ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

খায়রুজ্জামান লিটন : সহিংসতার চেষ্টা করলে ছাড় নয়

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : বিএনপি-জামায়াত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বেশির ভাগ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকায় নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটায় উত্তেজনা বিরাজ করছে শহরজুড়ে। তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, নির্বাচনে কেউ সহিংসতা ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনগণ সেটি শক্ত হাতে দমন করবে।
ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে রাসিকের দুবারের মেয়র বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য ভোটকেন্দ্রে অধিকসংখ্যক ভোটার উপস্থিতি ঘটানো। এজন্য আমরা গত কয়েক মাস ধরেই প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও জনসংযোগ করেছি। গত ২ জুন থেকে আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়ে গত সোমবার রাত ১২টায় শেষ হয়। আমরা দলমতনির্বিশেষে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ভোট চেয়েছি। ভোটাররা ভোট দেয়ার বিষয়ে খুবই উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হলেও তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস রাজশাহীবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের পছন্দের মানুষকেই বেছে নেবেন। তবে, কিছু কিছু কারণে অনাকাক্সিক্ষত কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের দিন এমনটা হবে না বলে আশা রাখি। এরপরও যদি কেউ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে, রাসিক নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে মাঠে নামে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনানুগভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে কোনো অরাজকতা মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। কেউ ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নৌকার প্রার্থী বলেন, এবার আমি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি কর্মসংস্থানের ওপর। কারণ এখানে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। ২০০৮ সালে মেয়র হওয়ার পর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার কাজ শুরু করি। ২০১৩ সালে পরাজিত হয়ে সেটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে জয়ী হয়ে কী করেছি, সেটি দৃশ্যমান। আমি রাজশাহী শহরকে আরো এগিয়ে নিতে চাই, রাজশাহীবাসীর জীবন মান উন্নয়নে আরো ভূমিকা রাখতে চাই। তাই ভোটারদের অনুরোধ করে বলব, আমাকে আবারো মেয়র হওয়ার সুযোগ দিন। ভোটকেন্দ্রে এসে দেখিয়ে দিন, আপনারা উন্নয়নের পক্ষে ছিলেন এবং আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়