যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

লেবাননের বিপক্ষে রক্ষণে মনোযোগী জামালরা

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী বুধবার থেকে মাঠে গড়াবে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়শিপ। গত মে মাসেই নির্ধারিত হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা গ্রুপপর্বে কোন কোন দলের সঙ্গে খেলবে। তাই বাংলাদেশ যে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছে তা আগে থেকেই জানা ছিল কোচ হ্যাবিয়ের কাবরেরার। সেই অনুযায়ী নিজের ছাত্রদের প্রস্তুত করার চেষ্টাও করেছেন তিনি। ভারতের বেঙ্গালুরুতে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন করে বাংলাদেশ ফুটবল দল। অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানান, রক্ষণভাগের দিকেই এখন খেলোয়াড়দের মনোযোগ বেশি।
মিশন সাফকে সামনে রেখে গত ১০ জুন কম্বোডিয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল। সেখানে গত ১২ জুন কম্বোডিয়া লিগের টিফি আর্মি এবং ১৫ জুন কম্বোডিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ জিতে কাবরেরার শিষ্যরা। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে সফলতা পেয়ে পরের দিন ভারতের বেঙ্গালুরুতে সাফ খেলতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর রবিবার তারা সেখানে প্রথমবারের মতো অনুশীলন করে। গতকালের অনুশীলন শেষে হাসান আল মামুনসহ বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষকদের মুখে বারবারই উঠে আসছিল কম্বোডিয়া বধের গল্প।
কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেও দলের কিছু ভুল ছিল বলে মনে করেন হাসান আল মামুন। সেই ভুলগুলো নিয়ে জামালদের কাজ করানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় দিন এখানে অনুশীলন শেষ করলাম। আমার কাছে দলের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমরা কম্বোডিয়ার বিপক্ষে খেলা ম্যাচগুলোতে কিছু ভুল করেছি, সেই ভুলগুলো নিয়েই আমরা কাজ করছি। আমরা কীভাবে আক্রমণে যাব এবং কীভাবে রক্ষণ সাজাব সেই ব্যাপারগুলো নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।’
এবারের সাফে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শক্তিশালী লেবাননের বিপক্ষে আগামী ২২ জুন। লেবাননের বিপক্ষে কেমন পরিকল্পনা আছে জানতে চাইলে মামুন রক্ষণভাগের দিকে বেশি মনোযোগের কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা জানি লেবানন আমাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে এবং তাদের অবস্থাও আমাদের চেয়ে ভালো। আমরা জানি লেবানন একটি শক্তিশালী এবং অবশ্যই তা নিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। তারা শক্তিশালী হলেও আমাদের কাছে তাদের হারানোর সুযোগ আছে। তাই আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি, যেদিকে লেবাননের দুর্বলতা আছে সেই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছি। যেগুলো তাদের শক্তিশালী দিক, বিশেষ করে তাদের আক্রমণভাগ অনেক শক্তিশালী, তাই আমরা কীভাবে আমাদের রক্ষণভাগটা সক্রিয় রাখব, ব্লকটা কীভাবে ঠিক রাখব এবং কোন কোন খেলোয়াড়দের আমরা মার্ক করব- এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি।’
কম্বোডিয়ার বিপক্ষে সফলতাকে নিজেদের বড় পাওয়া হিসেবে জানান বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও।
তার কাছেও রক্ষণভাগের খেলোয়াড় এবং গোলরক্ষককে আসন্ন সাফে মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি দলের অবস্থা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি বলব অবশ্যই আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি, যথেষ্ট সময়ও পেয়েছি। আমরা দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছি এবং দুটি ম্যাচেই জিতেছি। আমরা কোনো গোল রিসিভ করিনি, যা অনেক ভালো দিক। লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটান তিনটি দলই আমাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। তো এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করা। বিশেষ করে আমরা যারা গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডার আছি তাদের ওপর অনেক বেশি দায়িত্ব থাকবে। যেহেতু প্রতিপক্ষ দলগুলোর আক্রমণভাগ ভালো। এখন আমরা যেই খেলি না কেন আমাদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে।’ নিজের ওপর দায়িত্ব বেশি জানিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘আমি সর্বশেষ সাফে খেলেছি। আমার কিছুটা অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তাই মনে করি এখন আমার ওপর আরো বেশি দায়িত্ব আছে। আমার বিশ্বাস দলের সবাই যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারে তাহলে আমরা ভালো একটা ফলাফল করতে পারব।’
লেবানন প্রসঙ্গে তিনি আশা জানিয়ে বলেন, ‘লেবানন অনেক শক্তিশালী দল। আর আমাদের সবারই দৌড়ানোর সক্ষমতা ভালো। আমরা কম্বোডিয়ার বিপক্ষে যেভাবে দৌড়ে খেলেছি সেভাবে যদি আমরা ভালোভাবে যুদ্ধ করতে পারি তাহলে লেবাননের বিপক্ষে আমরা পয়েন্ট পাব বলে আশা করি। লেবানন সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরেছে। টানা চারটি ম্যাচ খেলার কারণে সেই দলের খেলোয়াড়রা ক্লান্তও থাকবে। আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমারা যেসব সুযোগ পাব সেগুলো যদি ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা প্রথম ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে পারব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়