেই বৃষ্টিতে নাকাল সিলেটবাসী। গতকাল ভোটের দিন আবহাওয়া একটু রঙ বদল করেছে। বৃষ্টিহীন সকালে ভোট দিতে আসা শুরু করেন ভোটাররা। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৮টার দিকে যেখানে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম, প্রতিটি বুথে তিন-চারজন, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিটি বুথে ১৫/২০ জনের লাইন। ভোটাররা ইভিএমে অভ্যস্ত না হওয়ায় কিছু কেন্দ্রে ধীরগতি এবং কিছু কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ায় সকালের দিকে ভোট পড়ার হার কিছুটা কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হার বাড়তে থাকে। বেলা ১২টার দিকে শতাধিক কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে বেশির ভাগ কেন্দ্রেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল। স্কলার্স হোমে ভোট দিতে আসা জাহেরা বেগম বলেন, ইভিএমে ভোট খুব ভালো। সকাল সকাল ভোট দিতে এলাম, পরে যদি বৃষ্টি নামে, তখন মুশকিল হয়ে যাবে। সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা ব্যবসায়ী আফজালুর রহমান বলেন, ভোট দিতে পেরে শান্তি লাগছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি নৌকার সঙ্গে আছি। নৌকার বিজয় হলেই সিলেটের উন্নয়ন হবে। কেন্দ্রের নাম সাইনি স্টেপস স্কুল। বেলা ১১টায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৬০০। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩৬০০। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ বিরক্তবোধ করেন। কেউ কেউ তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন।
জিন্দাবাজার থেকে ভোট দিতে কেন্দ্রে এসেছিলেন সামিনা হক। তিনি বললেন, ভোট আমার নাগরিক অধিকার। নগরের উন্নয়নে জনগণের নিজ প্রার্থীকে ভোট দেয়া উচিত। তাই আমি ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোট নিজে দিয়েছি।
সরজমিন দেখা গেছে, মেয়র প্রার্থীদের চেয়ে ভোটার বেশি এনেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকাল ৭টা থেকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আর তাদের সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের খোঁজ করে কেন্দ্রে আসার জন্য অনুরোধ করতেও দেখা গেছে। যারা আসতে চাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের রিকশাযোগে ভোটকেন্দ্রে নিয়েও গেছেন। আর পথের মধ্যে তাদের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করেছেন। এছাড়া, সিলেট নগরীর অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছোট ছোট তাঁবু টানিয়ে ভোটারদের টোকেন দিতে দেখা গেছে।
ইভিএমে ভোট দিয়ে উচ্ছ¡সিত ভোটার : সকাল ৮টা বেজে ২৬ মিনিট। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। একজন দুজন করে ভোট দিতে আসছেন ভোটার। সিরিয়াল দেখে কক্ষ খুঁজে পাওয়াসহ ভোটারদের সহযোগিতা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মনি বেগম ভোরের কাগজকে বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে সমস্যা হয়নি। বেশি সময়ও লাগেনি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভালো লাগলো। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সায়েম ভোরের কাগজকে বলেন, ইভিএমে শূন্য ভোট দেখিয়ে ভোট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনভাবে ভোটারকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বায়োমেট্রিক, আইডি নম্বর অথবা স্মার্ট কার্ড।
গতকাল প্রথমবারের মতো সিলেটে ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় সেই ধারণা না থাকায় ভোটাররা বিড়ম্বনায় পড়বেন। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ইভিএমের সমালোচনা করে আসছিলেন। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ইভিএমে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ¡সিত সবাই। গোটাটিকর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা ভোটার শরিফা খাতুন বলেন, খুব শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছি। ইভিএমে বুঝতে একটু সময় লাগছিল। পরে ঠিকভাবে ভোট দিতে পেরেছি। খুব ভালো লাগছে। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন জ্যোতি বেগম। ইভিএমে ভোট দিয়ে অত্যন্ত খুশি। বললেন, ভোট দিতে একমিনিটও সময় লাগেনি। খুব সোজা। শুধু বাটন চাপলেই হয়। নবনির্বাচিত মেয়র নতুন ওয়ার্ডগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে উন্নয়ন করবেন বলে আশাবাদ জানান তিনি। এদিকে ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও। নগরীর বন্দর বাজার এলাকার দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রে আসেন ৯টা ৫০ মিনিটে; ভোট দেন ১০টায়। ভোট দেয়ার পর ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেশে প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। আগে আমেরিকায় ইভিএমে ভোট দিয়েছি। তবে বাংলাদেশে এ প্রথম ইভিএমে ভোট দিয়ে খুব ভালো লাগছে।
এদিকে দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যায়নি। তবে সব কেন্দ্রে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্ট পাওয়া গেছে। পোলিং এজেন্টদের বের করার অভিযোগ করেছেন লাঙ্গলের প্রার্থী। কিন্তু সরজমিন ৩০টির উপর কেন্দ্রে খোঁজ করেও কোথাও লাঙ্গলের এজেন্টের দেখা মেলেনি। তারা আসেননি বলে জানা গেছে।
নাতির কোলে চড়ে ভোট দিলেন শতবর্ষী জয়না বিবি : সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বরইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাতির কোলে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন শতবর্ষী জয়না বিবি। ভোট দিয়ে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো তার মুখে। বললেন, ‘ভুট দিতাম ফাইরা বালা লাগছে।’ নাতি ইমন বললেন, ভোট দেয়া দায়িত্ব। পাঁচ বছর পর পর এই সুযোগ পাওয়া যায়। তাই কোলে করে নিয়ে এসেছি। এদিকে উচ্ছ¡াসের পারদ আকাশ ছুঁই ছুঁই নতুন ভোটারদের। ভোট দেয়ার পর হাত উঁচিয়ে দেখালেন অমোচনীয় কালির দাগ খচিত আঙুল। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ২১নং ওয়ার্ডের চান্দুশাহ রহ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার সায়মা ফারিহা তাহসিন বলেন, প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে খুব ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর, স্মোত একটি প্রসেস। আমার মনে হয়েছে, আগের প্রসেস থেকে এখন ইভিএমে অনেক স্বচ্ছ ভোট হয়। আগে অনেক কথাবার্তা শুনেছি- স্বচ্ছভাবে ভোট দেয়া যেত না। এখন খুব সুন্দর প্রক্রিয়ায় পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি। একইভাবে নগরের ২২নং ওয়ার্ডের নতুন ভোটার মারুফা আক্তার বলেন, আমি ফার্স্ট ভোট দিলাম। এজেন্টরা অনেক হেল্প করেছেন। প্রথমে ভোট দেয়ার আগে ভয় কাজ করছিল। পরে ভোট দিয়ে শঙ্কা কেটে গেছে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়া খুবই সহজ মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট ছিল গতকাল। তিন হাজার ২০৪টি ইভিএমের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। এক হাজার ৭৪৭টি সিসিক্যামেরা দিয়ে সিসিক নির্বাচন ভবন পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন। ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটার এক হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে চার লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন আট জন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জরিহুল আলম (গোলাপ ফুল)। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। এছাড়া ৪২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ২৯৪ জন। ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়